চা বাগান, পাহাড়, জঙ্গল ঘেরা স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে শুধু পাসওয়ার্ডটি জেনে নিলেই হল। এরপর মোবাইল ফোনের ওয়াইফাইতে পাসওয়ার্ড দিলেই হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট। দেশের বড় বড় স্টেশনগুলোতে এই বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা রেলের পক্ষ থেকে চালু ছিলই। এ বার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে মালবাজারের নিউ মাল জংশনে নিঃশুল্ক ওয়াইফাই পরিষেবা শুরু করতে চলেছে রেল। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের উদ্যোগে আজ সোমবার থেকেই এই ওয়াইফাই পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে এই স্টেশনে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের বিভাগীয় আধিকারিক চন্দ্রবীর রমণ জানান নিউ মাল জংশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন। পাহাড়, জঙ্গলের আকর্ষণতো রয়েইছে, প্রতিবেশী দেশ ভুটান যাবার জন্যেও প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক এই স্টেশনে আসেন। তাই যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
কলকাতা থেকে নিউ মালবাজার প্রতিদিন যাতায়াত করে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। সকালে আপ এবং সন্ধ্যায় ডাউন কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের সময় নিউ মাল জংশনে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। এছাড়াও রাঁচি, মহানন্দা, ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন থেকেও নামেন বহু পর্যটক। তাই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে জেনে দারুন খুশি স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। লাটাগুড়ি রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সচিব দিব্যেন্দু দেবের কথায় , ‘‘ডুয়ার্সের অনেক হোটেল রিসর্টেই অনলাইন পরিষেবা রয়েছে, তাই নিউ মালে ট্রেন থেকে নেমেই যাত্রীরা অনায়াসে হোটেল বা রিসোর্টের ঘর বুক করে নিতে পারবেন।’’ চলতি সপ্তাহে লাভাতে বেড়াতে আসছেন বেহালার ইন্দ্রজিত নাগ। নিউ মাল জংশনেই কাঞ্চনকন্যায় নামার কথা তাঁর, স্টেশনে নেমেই ইন্টারনেট মিলবে এই খবরে উচ্ছ্বসিত তিনিও। তাঁর কথায় ‘‘উত্তরের জঙ্গল, পাহাড়ে অনেকবার গিয়েছি। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কটাই ঠিকঠাক মেলে না। তাই ইন্টারনেট নিয়ে আশাও করিনি।’’
নিউ মাল জংশনের এই ওয়াইফাই পরিষেবার প্রতিস্থাপন ও প্রযুক্তিগত গুরুত্বও রয়েছে।
কারণ রাজ্যে যতগুলো স্টেশনে ওয়াইফাই চালু রয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করে রেলটেল নিগম। ভারতীয় রেলের অধীনে রেলটেল ওয়াইফাই এর সমগ্র বিষয়টি দেখভাল করে। কিন্তু নিউ মাল জংশনের ওয়াইফাই এর ক্ষেত্রে প্রথমবার বিএসএনএলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিএসএনএলের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের জিএম (মার্কেটিং এন্ড এন্টারপ্রাইজ) এম সি প্রামাণিক জানান, বিএসএনএলকে নিউ মালের বিষয়ে রেল প্রস্তাব পাঠায়, এরপরই দু’তরফে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে পাইলট প্রজেক্ট শুরু করা হয়। নিউ মালের পর কোচবিহার ও অসমের কোকরাঝার জংশনে ওয়াইফাই পরিষেবা চালুর প্রস্তাব রয়েছে বলেও রেল সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy