উদ্ধার: পাওয়া গিয়েছে সিরাপের বোতল। নিজস্ব চিত্র
কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাচার চক্র। জালনোট, গরু পাচারের পাশাপাশি মালদহের সীমান্ত দিয়ে দেদার পাচার হচ্ছে বেআইনি কাফ সিরাপ। কাঁটাতারের বেড়া কেটে কাফ সিরাপ পাচার চলছে ও পার বাংলায়।
মঙ্গলবার রাতে ইংরেজবাজারের গয়েশপুর থেকে বিপুল পরিমান বেআইনি কাফসিরাপ সমেত এক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রমেশ তিওয়ারি। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে। সে পাচারের অন্যতম পাণ্ডা বলে দাবি পুলিশের। বুধবার ধৃতকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
শীতের মরসুমে ও পারে নেশার জন্য কাফ সিরাপের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই শীত পড়তেই কাফ সিরাপ পাচারকারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। কুয়াশার সুযোগ নিয়ে চলে পাচার। আগে কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে কাফ সিরাপ পাচার চালাত কারবারিরা। কিন্তু বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচকে বিএসএফ, এনআইএ এবং পুলিশ কড়া নজরদারি চালানোয় রুট বদলেছে কারবারিরা। এখন সব থেকে বেশি কাফ সিরাপ পাচার হচ্ছে হবিবপুর, বামনগোলা ব্লকের সীমান্ত দিয়ে। গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্তা বলেন, “মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কের ধারে ওই থানার সীমান্ত এলাকা। গাড়িতে করে সীমান্তবর্তী এলাকায় মজুত করে রাখা হয় নেশার জন্য ব্যবহৃত কাফ সিরাপ। তারপরেই রাতের অন্ধকার আর কুয়াশার সুযোগ নিয়ে কারবারিরা সেই কাফ সিরাপের প্যাকেট পৌঁছে দেয় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে। সেখান থেকে ও পারের কারবারিরা তা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।”
এ দিন রাতে ইংরেজবাজার শহরের গয়েশপুর এলাকায় এক পরিবহণ সংস্থায় হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৩৫২ প্যাকেট নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। প্রতিটি প্যাকেটে ১৬০টি করে কাফ সিরাপ মজুত ছিল। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা বলে দাবি পুলিশের। গ্রেফতার করা হয় রমেশ তিওয়ারিকে। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশে রমেশ মুর্শিদাবাদ থেকে কাফ সিরাপগুলি নিয়ে এখানে এসেছিল। সেখানে একএকটি কাফ সিরাপ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দিয়ে বিক্রি হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক জেরায় স্বীকার করেছে ওই কারবারি। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ঘটনায় একটি চক্র জড়িত রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের খোঁজ শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy