দলের এক যুব নেতার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন৷ কার বা কাদের জন্য তিনি ‘বাধ্য’ হলেন সে ব্যাপারে নেত্রী স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তা নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷
তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবার দিনের বেলায় দলের যুব সংগঠনের একটি পার্টি অফিসে ওই নেত্রীর সঙ্গে সংগঠনের নেতারা আলোচনায় বসেন৷ আর রাতেই মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন তিনি৷ যদিও তৃণমূল যুব সংগঠনের নেতারা দাবি করছেন, ওই নেত্রীকে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে তাঁদের তরফে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি৷ জলপাইগুড়ির জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘অভিযোগকারিণী আমাদের বলেননি যে, তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহার করাতে বাধ্য করা হয়েছে৷ যদিও তিনি এমন অভিযোগ আমাদের কাছে করেন তাহলে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, গত ১০ জানুয়ারি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ির এক নেতার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই নেত্রী৷ যদিও পুলিশ তাকে সেই অভিযোগ পত্র নথিভুক্ত করেনি বলে অভিযোগ৷ এ দিন রাতে থানায় গিয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন তিনি৷
অভিযোগ প্রত্যাহারের পরই সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘‘যুব তৃণমূলের ওই নেতা আমার সঙ্গে শারীরিক নির্যাতন ও প্রতারণা করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলাম৷ আমি সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি৷ অভিযোগটি প্রত্যাহার করে আমি সন্তুষ্ট নই৷’’
প্রশ্ন উঠেছে, কেন তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ তুলে নিয়ে তারপরে ‘বাধ্য’ হয়ে তা তুলেছেন বলে কেন দাবি করছেন? যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ওই নেত্রী কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ করেছেন, কিংবা অভিযোগ করলে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কি না সে ব্যাপারে আমার কোনও ধারণা নেই৷ তা ছাড়া ওই নেত্রী এ দিন এমনিই পার্টি অফিসে এসেছিলেন৷ তাঁর সঙ্গে এ ধরনের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি৷ তিনি কোনও অভিযোগ প্রত্যাহার করে থাকলে, সংগঠনের তরফেও কোন চাপ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷’’
ওই নেত্রী যার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন, সেই যুব নেতাও তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ মানতে চাননি৷ তার পাল্টা অভিযোগ, যে বিষয়টা বলা হচ্ছে সেটা পুরোটাই ভুয়ো৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy