Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বোমায় জখম ১, টহল

বোমার আঘাতে জখম হলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন কানাইপুর গ্রামের বাসিন্দা সামিরুল ওরফে ছানাই।

গ্রামের ভিতরে পুলিশি টহল। নিজস্ব চিত্র।

গ্রামের ভিতরে পুলিশি টহল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৩
Share: Save:

বোমার আঘাতে জখম হলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন কানাইপুর গ্রামের বাসিন্দা সামিরুল ওরফে ছানাই। তিনি সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বুধবার সাঁইথিয়ার মিত্রপুর গ্রামের ঘটনা। সামিরুলের দাদা শেখ মুনাইয়ের দাবি, ‘‘পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে গ্রামের বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন ভাইকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। সেই বোমার আঘাতে ভায়ের এই অবস্থা।’’ যদিও পুলিশ সামিরুলের দাদার দাবি মানতে চায়নি। পুলিশের দাবি, সামিরুলের কাছে থাকা বোমা ফেটেই এই ঘটনা। গ্রামে পুলিশ পিকেট বসেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাঁইথিয়ার-বাতাসপুর এলাকার কানাইপুর গ্রামের দুটি গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। মঙ্গলবার রাত্রেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল হয়। গোলমাল এড়াতে পুলিশ ওই রাত্রেই গ্রামে টহলদারি শুরু করে। পুলিশের দাবি, এ দিন সকালে এলাকায় পুলিশ দেখে সামিরুল ব্যাগ হাতে পাশের মিত্রপুর গ্রামের একটি বাড়িতে ছুটে ঢুকে পড়ে। তাড়াহুড়োয় বোমা ভর্তি ব্যাগ হাত থেকে পড়ে গিয়েই সে আহত হয়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে। সামিরুলের দাদা মুনাইয়ের দাবি, সামিরুলের হাতে কোনও ব্যাগ ছিল না। কাজেই বোমা থাকার প্রশ্নই নেই। বিরোধীরা লোকজন ব্যাগে বোমা নিয়ে ভাইকে তাড়া করে। ভাই ভয়ে ছুটতে ছুটতে পাশের গ্রামে একজনের বাড়িতে ঢুকে পড়লে বিরোধীরা ভাইকে লক্ষ্য করে বোমার ব্যাগ ছুড়ে দেয়।

গ্রামে উত্তেজনা থাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওসি সুজয় টুঙ্গা, সদর সিআই সোমনাথ দে-পুলিশ কর্মীরা দুটি গ্রামেই টহল দেয়। পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sainthia Bomb
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE