‘স্মোক অ্যালার্ম’ বেজে উঠেছিল। তড়িঘড়ি নামানো হয়েছিল ইলেক্ট্রিকের মেন সুইচ। তাতেই বড়সড় অগ্নিকাণ্ড এড়ানো গেল সিউড়ি জেলা হাসপাতালের এসএনসিইউতে (সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট)। রক্ষা পেল ১৫টি শিশু। শুক্রবার ভোরের ঘটনা।
জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভোরবেলায় হঠাৎ সিউড়ি জেলা হাসপাতালের এসএনসিইউ-২ এর দেওয়ালে থাকা একটি ফ্যানে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পুলিশ ও দমকলের অনুমান, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। ভোররাতে ওয়ার্ডে পোড়া গন্ধ ও ধোঁয়া বেরোতেই সজোরে স্মোক অ্যালার্ম বেজে ওঠে। স্বাস্থ্যকর্মী ও দায়িত্বে থাকা নার্সেরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে অবশ্য বুদ্ধি করে ইলেক্ট্রিকের মেন সুইচ নামিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী। দ্রুত শিশুদের এসএনসসিইউ ১ স্থানান্তরিত করা হয়। খবর পেয়ে ভোরবেলায় সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি। আসে দমকল ও পিডব্লুডি-র ইলেক্ট্রিশিয়ানরা। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে পরিস্থিতি সামলানো যায়।
ঘটনা হল, বছর দু’য়েক আগে সিউড়ি জেলা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে আগুন লাগে। তারপর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে যথাবিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের উদ্বোধনের পরে বিভিন্ন ওয়ার্ড নতুন বিল্ডিংয়ে স্থানান্তরিত হলেও প্রসূতি বিভাগ ও এসএনসিইউ পুরানো বিল্ডিংয়েই রয়েছে। ফের সেখানেই আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য চড়ায়। তবে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে শুধু শিশুরাই থাকে বলে আতঙ্ক টের পাননি শিশুর বাড়ির লোকেরা। তবে গতবারের অগ্নিকাণ্ডের পরে লাগানো স্মোক বা ফায়ার অ্যালার্ম বেশ কাজে দিয়েছে।
সিএমওএইচ বলছেন, ‘‘এসএনসিইউ ২ এর দেওয়ালে একটি ফ্যানে আগুন ধরে গিয়েছিল। শুধু ওই ফ্যানটিকে খুলে ফেলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি দেখভাল করেছেন পিডব্লুউডি-র লোকেরা। এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে অনুরোধ করা হয়েছে তিনিও যাতে সব দিক খতিয়ে দেখেন।’’
সিএমওএইচ জানান, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হওয়ার পরে শিশুদের ফের পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সতর্কতা হিসেবে এখন থেকে প্রত্যেক দিন দু’বেলা দুটি এসএনসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও ডায়ালিসিস ইউনিটের ওয়ারিং চেক করা হবে। পুরানো এসি বদলে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy