Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

ভোটের আগে বিড়ি শ্রমিকদের কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রলোভিত করার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে নলহাটি থানার গোপালচকে গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁকে ঘিরে রেখে বিডিওকে খবর দেন। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের লোকজন গিয়ে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে লোহাপুরে নলহাটি ২ ব্লক অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৫৩
Share: Save:

রবিবাসরীয় প্রচার

বিধিভঙ্গের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি

ভোটের আগে বিড়ি শ্রমিকদের কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের প্রলোভিত করার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে নলহাটি থানার গোপালচকে গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁকে ঘিরে রেখে বিডিওকে খবর দেন। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের লোকজন গিয়ে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে লোহাপুরে নলহাটি ২ ব্লক অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। বিডিও গোবিন্দ নন্দী বলেন, “খবর পেয়ে লোক পাঠানো হয় সেখানে। গিয়ে এমসিসি টিম যা রিপোর্ট দিয়েছে তা খতিয়ে দেখে পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।” চেষ্টা করেও সিদ্ধার্থ রায় নামে ওই বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে বিজেপি-র জেলা সহসভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “কী হয়েছে সঠিক খবর জানা নেই। যতটুকু জেনেছি প্রচার চলাকালীন ওই নেতাকে মারধর করা হয়েছে। তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করেছে তৃণমূলের লোকজন।” তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মহম্মদ গিয়াসউদ্দিনের দাবি, “প্রচার চলাকালীন বিড়ি শ্রমিকদের পরিচয়পত্র বিলি করার জন্য প্রলোভন দেওয়ায় গ্রামবাসীরা তাঁকে আটকে রেখে বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছেন। গাড়ি ভাঙচুর বা মারধরের অর্ভিীোগ ভিত্তিহীন।”

রোদ আর নায়িকা

তাঁকে দেখতে এই দু’দিন আগেও জীবন বিপন্ন করে চলন্ত গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটেছেন মানুষজন। তিনি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মুনমুন সেন। রবিবার সকালে বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর স্কুল মাঠে সেই মুনমুন সেনের সভার অন্য ছবি দেখা গেল। সভায় লোক ছিল হাতে গোনা। নায়িকা দেখতে গেলেন না? প্রশ্ন শুনে কাঞ্চনপুরের এক বধূর জবাব, “রোদে পুড়ে নায়িকা দেখে কাজ নেই। যা গরম তাতে নিজে বাঁচলে তবে অন্য কথা।” ভিড় যে কম হয়েছে তা অবশ্য মানতে নারাজ যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “সভায় তো ভালই ভিড় হয়েছে। তবে গরম একটু কম হলে আরও লোক আসতেন।”

দুপুরে বাইরে নয়

হপ্তা কয়েক আগেও দলের কর্মীদের নিষেধ না মেনে ভর দুপুরে প্রচারে হেঁটেছেন তিনি। “তবে আর না। ভরদুপুরে আর প্রচারে যাব না” বলছেন সিপিএমের সেই ন’বারের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। রবিবার সকালে বাঁকুড়ার মানকানালিতে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। দুপুরে কোথায় যাবেন জানতে চাওয়ায় ওই উত্তর দেন তিনি। এক সিপিএম নেতার কথায়, “কয়েক সপ্তাহ আগেও গরমটা সহ্যের মধ্যে ছিল। এখন একেবারেই আলাদা। তাই রবিবার হোক বা সোমবার, দুপুরে আপাতত বাসুদেববাবু দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়ি বা কার্যালয়ে নিয়ম করে বিশ্রম নিচ্ছেন।

ব্যানার-বিভ্রাট

তৃণমূল-কংগ্রেস জোট প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোকে হাত চিহ্নে ভোট দিন। রবিবার হুড়া থানার লালপুর মোড়ে এমন ব্যানার দেখে তাজ্জব এক যাত্রী। ওই ব্যানারের এক পাশে বিজেপি-র প্রার্থী বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার আহ্বান, অন্য পাশে বামফ্রন্ট প্রার্থী নরহরি মাহাতোর ভোটের আর্জি। যাত্রীটির প্রশ্ন, “পুরুলিয়া কেন্দ্রে তো কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো ও তৃণমূলের মৃগাঙ্ক মাহাতো লড়ছেন। এরমধ্যে জোট প্রার্থী কোথা থেকে এলেন?” তাঁর ভুল ভেঙে দিলেন অন্য পথচারীরা। তাঁরা বললেন, “আরে ওই ব্যানার তো আগেরবারের। তখন শান্তিবাবুই কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। পরে দল বদলে শান্তিরামবাবু তৃণমূলে এলেও ওই ব্যানার খোলা হয়নি।”

উপোসী প্রার্থী

প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে জলখাবার খেয়ে কিংবা ভাত খেয়েই প্রচারে বেরোন কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতো। কিন্তু রবিবার বেরিয়েছিলেন খালি পেটে। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুরুলিয়া ১ ব্লকের চিড়কা শিবমন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। মন্দিরে পৌঁছে কুয়ো থেকে জল তুলে শিবের মাথায় তিনি জল ঢাললেন। শিবের পর পাশে কালী মন্দিরে। তারপরে রবিবারের প্রচার শুরু করলেন তিনি। স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, এখানকার এটাই রীতি। আগে শিবকে পুজো করে তারপর কালী মন্দিরে পুজো দিতে হয়। তবেই মনস্কামনা পূর্ণ হয়।

মাছের পাতলা ঝোল

প্রচণ্ড গরমে শরীর কাহিল। কর্মিসভা শেষে চোখেমুখে জল দিয়ে পুরুলিয়া ২ ব্লকের চরগালি গ্রামে এক কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে চললেন পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো। পাতে ভাত, আলু-করলা ভাজা, ডাল, লাউয়ের তরকারি ও মাছের পাতলা ঝোল দেখে খুশি প্রার্থী। পেশায় চিকিৎসক মৃগাঙ্কবাবু বললেন, “গরমে হাল্কা খাবার ছাড়া সুস্থ থাকা যাবে না। এমন রান্নাই দরকার।” হাঁফ ছেড়ে হাসি ফুটল গৃহকর্ত্রী পুষ্পরানি মাহাতোর মুখে।

ক্লিক করুন

দু’টি দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মহম্মদবাজার

দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করল মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। প্রথম দেহটি উদ্ধার হয় শনিবার রাতে মহম্মদবাজারের পুরাতন গ্রামের রাস্তায়। মৃতের নাম লুলন হেমব্রম (৪৮)। বাড়ি পুরাতন গ্রামের মাঝিপাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লুলনবাবু দাদাবৌদির সংসারে থাকতেন। ওই দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। রাতে স্থানীয় লোকজন তাঁকে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক করে কিছু বলা সম্ভব নয়। অন্য দিকে, রবিবার সকালে একই থানার আল্লাদিচক গ্রামের বাইরে একটি গাছে ঝুলন্ত দেহ মেলে চন্দন ভাণ্ডারি (২৫) নামে যুবকের। পারিবারিক কারণে চন্দন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা।

তোলা চেয়ে গ্রেফতার এক
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া

মাওবাদীদের নাম করে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জিতেন কুমার কোটশিলা থানার বড়রোলা গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই যুবক স্থানীয় এক রেশন ডিলারকে ফোন করে মোটা টাকা চেয়ে হুমকি দেয়। অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রবিবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে চারদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযু্ক্তকে জেরা করে এই চক্রে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা করা হবে।”

চোলাই আটক

বেআইনি ভাবে বাড়িতে চোলাই ও দেশি মদ মজুত করা এবং বিক্রির অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় হিড়বাঁধের নন্দা গ্রামে হানা দিয়ে পুলিশ ওই মহিলাকে ধরে। পুলিশের দাবি, ধৃতের বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ লিটার চোলাই, ২৫ বোতল দেশি মদ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE