Advertisement
১০ মে ২০২৪

টুকরো খবর

ট্রাফিক সিগন্যাল উপেক্ষা করার জন্য এক মোটরবাইক আরোহীকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া শহরের হাটমোড় এলাকায়। ঘটনার কথা জেনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শহরের ন’ডিহা এলাকার বাসিন্দা বৃন্দাবন কুণ্ডু মোটরবাইক নিয়ে হাটমোড় হয়ে ন’ডিহায় ফিরছিলেন।

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৪৯
Share: Save:

পুরুলিয়ায় মারধরে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া

ট্রাফিক সিগন্যাল উপেক্ষা করার জন্য এক মোটরবাইক আরোহীকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া শহরের হাটমোড় এলাকায়। ঘটনার কথা জেনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শহরের ন’ডিহা এলাকার বাসিন্দা বৃন্দাবন কুণ্ডু মোটরবাইক নিয়ে হাটমোড় হয়ে ন’ডিহায় ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় সিগন্যাল লাল থাকা সত্ত্বেও তিনি বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েন ট্রাফিক সিগন্যালের ‘নো-স্টপিং জোন’-এ। বৃন্দাবনবাবু বলেন, ‘‘অন্যেরা ঢুকে পড়েছিল দেখে আমিও ঢুকে পড়ি। আমি শেষের দিকে ছিলাম। আমি পার হয়ে যাওয়ার সময় কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী ছুটে এসে আমাকে গালাগাল করে দাঁড়াতে বলেন। আমি থামতেই আমার জামার কলার চেপে ধরে কেন আমি সিগন্যাল না থাকা সত্ত্বেও ঢুকে পড়েছি, তা জানতে চান।” তাঁর অভিযোগ, হঠাত্‌ই তাঁকে মারধর শুরু করেন ওই পুলিশকর্মী। তিনি জরিমানা করার কথা বলতে আরও এক পুলিশকর্মী ছুটে আসেন। দু’জনে মিলে তাঁকে মারতে থাকেন। মোটরবাইক আরোহীকে এ ভাবে মারধর করতে দেখে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় কিছু লোকজন অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে দাবি তোলেন। পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে দেয়। বৃন্দাবনবাবুকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান আশপাশের লোকজনই। তাঁর শরীরের নানা জায়গায় চোট রয়েছে। তাঁর ভাই মিলন কুণ্ডু বলেন, “দাদা আইন ভেঙে থাকলে পুলিশকর্মীরা তাঁকে বিধি মোতাবক জরিমানা করতে পারতেন। এ ভাবে রাস্তায় ফেলে মারধর করা কি বিধিসম্মত? তাঁরাই তো আইনের রক্ষক।” পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।”

মহিলা খুন, কবর থেকে তোলা হল দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই

বাবার বিরুদ্ধে মাকে খুন করার অভিযোগ আনল ছেলে। ছেলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার কবর থেকে দেহ তুলে ময়না-তদন্তে পাঠাল পুলিশ। ঘটনাটি মুরারই থানার আব্দুল্লাপুর নতুনপাড়ার। মুরারই ১ ব্লকের বিডিও আবুল কালাম বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযোগ পাওয়ার পরে এদিন সকালে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়না-তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুল্লাপুর নতুনপাড়া গ্রামের বসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী নুরুল শেখের বছর ২৪ আগে বিয়ে হয়েছিল একই থানার সুমোরপুর গ্রামের জাহেরা বিবির (৪০) সঙ্গে। তাঁদের দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে তিন বছর আগে বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ষোলো বছরের ছেলে রকি মাঝে মধ্যে বাড়ির বাইরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যায়। রকির অভিযোগ, “বাবা মাকে টাকা পয়সার জন্য প্রায়দিনই মারধর করত। মাকে যাতে মারধর না করা হয়, সে জন্য আমি বাবাকে টাকা দিতাম। কিন্তু বাবা শুনতেন না। সোমবার রাতে খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ভোরের দিকে বাবা আমাকে মা মারা যাওয়ার কথা জানায়। দেখি সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মায়ের দেহ ঝুলছে। ওই ভাবে মায়ের মৃত্যুর কথা কাউকে বলতে মানা করেন বাবা। যদি কাউকে বলে দিই, তা হলে আমার অবস্থা মায়ের মতো করে দেবেন বলে হুমকি দেন।” রকি জানায়, মায়ের দেহ কবর দেওয়ার পরে সে গোটা বিষয়টি মামাদের জানায় এবং থানায় অভিযোগও করে। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কোটেশ্বর রাও বলেন, “নুরুল শেখের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।”

সিউড়িতে জামিন মঞ্জুর সারদা কর্তার
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি

সাঁইথিয়া, সিউড়ি ও রাজনগরের তিনটি পৃথক জায়গায় আর্থিক প্রতারণা মামলায় জামিন পেলেন বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী সংস্থা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও তাঁর সহযোগী মনোজ নাগেল। বুধবার ধৃতদের সিউড়ি মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) আদলতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোত্‌স্না রায় তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের আইনজীবী চঞ্চল সেন ওই মামলায় চার্জশিট পেশ হয়ে গিয়েছে জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন। সরকারি আইনজীবী কুন্তল চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেননি। অন্য দিকে, আর এতটি বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী সংস্থার ডিরেক্টর কুন্তল চৌধুরীকেও অন্য একটি আর্থিক প্রতারণা মমলায় এ দিন একই আদালতে হাজির করানো হয়। অবশ্য তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়নি। আগামী ৬ মে তাঁকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই দিনে শুনানি হবে সরদা মামলারও।

নেতাকে নিগ্রহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বরাবাজার

সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যকে শারীরিক নিগ্রহ করার অভিযোগে পুলিশ এক তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে। বুধবার দুপুরে বরাবাজারের রাজাপাড়ার ঘটনা। কৃষ্ণপদ সিংহদেব নামের রাজাপাড়ার বাসিন্দা ওই সিপিএম নেতার অভিযোগ, এ দিন দুপুরে তিনি দলের তহবিল সংগ্রহের জন্য বেরিয়েছিলেন। স্থানীয় ওই তৃণমূল কর্মী সিপিএমের সম্পর্কে কটূক্তি করেন। প্রতিবাদ জানালে ওই যুবক কৃষ্ণপদবাবুকে গালিগালাজ করে জামার কলার ধরে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। কৃষ্ণপদবাবুর অভিযোগ, “ওই ঘটনার কিছু পরেই ছেলেটা টাঙ্গি নিয়ে এসে আমার উপর চড়াও হয়। তবে লোকজন জড়ো হওয়ায় সে পালায়।” তিনি থানায় অভিযোগ করেন। তবে, পুলিশ জানিয়েছে, জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ ছিল। দু’জনে দুই দল করায় এ দিনের গণ্ডগোলের ঘটনার জেরে রাজনৈতিক রং লাগে।

জল কোথায়, সিউড়িতে প্রশ্নের মুখে শতাব্দী

নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি

ভোট চাইতে গিয়ে সিউড়ি শহরে পানীয় জলের সমস্যার প্রশ্নে হোঁচট খেলেন বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। বুধবার বিকেলে সিউড়ির কয়েকটি ওয়ার্ডে বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দীর ছোট প্রচারসভা ছিল। যেখানেই সভা করতে গিয়েছেন, সেখানেই পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে স্থানীয় মহিলারা চিৎকার করে জানতে চান, “দিদি বিধানসভা ভোটের আগে আপনিই বলেছিলেন সিউড়িতে পানীয় জলের সঙ্কট সমস্যা। যা আপনি শীঘ্রই মিটিয়ে ফেলবেন বলেছিলেন। কিন্তু আজও ব্যবস্থা হল না।” শতাব্দীর বক্তব্য, “আমি তো নিজে কোনও কাজ করছি না। সিউড়ির জলের সমস্যা নিয়ে বারবার বহু জায়গায় কথা বলেছি।” ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রসিনা খাতুন, গুলজার বেগমরা বললেন, “নেতারা ভোটের মুখে অনেক আশ্বাস দেন। কিন্তু তা পূর্ণ হল না।” তৃণমূলশাসিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু জায়গায় মাটি খুঁড়ে পাইপ লাইন বের করে নোংরা জল সংগ্রহ করতে হয় বলে বাসিন্দাদের দাবি। সিউড়ি পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “যেমন যেমন টাকা পেয়েছি, তেমন কাজ এগোচ্ছে। আশা করি কয়েক মাসের সিউড়ি শহরে পানীয় জলের সঙ্কট থাকবে না।” জল-সঙ্কটই এ বার সিউড়ির তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের ভাবাচ্ছে।

পাড়ুই মামলা

সুপ্রিম কোর্টে ২৮ এপ্রিল, সোমবার পাড়ুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপিল মামলার শুনানি হতে পারে বলে বুধবার শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। সাগর ঘোষ খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন, তা জানতে চেয়ে ১১ জুলাই রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। কিন্তু ডিজি-কে তলবের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা করে। ডিভিশন বেঞ্চ তিন সপ্তাহের জন্য শুনানি স্থগিত করে দেয়। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিহতের ছেলে হৃদয় ঘোষ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। আইনজীবী রবিশঙ্কর প্রসাদ হৃদয়বাবুর হয়ে সওয়াল করবেন।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পুরুলিয়া-রাঁচি রাস্তার উপর কোটশিলা থানার দঙ্গল গ্রামের রাস্তায় লরির ধাক্কায় মোহনদাস কান্দু (৬৪) নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। তাঁর বাড়ি দঙ্গল গ্রামেই। তিনি এলাকায় বাড়িতে ও দোকানে জল দেওয়ার কাজ করতেন। এ দিন সকালে জল দেওয়ার সময় পুরুলিয়ামুখী লরিটি তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় মানুষজন নিয়ন্ত্রিত যান চলাচলের দাবিতে কিছুক্ষণ ওই রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশ অবরোধ ওঠায়।

ক্লিক করুন.....

তীব্র গরমে একটু স্বস্তির খোঁজ। হুড়ার লালপুরে। ছবি: প্রদীপ মাহাতো।

বুধবার জঙ্গলমহলের রানিবাঁধে প্রচারে গিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। প্রচারের সময় খবর পান,
রানিবাঁধের সিপিএম বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রমের স্বামী শুকলাল হেমব্রম মারা গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে বিধায়কের বাড়িতে
ছুটে যান সুভাষবাবু। দেবলীনাদেবী ও তাঁর ছেলে জয়প্রকাশকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি মৃতদেহে পুস্পস্তবক ছড়িয়ে
শ্রদ্ধা জানান সুভাষবাবু। তাঁর কথায়, “রাজনীতি যাই হোক, এটাই সৌজন্য।” ছবিটি তুলেছেন দেবব্রত দাস।

ভ্রম সংশোধন

বুধবার আনন্দবাজার পত্রিকায় পুরুলিয়া কেন্দ্রের ‘চারমূর্তি’তে লেখা হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী
নেপাল মাহাতো প্রাক্তন বিধায়ক। প্রকৃতপক্ষে তিনি বাঘমুণ্ডি কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক।
অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE