একে সাইকেল প্রতি ছাত্রীদের কাছে ৫০ টাকা চাওয়া হয়েছে। উপরন্তু অধিকাংশ সাইকেলই ভাঙাচোরা।
এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে ইংরেজবাজারের কন্যা শিক্ষালয় স্কুলে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রীরা। পরে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে। ছাত্রীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিস চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘সাইকেলের জন্য টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। সাইকেলও ভাঙাচোরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘একেবারে ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমরা যা সাইকেল পেয়েছি, তাই ছাত্রীদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে।’’
ইংরেজবাজার শহরের কে.জে স্যানাল রোড এলাকায় রয়েছে মালদহ কন্যা শিক্ষালয় হাইস্কুল। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে দশম শ্রেণিতে ৯০ জন এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ৭০ জন ছাত্রী রয়েছে। এ দিন দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হচ্ছিল। এ দিন ছাত্রীরা সাইকেলের জন্য ৫০ টাকা করে নিয়েও আসে। তবে অধিকাংশ সাইকেলই ভাঙা বলে অভিযোগ ছাত্রীদের। তাঁদের বক্তব্য, কোনও সাইকেলের সিট নেই, আবার কোনও সাইকেলের তালা, চাবি, ঝুড়ি ও লোহার রড বাঁকা।
এমন সাইকেল ঠিক করতেই পাঁচশো টাকার মতো খরচ করতে হবে। তার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ সাইকেল পিছু ৫০ টাকা করে দাবি করায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রীদের একাংশ। প্রথমে সাইকেল ভেঙে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পরে স্কুলের শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। ছাত্রীদের আরও অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ডের জন্যও তাদের কাছে ৪০ টাকা করে নেওয়া হয়।
স্কুলের বিক্ষোভের পরে ছাত্রীদের একাংশ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দারস্থ হয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। ছাত্রীদের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার বিষয়টি অন্যত্র জানালে মৌখিক ও প্র্যাকটিকাল পরীক্ষায় ১০ নম্বর করে কম দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘‘কয়েকটি সাইকেলেই সামান্য সমস্যা রয়েছে। আমাদের যা দেওয়া হয়েছে তা-ই ওদের দেওয়া হয়।’’ অতিরিক্ত জেলা শাসক দেবতোষ মণ্ডল বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy