দ্রুত আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে উত্তরবঙ্গের প্রথম পেশাদার ক্লাব বলে দাবি করলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবল অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া। ‘নর্থবেঙ্গল ইউনাইটেড’ নামে নতুন ক্লাবের নামও ভেবে ফেলেছেন তিনি। রবিবার শিলিগুড়িতে এ কথা জানান পাহাড়ি বিছে। ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এদিন সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদে আসেন তিনি। সেখানে ক্রীড়া পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। জেনে নেন ডার্বি নিয়ে ক্রীড়া পরিষদের প্রস্তুতির হাল। বৈঠকের পর ক্রীড়া পরিষদের সদিচ্ছা ও উদ্যোগে তিনি সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন।
এদিন ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের অধিকারী বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের প্রথম পেশাদার ফুটবল ক্লাব খুব দ্রুত দিনের আলো দেখতে চলেছে। কথাবার্তা অনেকটা এগিয়েছে। স্পনসরদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ক্রীড়াঙ্গণকে হোম গ্রাউন্ড হিসেবে নেওয়া হবে। এটা হলে একটা দারুণ ব্যপার হবে।’’ এর আগেও সিকিম ইউনাইটেড ক্লাবকে আই লিগে নামিয়েছেন তিনি। সুতরাং নতুন ক্লাব চালাতে তাঁর অসুবিধা হবে না। এ ব্যপারেও এদিন ক্রীড়া পরিষদের সহযোগিতা চান তিনি। পরিষদ সূত্রের খবর, এমন উদ্যোগে সামিল হতে চেয়ে ক্রীড়া পরিষদ কর্তারা সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছেন। তবে অরূপরতনবাবুকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি এখনই কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ভাইচুংয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয়ে কথা হয়েছে। তবে এখনই তা সংবাদমাধ্যমে বলার মত নয়।’’ পরিষদ সূত্রের খবর স্টেডিয়ামের কিছু পরিকাঠামোগত ত্রুটি মেরামত করে ফের ভাইচুংয়ে ডাকা হবে। তারপরে স্পনসরের বিষয় চূড়ান্ত হলেই সরকারিভাবে কিছু জানানো হবে। তবে ভারতের ফুটবল আইকন জানিয়েছেন, পুরনো ক্লাব নয়, নতুন করে ক্লাব তৈরি করে তাকে ফ্রাঞ্চাইজির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তবে আপাতত ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে আপাতত চিন্তা করছেন ক্রীড়া পরিষদ কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের সেন্টিমেন্টকে মাথায় রেখেই এখানে ম্যাচ করার জন্য অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন(এআইএফএফ)-কে রাজি করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁদের দুশ্চিন্তা যে কমেনি, তা পরিস্কার এদিন ভাইচুংকে শিলিগুড়ি পাঠানোর মধ্য দিয়ে। ভাইচুং জেনে নেন, কীভাবে পরিকল্পনা করে এগোনো হচ্ছে ডার্বি ম্যাচের জন্য। ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু হবে বলে। ভাইচুং অবশ্য পরে বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে এর আগে ফেডারেশন কাপ, নেহরু গোল্ড কাপ, আই লিগের দ্বিতীয় বিভাগের খেলা হয়েছে। সুতরাং তাঁরা জানেন, কীভাবে ম্যাচ খেলাতে হয়। এখানেই খেলা হচ্ছে ধরে নিয়ে এগোচ্ছি। আশা করি কোনও সমস্যা হবে না।’’ রাজ্য সরকার য়ে ক্লাবগুলিকে টাকা দিচ্ছে, তাতে খেলার কতটা উন্নতি হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘উন্নতি হবে কিনা জানি না। তবে উৎসাহ বাড়বে।’’ উৎসাহ বাড়লেই চর্চা ও মান বাড়বে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy