চিন্তায় পরিজন। নিজস্ব চিত্র
অসুস্থ মা-কে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে এসেছিলেন টোকন সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের খাসপুর এলাকায় মাসির বাড়িতে ওঠেন। মা কণিকাদেবী মারা যান রবিবার। কিন্তু তারপর থেকে মার দেহ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাসির বাড়ির ঠিকানাটাই। কণিকাদেবীর দেহ এখন গ্রামবাসীরাই বরফ দিয়ে কোনও মতে আগলাচ্ছেন।
কণিকাদেবীকে প্রথমে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়েছিলেন টোকোন। সেখানে চিকিৎসার পরে ফিরে আসেন মাসির বাড়িতেই। কণিকাদেবী আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে কণিকাদেবীকে রেফার করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। তখনই গোল বাঁধে। সে সময় কণিকাদেবীর স্থায়ী ঠিকানা বলে লেখা হয় তাঁর বোনের বাড়ি। তাই কণিকাদেবীর মৃত্যুর শংসাপত্রেও সেই ঠিকানাই রয়েছে। যে শংসাপত্র দেখে হিলিতে চেকপোস্টে আটকে দেওয়া হয়েছে দেহ।
জেলাশাসক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মৃতের ডেথ-সার্টিফিকেটে স্থানীয় ঠিকানার সঙ্গে বাংলাদেশের স্থায়ী ঠিকানা লিখে দিতে বলা হয়েছে। এই সব নথি এবং পাসপোর্ট ভিসার কপি নিয়ে কলকাতায় হাইকমিশনার দফতরে কণিকাদেবীর ছেলেকে যেতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে হিলি অভিবাসন ও শুল্ক দফতরে দেখালে মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যেতে কোনও সমস্যা হবে না।’’
জেলাশাসক জানান, বালুরঘাট হাসপাতালের মর্গে কণিকাদেবীর দেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালি থানার বরাইল এলাকার কৃষিজীবী পরিবারের গৃহকর্ত্রী অসুস্থ কণিকাদেবীকে নিয়ে ছেলে টোকোন গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পাসপোর্ট ভিসার মাধ্যমে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বালুরঘাটের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। টোকোন বলেন, ‘‘ঠিকানার ভুলে এমন পরিস্থিতিতে পড়ব জানা ছিল না। জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ সাহায্য করেছেন। তবে অনুমতি আনতে কলকাতায় ছুটতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy