Advertisement
১০ মে ২০২৪

টুকরো খবর

বালুরঘাট পুরসভার পর এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে। জেলা পরিষদের পূর্তকর্মাধ্যক্ষ তথা হরিরামপুরের তৃণমূল নেতা শুভাশিস পালের ক্ষমতা ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। দলে শুভাশিসবাবু বনাম জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেওয়ায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জেলাপরিষদেও।

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৪ ০১:০৭
Share: Save:

পুরসভার দ্বন্দ্ব জেলা পরিষদেও

নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট

বালুরঘাট পুরসভার পর এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে। জেলা পরিষদের পূর্তকর্মাধ্যক্ষ তথা হরিরামপুরের তৃণমূল নেতা শুভাশিস পালের ক্ষমতা ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। দলে শুভাশিসবাবু বনাম জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেওয়ায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জেলাপরিষদেও। তাঁকে গুরুত্বহীন করে দেওয়ার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরে জেলা পরিষদে অনিয়মিতভাবে আসছেন শুভাশিসবাবু। এর ফলে রাস্তা ও সেতু তৈরির নতুন প্রকল্প বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে দলের মধ্যে অভিযোগ উঠেছে। তার উপর গত দু’দিনে হরিরামপুরে জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের অনুগামী বলে পরিচিত ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাজমুল হকের নেতৃত্বে পর পর দু’টি সভা ও মিছিল শুভাশিসবাবুকে এড়িয়ে করায় এবং অঞ্চল কমিটি ভেঙে শুভাশিস পাল অনুগামীদের সরিয়ে দেওয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে হরিরামপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাজমুল হকের বক্তব্য, “জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের নির্দেশে দলের কাজ করছি।” আর শুভাশিসবাবু বলেন, “এবিষয়ে দলের জেলা সভাপতির কাছে লিখিতভাবে জানতে চাইবো।” দলের জেলা সভাপতি তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সকলকে নিয়ে দল চলে। দলের ভাবমুর্তি বজায় রাখার দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে হরিরামপুরে সংখ্যালঘু সেলের পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” তবে রাজনীতিতে পোড় খাওয়া তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের পূর্তকর্মাধ্যক্ষ শুভাশিস পালের ডানা ছাঁটতে দলের তরফেই ওই কৌশল নেওয়া শুরু হয়েছে।

চাঁদার জুলুম, তপনে বিক্ষোভ আদিবাসীদের

কালীপুজোর চাঁদার জুলুমের প্রতিবাদে তির ধনুক নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসীরা। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার ভিখাহার এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, এলাকার একটি ক্লাব কালীপুজো উপলক্ষে ছোট ব্যবসায়ী থেকে ভুটভুটির (ভ্যানো) চালকদের রাস্তায় আটকে জোরজবরদস্তি চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ ওঠে। গত শনিবার হাড়দিঘি এলাকার বাসিন্দা এক ভ্যানোর চালক, বছর তিরিশের অর্জুন মুর্মুর কাছ থেকে জোর করে ১০০ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তিনি প্রতিবাদ করে চাঁদা দিতে পারবেন না বলে আপত্তি জানালে অর্জুনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে তপন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার হাসপাতাল থেকে অর্জুনকে ছুটি দেওয়া হয়। এরপরই হাড়দিঘি এলাকার আদিবাসীপাড়ায় ক্ষোভ ছড়ায়। তাঁদের আরও দাবি, “পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এ দিন সকালে চারশো আদিবাসী তির ধনুক লাঠি নিয়ে ভিখাহারে ক্লাবটিকে ঘিরে ফেলেন। অর্জুনের উপর হামলায় অভিযুক্ত চাঁদা আদায়কারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর রাস্তা অবরোধ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন। খবর পেয়ে বালুরঘাট থেকে একজন ডিএসপি’র নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাঁরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে প্রায় ৪ ঘন্টা পরে অবরোধ ওঠে। ডিএসপি চিত্তরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

প্রতারণায় সিবিআই তদন্ত চায় ফব

শুধু সারদা নয়, সমস্ত ভুঁইফোঁড় সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হল ফরওয়ার্ড ব্লক। সোমবার দিনহাটার মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দেন ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মীরা। দলের অভিযোগ, কোচবিহারে রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল, রাহুল গ্রুপ বাসিন্দাদের কাছে কোটি কোটি টাকা তুলে প্রতারণা করেছে। ওই টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটেও গিয়েছে বলে দাবি বামনেতাদের। দলের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “ওই সংস্থাগুলি কোটি কোটি টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তুলেছে। সারদা কেলেঙ্কারি সিবিআই হাতে নেওয়ার পরে একের পর নেতা-মন্ত্রীদের নাম সামনে আসছে। অনেকের হাতে হাতকড়ি পড়ার উপক্রম হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হলে কোচবিহারের অনেক নেতার হাতে হাতকড়ি পড়বে।” তিনি রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করার দাবি জানিয়েছেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ পাল্টা বক্তব্য, “উদয়নবাবুর কথা এখন সাধারণ মানুষ শোনেন না। এমনকি তাঁর দল, তাঁর পরিবারের লোকেরাও তাঁর কথা শোনেন না। তিনি সার, বীজ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। তা নিয়ে আমরা তদন্তের দাবি তুলেছি। মানুষ ওঁকে উপযুক্ত জবাব দেবেন।” উদয়নবাবুদের পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তৃণমূল। এদিন বামেরা উত্তরবঙ্গে এইমসের দাবি নিয়েও সরব হন।

অস্বাভাবিক মৃত্যু যুগলের

অস্বাভাবিক মৃত্যু হল যুগলের। মৃতদের নাম বিশ্বজিত্‌ রায় (২৪) ও মনা রায় (২০)। শামুকতলা থানার উত্তর মাঝেরডাবরি গ্রামের ঘটনা। সোমবার সকালে গ্রামের কালকূট নদীর ধারে একটি কূল গাছের ডালে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। বিশ্বজিত্‌ কেরলে শ্রমিকের কাজ করতেন। পাঁচ দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। ভাইফোঁটার পরে কাজে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। মনা পুঁটিমারি হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিত্‌ ও মনার মধ্যে গত দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি বাড়ির লোকজন অন্যত্র মনার বিয়ে ঠিক করেছিলেন। খবর পেয়ে বিশ্বজিত্‌ মনাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে মনার বাড়ির লোকেরা আপত্তি করেন। এর পরেই দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যা থেকে ওরা নিখোঁজ ছিলেন। শামুকতলার ওসি বিনোদ গজমের বলেন, “প্রাথমিক তদন্ত জানা গিয়েছে, মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছিল। দু’জনের বাড়ির লোক বিয়েতে আপত্তি করায় তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান।”

পেনশনারদের সভা বালুরঘাটে

প্রাপ্য মহার্ঘ্য ভাতা, অবসরপ্রাপ্ত পেশনভোগী কর্মচারীদের সর্বশেষ মূল বেতনকেই বেসিক পেনশন হিসাবে গণ্য করা-সহ একগুচ্ছ দাবিতে সরব হল সারা বাংলা গভর্মেন্ট পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার বালুরঘাটে সংগঠনের দ্বিতীয় জেলা সম্মেলনে অরুণ ঘোষকে সমিতির সভাপতি এবং নারায়ণ ভৌমিককে জেলা সম্পাদক করে ২৫ জনের কমিটি তৈরি হয়। ছিলেন শতাধিক সদস্যেরা।

সিভিক ভলান্টিয়ারদের সভা। চাঁচলে।

দীপাবলির প্রস্তুতি। তৈরি হচ্ছে আকাশপ্রদীপ। চাঁচলে বাপি মজুমদারের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE