পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পদের শেষ নেই। আমিষ বা নিরামিষ। নানা রেস্তোরাঁয় নানা পদ। এ বার বাজার উপচে পরেছে ইলিশে। তাই এই রুপোলি শস্যকে ঘিরে হরেক ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে রেস্তোরা মালিকদের। প্রতি বছর বিরিয়ানি দখল করে রাখে অনেকটা জায়গা। বিরোধ মিটিয়ে দু’জনকে পাশাপাশি রাখার ভাবনাচিন্তাও করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই সে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক রেস্তোরাতেই পুজোর স্পেশাল মেনু ‘ইলিশ বিরিয়ানি’। দামও থাকবে নাগালে। রেস্তোরাঁ মালিকদের কথায়, ‘‘এ বার এখনও পর্যন্ত ইলিশ অনেক কম দামে মিলছে। সেক্ষেত্রে সাধারণের কথা চিন্তা করে ‘ইলিশ বিরিয়ানির’ দামও নাগালের মধ্যেই রাখা হবে।
কোচবিহারের বিশ্ব সিংহ রোড লাগোয়া একটি অভিজাত রেস্তোরাঁর মালিক রাজু ঘোষ জানান, পুজোয় তাঁদের বিশেষ পদ ইলিশ এবং বিরিয়ানি। ইতিমধ্যেই দু’টি পদ বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “ইলিশ এবং বিরিয়ানি দুটোই বাঙালির প্রিয়। দুটোর চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। কখনও কখনও এগিয়ে যাচ্ছে ইলিশ।” তিনি জানান, এ বার পুজোয় ইলিশ বিরিয়ানি তো তিনি রাখবেনই, সেই সঙ্গে ভোজনরসিক বাঙালির কথা মাথায় রেখে ইলিশ ভাপা, ইলিশ পাতুরি, সর্ষে ইলিশও তো থাকবে।
শহরেরই স্টেশনমোড়ের একটি বিরিয়ানির দোকানের পক্ষে প্রশান্ত সিংহ জানান, পুজোর কথা মাথায় রেখে তাঁরা চিকেন বিরিয়ানি, মটন বিরিয়ানি এবং এগ বিরিয়ানি রাখছেন। সেই সঙ্গে ইলিশের বিশেষ পদ ‘ইলিশ দম’ রাখবেন তাঁরা। থাকবে ইলিশ বিরিয়ানিও। তিনি বলেন, “দাম সবার নাগালের মধ্যেই রাখা হচ্ছে। মটন বিরিয়ানির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ইলিশ বিরিয়ানির দাম রাখা হবে। তবে ইলিশের দামের উপরেই সব নির্ভর করবে।”
গত কয়েক বছরে একাধিক রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে শহরে। অভিজাত রেস্তোরাঁর মালিকরা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা গুণমানের উপরে নজর দিচ্ছেন। সব থেকে ভাল ইলিশ বা ভাল মানের বিরিয়ানি তাঁরা গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে চান। সে কারণে দামের সঙ্গে আপস করবেন না। চিত্রশিল্পী তথা কোচবিহারের বাসিন্দা শ্রীহরি দত্ত বললেন, “পুজোয় আমাদের কাছে এ বার বিশেষ পাওনা ইলিশ বিরিয়ানি। আগে অনেক রেস্তোরাঁয় খুঁজেও তা মিলত না। এ বারে যা বিজ্ঞাপন দেখছি তাতে সবাই ওই আইটেম রাখবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy