উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার মালদহ ডিপো থেকে অন্তত ১২টি রুটে বন্ধ রয়েছে বাস পরিষেবা। মূলত বাসের অভাবেই ওই রুটগুলিতে পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। অথচ সংস্থার মালদহ ডিপোতেই অন্তত ৮টি বাস দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে।
সংস্থার বাস না চললেও ওই রুটগুলিতে কিন্তু দাপিয়ে চলছে বেসরকারি বাস। জেলার একাধিক রুটে সরকারি বাস না চলায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। রুটগুলিতে ফের বাস চালু করতে নতুন বাস চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে ডিপো সূত্রে খবর।
এনবিএসটিসির মালদহ ডিপো থেকে জেলা ও ভিন জেলা মিলিয়ে অন্তত ৩০টি রুটে বাস পরিষেবা চালু রয়েছে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ডিপোতে এখন ৪০টি বাস রয়েছে এবং সেগুলিকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ওই রুটগুলিতে চালানো হচ্ছে। উত্তরের কয়েকটি জেলায় সংস্থার পরিষেবা চালু থাকলেও মালদহে প্রায় ১২টি রুটে দীর্ঘদিন ধরে বাস পরিষেবা বন্ধ।
মালদহ থেকে শিলিগুড়ি ডে-সার্ভিস বহুদিন ধরেই বন্ধ। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে মালদহ থেকে কলকাতা রকেট সার্ভিস। চিত্তরঞ্জন, পুরুলিয়া, বক্সিরহাট, দুর্গাপুর, বনগাঁ এই রুটগুলিতেও বাস চালানো বন্ধ রয়েছে অনেকদিন। সংস্থার অনেক কর্মীই বলছেন, ওই রুটগুলিতে লড়ঝড়ে বাস চালানো হলেও তাতে কিন্তু ভিড় হত ভালো। অথচ সেই লাভজনক রুটগুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। কয়েকমাস আগেও মালদহ থেকে মহদিপুর রুটে দু’টি বাস দিনে তিনবার যাতায়াত করত। কিন্তু এখন একটি বাস একবার যাতায়াত করছে।
মালদহ জেলার অন্যতম লাভজনক রুট মালদহ-নালাগোলা। সেই রুটে এখন পাঁচ মিনিট অন্তর বেসরকারি বাস চললেও সেই রুটেও সংস্থার বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। একইভাবে উত্তর লক্ষ্মীপুর, ঋষিপুরের রুটেও বাস চলছে না। মালদহ-চাঁচল রুটেও কোনও বাস চলে না।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার মালদহ ডিপো ইনচার্জ গৌতম ধর বলেন, ‘‘রুটগুলিতে পরিষেবা দিতে বাস দরকার। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এছাড়া মালদহ থেকে তারাপীঠ, শিলিগুড়ি রুটের জন্য নতুন বাস চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’’
সংস্থার চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘মালদহ ডিপো থেকে এখন বাস ছাড়ছে না। নতুন বাস টার্মিনাস থেকে চলছে। কিন্তু সেখানে এখনও পরিকাঠামো ঠিক নেই। তাই নতুন বাস দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy