প্রতীকী ছবি
বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখায় প্রসূতি এবং গর্ভবতী শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির পাকুড়তলার একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে তা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে তুমুল গোলমাল বাধে। রোগিণীর পরিবারের লোকেরা অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতারের দাবি তোলেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম মিনু বড়ুয়া (৩২)। বাড়ি শিলিগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আদর্শপল্লি এলাকায়। তিনি সাত মাসের গর্ভবতী ছিলেন। অভিযোগ, ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক গোষ্ঠবিহারী দাসের অধীনে আগে থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এ দিন ব্যথা শুরু হলে প্রসূতিকে বেলা ৩টে নাগাদ নার্সিংহোমে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। মৃতার স্বামী স্বপনবাবুর অভিযোগ, রোগিণীকে ভর্তির জন্য তখনই ১০ হাজার টাকা কাউন্টারে জমা করতে বলা হয়। তাদের জানানো হয়, রোগিণীর চিকিৎসা করুন টাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অথচ তিন ঘণ্টা রোগিণীকে কেউ দেখেনি। ৬টার পর এক চিকিৎসক রোগিণীকে দেখেন। এত ক্ষণ পড়ে থাকায় রোগিণীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয় পড়ে। পরে চিকিৎসক জানান, গর্ভস্থ শিশু এবং রোগিণী দু’জনেই মারা গিয়েছে।
প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হরিনারায়ণ অগ্রবাল প্রসূতিকে দেখেছিলেন। তিনি জানান, রোগিণীর অবস্থা খারাপ ছিল। তাঁর ডায়াবেটিস রয়েছে। ইনসুলিন দেওয়া হত। এর আগে তিন বার তাঁর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়েছে। রোগিণীর আত্মীয়দের জানানো হয়েছিল যে ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন ভর্তি হলে রোগিণীকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। প্রস্রাবের সমস্যা হচ্ছে দেখে নিজেই ক্যাথিটার লাগিয়ে দিয়েছি। পরে নার্স জানান, গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন কমে আসছে। তখন ওটিতে নেওয়া হয়। দ্রুত রোগিণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি মারা যান।’’ নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয়, চিকিৎসক গোষ্ঠবিহারী দাস শহরের বাইরে রয়েছেন। তাঁদের তরফে বেণুগোপাল দাস জানান, চিকিৎসক প্রসূতিকে দেখেছিলেন। রোগিণীকে ফেলে রাখার অভিযোগ ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy