ঝড়ে শিলিগুড়িতে ছিঁড়ে গিয়েছে হোর্ডিং। বুধবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।
ঘূর্ণাবর্তের টানে ফের ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হল উত্তরবঙ্গের তিন জেলা। মঙ্গলবার শেষ রাত থেকে কয়েক দফায় ঝড় বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি-সহ কোচবিহার, ইসলামপুরে। ঝড়ে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, ফসল এবং বেশ কিছু বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। গভীর রাতে ঝড় শুরু হয় শিলিগুড়িতে। ঝোড়ো হাওয়ায় বেশ কিছু এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। কিছু পরেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বৃষ্টির সঙ্গেই চলতে থাকে দমকা হাওয়া। গত শনিবার রাতেই ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল শিলিগুড়ি শহর। সে দিন শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে যায়, বেশ কিছু রাস্তাও গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার ইসলামপুর মহকুমার ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চোপড়া-সহ সব এলাকাতেই হালকা ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে কোচবিহারে। শুধু এ দিন নয়, গত কয়েকদিনের টানা ঝড়-বৃষ্টিতে পাট চাষও ক্ষতির মুখে পড়েছে কোচবিহারে। কোচবিহারে ২ নম্বর ব্লক এবং মাথাভাঙা-২ নম্বর ব্লকের বেশ কিছু গ্রামে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির পাট নষ্ট হয়েছে। কৃষি দফতর তা নিয়ে ইতিমধ্যে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। এ ছাড়াও সব্জি চাষেও সামান্য ক্ষতি হয়েছে। প্রতিদিন নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে বলে অভিযোগ। রাতের দিকেই বেশিরভাগ সময় বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ফলে সারা রাত বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ। এমনকী, সকাল গড়িয়ে দুপুর হওয়ার পরেও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না দাবি। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, ঝড়ের ফলে কোথাও খুঁটি পড়ে যাচ্ছে, আবার কোথাও তার ছিঁড়ে যাচ্ছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। তার বাইরেও তাঁরা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। গত কয়েকদিনে বেশ কিছু বাড়িরও ক্ষতি হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “কৃষিতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সে সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠনো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের আকাশের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। তার জেরেই ঝড়-বৃষ্টি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy