এসির হাওয়া ক্ষতি করে শরীরের। ছবি: সংগৃহীত।
অসহনীয় গরমে এসি ছাড়া চলা বেশ কষ্টদায়ক। বাইরের তাপপ্রবাহের আঁচ যাতে গায়ে না লাগে, সেই জন্য সারা ক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকার চেষ্টা করছেন অনেকেই। এসি থেকে বেরোনো মানেই ঘেমে স্নান করে যাওয়া। সেই ভয়ে বাতানুকূল যন্ত্রের হাওয়ায় থাকতে বেশি পছন্দ করছেন অনেকেই। তাতেই বাড়ছে বিপদ। দিনরাত এসিতে থাকার কারণে নিঃশব্দে নানা রোগবালাই বাসা বাঁধছে শরীরে। এসির হাওয়া সাময়িক স্বস্তি দিলেও কোন দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলির ঝুঁকি বাড়ছে এর ফলে?
ড্রাই আইজ়
সারা ক্ষণ ল্যাপটপ, ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে ড্রাই আইজ়ের সমস্যা দেখা দেয়। সারা ক্ষণ এসিতে থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। কারণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা শুষে নেয়। আর্দ্রতার অভাবে চোখে অস্বস্তি হতে পারে।
ত্বকে অস্বস্তি
যন্ত্রের হাওয়া তাৎক্ষণিক স্বস্তি দিলেও ত্বকের উপর এর প্রভাব পড়ে। একটানা এসি ঘরে থাকলে ত্বকে চুলকানি, র্যাশের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকে ভোগান্তি বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে পারলে ভাল।
মাথা যন্ত্রণা
অসহনীয় গরমের হাত থেকে বাঁচায় বাতানুকূল যন্ত্র। কিন্তু একটানা এসির সংস্পর্শে থাকলে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়। কারণ, ঠান্ডা লাগে বলে জল কম খাওয়া হয়। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে মাথা যন্ত্রণা হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আগে থেকেই যাঁরা ভুগছেন, এসিতে বেশি ক্ষণ থাকা তাঁদের একেবারেই উচিত নয়। এসি চললে দরজা-জানলা খুলে রাখা যায় না। বাইরের আলো-বাতাসও চলাচল করতে পারে না। এমন পরিবেশে শ্বাস নিতে আরও বেশি সমস্যা হয়। শ্বাসকষ্টের কোনও পূর্ব সমস্যা না থাকলেও অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।
ক্লান্তি
শরীরের চনমনে ভাব চলে যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের হাওয়ায় থাকলে। বাইরের টাটকা হাওয়া শরীর মাখতে পারে না। যান্ত্রিক কৃত্রিমতা শরীর ভিতর থেকে দুর্বল করে তোলে। কোনও শক্তি পাওয়া যায় না। সারা ক্ষণ একটা ঘোর লাগা ভাব থেকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy