Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ধর্ষণের চেষ্টায় গণধোলাই

জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবনগরের সাউথ মালদহ কলেজে প্রথম বর্ষে সাধারণ বিভাগে পড়াশোনা করে আক্রান্ত ছাত্রী। তাঁর বাবা পেশায় দিনমজুর। তিন ভাই-বোনদের মধ্যে ওই ছাত্রীই ছোট। অভিযোগ, বছর খানেক ধরে প্রতিবেশী যুবক অনিল মণ্ডল ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করত।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০২:৫৬
Share: Save:

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে ঢুকে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বাধা দেওয়ায় ওই ছাত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয়। অভিযুক্ত যুবককে গণধোলাই দেয় ছাত্রীর পরিবার-সহ গ্রামবাসীদের একাংশ। শনিবার গভীর রাতের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বৈষ্ণবনগর থানার চকবাহাদুর পুরের বাঙালিপাড়া গ্রামে। আক্রান্ত ছাত্রী এবং অভিযুক্ত যুবক ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যালে। এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের না হলেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবনগরের সাউথ মালদহ কলেজে প্রথম বর্ষে সাধারণ বিভাগে পড়াশোনা করে আক্রান্ত ছাত্রী। তাঁর বাবা পেশায় দিনমজুর। তিন ভাই-বোনদের মধ্যে ওই ছাত্রীই ছোট। অভিযোগ, বছর খানেক ধরে প্রতিবেশী যুবক অনিল মণ্ডল ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করত। ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু তাঁরা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এই নিয়ে দু’পরিবারের বিবাদ প্রায়ই লেগে থাকত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিল ঝাড়খণ্ডের নিলসর গ্রামের বাসিন্দা। বৈষ্ণবনগরের চকবাহাদুরপুরের বাঙালিপাড়ায় দিদির বাড়িতে থেকে এখানে শ্রমিকের কাজ করে।

অভিযোগ, এ দিন রাত ১টা নাগাদ অনিল পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে তরুণীর শোয়ার ঘরে চলে যায়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তরুণী চিৎকার করায় হাঁসুয়া দিয়ে তাঁর মাথায় ও হাতে আঘাত করে। ঘটনায় হইচই শুনে পরিবার ও স্থানীয়েরা ছুটে গিয়ে অনিলকে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। স্থানীয়েরা অভিযুক্ত ও আক্রান্ত ছাত্রীকে উদ্ধার করে বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রাতেই তাঁদের মালদহ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করেন।

আক্রান্ত ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘স্বামী ও ছেলেদের নিয়ে বাড়ির ছাদে ঘুমিয়ে ছিলাম। আর মেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সেই সুযোগে ওর ঘরে ঢুকে অনিল ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়ে চিৎকার করলে তাকে খুনেরও চেষ্টা করে। আমরা থানায় অভিযোগ জানাব। আক্রান্ত ছাত্রী বলেন, ‘‘আমাকে একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি রাজি হয়নি। তার জন্যই হামলা করে। আমি তার শাস্তি চাই।’’ অভিযুক্ত যুবক অবশ্য মুখ খুলতে চাননি। মালহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Maldah ধর্ষণ
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE