Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

নির্মল বাংলা: কাজের কথা হোক

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ০০:০৭
Share: Save:

নির্মল বাংলা: কাজের কথা হোক

‘নির্মল বাংলা দিবস’ হিসেবে নির্দিষ্ট দিন স্থির হল, ৩০ এপ্রিল। উদ্দেশ্য সুন্দর। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য চাই হাতেকলমে কাজ, যা মানুষকে সচেতন করে, কাজে উজ্জীবিত করে। শুধুমাত্র নির্মল বাংলা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘নির্মল গ্রামের শপথ’ বাক্য পাঠ, মানব বন্ধন প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করলেই হবে না। সত্যিকারের নির্মল বাংলা গড়ে তোলার জন্য যদি সমস্ত বিভাগের কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ সপ্তাহের এক একটি দিনকে বেছে নেয়, তা হলে মনে হয় তা অধিক কার্যকর হবে।

যেমন, ব্লক আধিকারিক ও তাঁর কর্মচারীরা হয়তো প্রতি সোমবার এক বা দুটি ঘণ্টা ব্যয় করবেন নির্মল বাংলা তৈরিতে। মঙ্গলবার সেই দায়িত্ব নেবেন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষকশিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য ও গ্রামবাসীরা। একই রকম ভাবে শহরে এই দায়িত্ব নেবেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর ও বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা। এ ভাবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি বিভাগ যদি তাঁদের মূল্যবান সময়ের দুটি ঘণ্টা স্বহস্তে কাজের দ্বারা ব্যয় করেন, বাংলার পরিবেশ ধন্য হয়ে যাবে। একই সঙ্গে দেখা যাবে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কাজে এগিয়ে যাচ্ছেন। আর, উক্ত দু’ঘণ্টা কাজের ফাঁকে সেই এলাকা বা পাড়ার মানুষকে মিনিট পাঁচেক বোঝাতে হবে, যত্রতত্র, বিশেষ করে রাস্তায় বা ড্রেনে বাড়ির কোনও নোংরা আবর্জনা ফেলা যাবে না। পলিব্যাগ যথাসম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে। খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ ও ধূমপান করা যাবে না। এ তো গেল নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সাধারণ শিক্ষিত মানুষের প্রতি আবেদনের কথা। কিন্তু বহুতলে বাস করা কিছু উচ্চশিক্ষিত মানুষকে দেখা যায় গ্রিল বা জানালা থেকে থুতু, চুলের দলা বা কোনও নোংরা পলিব্যাগ নীচে ফেলছে। তাঁরা যদি প্রকৃত শিক্ষিতের মতো পরিবেশকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করেন তা হলে খুব ভাল হয়। প্রতিটি পুরসভার কাছে আবেদন, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রতিটি বাড়ির সামনে নোংরা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা এবং সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ড্রেনগুলি থেকে নোংরা তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি গলি এবং রাস্তার ধারে যাতে আবর্জনার স্তূপ জমে না-থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।

এই প্রসঙ্গে আর একটি সমস্যার কথা বলি। আমাদের এই জেলাশহরে সারমেয়ভক্ত প্রভুরা অলিতে গলিতে পোষ্যজীবটিকে মলত্যাগ করান। এক বারও ভাবেন না, এই গলিগুলি মানুষের বাড়ি থেকে বেরোনোর একমাত্র পথ। শহরের বিভিন্ন লেনে চলতে চলতে মাঝে মাঝে নাকে রুমাল চাপা দিতে হয় কয়েক দিনের জমা আবর্জনার দুর্গন্ধে। ড্রেনের গন্ধে কারও বাড়ির দরজায় দু’মিনিট দরজা খোলার অপেক্ষায় থাকা যন্ত্রণাদায়ক।

স্বাগতা দাস। ইংরেজ বাজার, মালদা

রবার পার্ক

নুরুল আবসারের লেখা ‘জলের দরে জমি চাই, সঙ্কটে রবার পার্ক’ (১৪-৬) প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জানাই, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি ‘প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ’-এর ভিত্তিতে হচ্ছে। এক দিকে আছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক এবং রাজ্য শিল্পন্নয়ন নিগম, অন্য দিকে রয়েছে ২০৬টি রবারভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। রবার পার্কটি গড়ার জন্য পৃথক একটি সংস্থা তৈরি করা হয়েছে: ‘সাউথ এশিয়া রবার অ্যান্ড পলিমার পার্ক’ বা সারপোল। এটি স্বশাসিত সংস্থা যা তৈরি হয়েছে ১৯৫৬ সালের কোম্পানি আইন মেনে। সারপোলের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনার জন্য আবার তৈরি হয়েছে স্পেশাল পারপাস ভেহিক্‌ল (এসপিভি)। এটিও তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প দফতরের নির্দেশ মেনে। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া রবার ইন্ডাস্ট্রিস অ্যাসোসিয়েশন’-ই এই পার্ক-এর জমির লিজ বা খাস করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে। এটা ঠিক নয়। এটা অ্যাসোসিয়েশনের এক্তিয়ারভুক্তও নয়। বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলার একমাত্র অধিকারী হল সারপোল।

রমেশ কেজরীবাল। চেয়ারম্যান, অল ইন্ডিয়া রবার ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন

প্রতিবেদকের বক্তব্য: রবার পার্ক-এর সঙ্গে অল ইন্ডিয়া রবার ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের কোনও সম্পর্ক নেই, এ কথা ঠিক নয়। সাউথ এশিয়া রবার অ্যান্ড পলিমার পার্ক বা সারপোল-এর ওয়েবসাইটেই পরিষ্কার লেখা আছে, অল ইন্ডিয়া রবার ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনই ডোমজুড়ে রবার পার্ক তৈরির জন্য প্রাথমিক উদ্যোগ নেয়, এবং এ জন্য প্রথম দিকে জমি কেনা হয়েছে অ্যাসোসিয়েশনেরই উদ্যোগে। তবে যেহেতু পার্কটি তৈরি হয়েছে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ পদ্ধতি মেনে এবং প্রকল্পটিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের টাকা আছে তাই কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রকের নিয়ম মেনেই তৈরি করতে হয়েছে সারপোল নামে পৃথক একটি সংস্থা যাতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। এসপিভিও তৈরি করতে হয়েছে সরকারের নিয়ম মেনেই। এটা ঠিকই যে, জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সরাসরি অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করছে না, সারপোলই এই সংক্রান্ত আলোচনা করছে। প্রতিবেদনে এই বিষয়টির উল্লেখ থাকলে ভাল হত। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

‘রান্নার খরচ’

আপনাদের প্রতিবেদনে (‘পেটপুজোয় আমরা ওঁরা’, ২৪-৬) খাবারের দাম এবং রান্নার খরচের একটি তুলনামূলক চার্টে, দৃষ্টান্ত হিসেবে, কলকাতার ৬ বালিগঞ্জ প্লেস রেস্তোরাঁর কিছু ডিশ-এর ‘দাম ও রান্নার খরচ’ পেশ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে: মাটন কারির দাম ২৯৫ টাকা, রান্নার খরচ ৪০ টাকা (এক টুকরো); নন-ভেজ থালি ২৫০ টাকা, রান্নার খরচ ৫০ টাকা; ভেজ থালি ১৭৫ টাকা, রান্নার খরচ ২৫ টাকা।

‘রান্নার খরচ’-এর এই হিসেবগুলি ভুল। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে আমাদের কাছে এখানে খাবারের সঠিক দাম সম্পর্কে জানার জন্য কোনও রকম যোগাযোগও করা হয়নি। অতিথিদের যে মানের পরিষেবা আমরা পৌঁছে দিই সে সম্পর্কেও একটা ভুল ধারণা এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

সুশান্ত সেনগুপ্ত। পরিচালক, স্যাভোরাইটস হসপিট্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা-৪২

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE