আকাশ দু’ভাগ
‘দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে আকাশ দু’ভাগ’ (২১-৩) সংবাদটিতে সঠিক ভাবে কলকাতার নতুন এ টি সি সেক্টর ‘কলকাতা ওসনিক কন্ট্রোল’-এর সূচনার কথা জানানো হয়েছে। নতুন নতুন বিমানপথ (এয়ার রুট) এবং ক্রমবর্ধমান বিমানের উড়ানের জন্য এই নতুন সেক্টরটির প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
তবে, হয়তো পাঠককুলকে আকাশের বিমানপথের সুরক্ষায় এ টি সি-র গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে এই প্রতিবেদনে কয়েকটি কাল্পনিক ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে যার প্রতিকূল প্রভাব বিমানযাত্রীদের উপর পড়তে পারে এবং কলকাতা এয়ার ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্মাতে পারে যা দূর করার প্রয়োজন মনে করছি।
কলকাতা এ টি সি প্রতিদিন কলকাতা বিমানবন্দরে ৩০০টির মতো বিমানকে এ টি এস রুট থেকে রানওয়ের পথে সঠিক ভাবে আনয়ন ও রানওয়েতে সঠিক ব্যবধানে অবতরণ এবং ডিপার্চারের পরে সঠিক ভাবে এ টি এস রুটে প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে। এ ছাড়াও, প্রতিদিন পূর্বাঞ্চলের আকাশ দিয়ে চলাচলকারী ৭০০-৮০০টি বিমানের (পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিমানবন্দরগুলিতে যাতায়াতকারী এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলি থেকে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে চলাচলকারী) যাতায়াত পথের সঠিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে। কলকাতা ফ্লাইট ইনফরমেশন রিজিয়নের হাতে যে মোটামুটি ৬০০×৬০০ বর্গ নটিক্যাল মাইলের আকাশসীমা আছে, তাতে প্রতিদিন অসংখ্য সম্ভাব্য (পোটেনশিয়াল) কনফ্লিক্ট সিচুয়েশন তৈরি হয় এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ এ টি সি অফিসারেরা বিভিন্ন রেডার এবং এ ডি এস যন্ত্রের সাহায্যে অথবা প্রসিডিয়োরাল উপায়ে তার সমাধান করে দেন। কলকাতার উপর দিয়ে এই এয়ার করিডরটি বিশ্বের ব্যস্ত করিডরগুলির মধ্যে পড়ে এবং এটি অত্যন্ত সুরক্ষিত।
ভারতের আকাশসীমায় বিমানপথগুলির সুরক্ষায় এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এ এ আই) প্রতিনিয়ত নিয়োজিত এবং এয়ারনেভিগেশন সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থা হিসাবে বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। আরও উন্নততর পরিষেবার লক্ষ্যে এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া কলকাতা এয়ার ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আধুনিকীকরণের একটি পদক্ষেপও নিয়েছে। এই প্রজেক্টে অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড রেডার সিস্টেম ও এক্সটেন্ডেড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের সাহায্যে সমস্ত পূর্বাঞ্চলের আকাশকে সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত করা হচ্ছে, যার সুফল আগামী তিন চার মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
চন্দন সেন। জেনারেল ম্যানেজার, এয়ার ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (পূর্বাঞ্চল), কলকাতা-৫২
প্রতিবেদকের উত্তর
অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অফিসারেরা অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন, যেখানে বিমানযাত্রীদের জীবনমরণ নির্ভর করে। ওই অফিসারদের উপরে চাপ কমাতেই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল। সেখানে কোথাও এই অফিসারদের কৃতিত্ব একটুও ছোট করা হয়নি, বরং তাঁদের সেই কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে যে ঘটনাগুলি উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলিকে ‘কাল্পনিক ঘটনা’ বলে যে প্রতিবাদ করা হয়েছে, তা প্রতিবেদনের মূল উপপাদ্য বিষয় নয়। বিষয়টি আকাশ ভাগ করে বিমান চলাচল আরও নিরাপদ করা। তবে, উদাহরণে যে বিদেশি বিমানসংস্থাগুলির উল্লেখ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট ভাবে সেগুলির নামই কেন প্রকাশিত হল, তা নিয়ে আরও সন্ধানের অবকাশ বোধহয় থেকেই যায়।
আর দজ্জাল বউরা?
উপল সেনগুপ্ত (‘দশটা’, রবিবাসরীয়, ১৩-৪) গরমে ঠান্ডা থাকার দশটা টেকনিক বলতে গিয়ে খিটখিটে স্বামীকে দিঘায় ছুটি কাটাতে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন একটা পরামর্শ দেওয়ার সময় ওঁর কি শুধুমাত্র খিটখিটে স্বামীদেরই চোখে পড়ল? চারটে ‘পি’ অর্থাত্ ‘পীড়িত পুরুষ পতি পরিষদ’ সংগঠনের অসহায় সদস্যদের মুখখানা কি একটি বারও উপলবাবুর মানসচোখে ভেসে উঠল না? ঘ্যানঘেনে, বাতিকগ্রস্ত, দজ্জাল বউদের উনি কি অন্তত আন্টার্কটিকায় পাঠানোর পরামর্শ দিতে পারতেন না?
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর, হুগলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy