গরমে স্মৃতির প্রচার ‘কটন ইজ কুল’
হ্যাশট্যাগ কটন ইজ কুল। সুতির শাড়ি পরা ছবি টুইট করে স্মৃতি ইরানির আর্জি, গরমে সবাই সুতির পোশাক পরুন। বস্ত্রমন্ত্রীর লক্ষ্য, সুতির পোশাকের বিক্রি বাড়লে তুলো চাষিদেরও উপকার হবে। স্মৃতি হয়তো ভেবেছিলেন, শুধু মহিলাদেরই সাড়া মিলবে। কিন্তু তাঁকে অবাক করে বিজেপি-র নেতারাও এগিয়ে এসেছেন।
পীযূষ গয়াল, সুরেশ প্রভু, ধর্মেন্দ্র প্রধান, জয়ন্ত সিংহ, কিরণ রিজিজু-র মতো কেন্ত্রীয় মন্ত্রী থেকে শিবরাজ সিংহ চহ্বাণ, রঘুবর দাসের মতো মুখ্যমন্ত্রীরাও টুইটে সুতির পোশাকে হাসিমুখে উদয় হয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছে, কে কত ‘কুল’, তারই প্রতিযোগিতা চলছে।
মমতার অভিযান
দিল্লিতে গ্রীষ্মের সন্ধ্যা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাউথ অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট। লন-এ হাঁটছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ কানে এল কান্নার শব্দ। এক শিশু বাঁদর সরু কার্নিশে তার জড়িয়ে আটকে গিয়েছে, ভয়ে ডুকরে কাঁদছে। ছাদের ওপর তার মা। চেষ্টা করছে, কোনও মতে কেব্ল তারের জাল থেকে তাকে বের করা যায় কি না। বাঁদরের কান্নায় আরও বাঁদর এসে হাজির। নিরাপত্তাকর্মীরা প্রথমে টর্চের আলো ফেলে দেখলেন, ঠিক কী অবস্থায় আছে শাখামৃগ। তার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হল পুলিশের উদ্ধার অভিযান। বাঁদরের গোটা দল তখন নির্বাক। মায়ের কোলে শেষ পর্যন্ত এল শিশু। দল বেঁধে মহানন্দে বিদায় নিল বাঁদররা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাদের বিস্কুটও খেতে দিলেন।
সিনেমার টানে
বিরোধী শিবিরের আক্রমণ, তার মধ্যেই রামগোপাল বর্মার ‘সরকার-থ্রি’ দেখে এলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সিনেমা দেখতে ভালবাসেন। আর ‘সরকার’ তো রাজনীতি-নির্ভর সিনেমা। ফলে সুযোগ ছাড়েননি কেজরীবাল। বিক্ষুব্ধ নেতা কপিল মিশ্রের কটাক্ষ: মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় যাওয়ার সময় নেই, সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন! চলতি সপ্তাহে সিনেমা হল-এ দেখা গিয়েছে মুলায়ম সিংহ যাদবকেও। তিনি দেখতে গিয়েছিলেন ‘বাহুবলী টু’। যাদব রাজনীতিতে তিনিও কম বড় বাহুবলী ছিলেন না! রাজনীতির ফেরে আজ বাহুবলীর মতোই রাজ্যপাটহীন, একা।
খুশি কান্ত
তিন চাকার ছোট্ট হলদে টেম্পোয় ঝুলতে ঝুলতে চলেছেন লাল পাগড়ি পরা রাজস্থানিরা। লন্ডনের টিউব রেলের অক্সফোর্ড সার্কাস স্টেশনে। শেফার্ড’স বুশ স্টেশনে আবার হিমালয়ের রাস্তায় ভেড়ার পালের ছবি। কিং’স ক্রস-এ দশেরার মস্ত রাবণের পুতুল। আর্চওয়ে-তে আবার চক্রাসন। স্টেশনের নামের সঙ্গে মানানসই করে ‘ইনক্রেডিব্ল ইন্ডিয়া’-র এমনই ছবিতে সেজেছে লন্ডনের টিউব রেল। জেনে দারুণ খুশি নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত। হবেন না-ই বা কেন! ভারতে পর্যটক টানতে ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ প্রচারমন্ত্রের তিনিই জনক। কেরলকে ‘গড’স ওন কান্ট্রি’-র তকমাতেও সাজিয়েছিলেন। নিজের সৃষ্টির সাফল্য দেখে মেজাজ শরিফ অমিতাভের।
কানওয়াল-কাব্য
সেই কলেজ-জীবন থেকেই কাব্যচর্চা। বই হয়ে উঠতে সময় নিল অবশ্য দীর্ঘ দিন। পোড়-খাওয়া কূটনীতিবিদ কানওয়াল সিব্বলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ স্নোফ্লেকস অব টাইম-এর প্রতি পাতায় রয়েছে তাঁর চরিত্রোচিত বাস্তববোধ এবং রসবোধের মিশেল। তির্যক শ্লেষও। সিব্বলের কথায়, ‘কর্মজীবনে বহু রাজনীতিবিদ দেখেছি আমি। তাঁদের কাউকে কাউকে নিয়ে রসিকতাও প্রচ্ছন্ন রয়েছে অনেক কবিতায়।’ একটি পদ্যে যেমন রাহুল গাঁধীর সঙ্গে হুডিনিকে বসিয়েছেন একাসনে! নিজেকে অদৃশ্য করে ফেলার এক অদ্ভূত খেলা দেখাতেন জাদুকর হুডিনি। পদ্যের নাম, ‘দ্য হুডিনি অ্যাক্ট’। রাহুল গাঁধীর হঠাৎ হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁর লেখা— ‘কয়েক হপ্তা উধাও আমি/ জানেন শুধু অর্ন্তযামী’!
শৌরির বৈরাগ্য
ওঁর নতুন বই টু সেন্টস-এ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও মহর্ষি রমন-এর অধ্যাত্মসাধনার তুলনা। অরুণ শৌরি বলছেন, স্নায়ুতন্ত্রের ঊর্ধ্বে ভাবসমাধি অবৈজ্ঞানিক অসম্ভব ঘটনা নয়। ধ্যান ও যোগের নিষ্ঠায় তা সম্ভব। লেখক এর আগে তাঁর প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্য তার মায়ের অবদান নিয়ে অর্থনৈতিক বই লিখেছিলেন। কিন্তু এ বার তো খাঁটি অধ্যাত্মবাদ! নিন্দুকেরা বলছেন, অরুণ জেটলিকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন এই প্রাক্তন বিলগ্নিকরণ মন্ত্রী। পারলেন না। নরেন্দ্র মোদী আজকাল পাত্তাও দেন না, তাই কি এই বৈরাগ্য? প্রতাপভানু মেটা অবশ্য বইটির প্রশংসা করে লিখেছেন, শৌরি সাধু নন, কিন্তু জীবনভর এক জন অন্বেষক।
জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়,
অনমিত্র সেনগুপ্ত, দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমাংশু চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy