ভোটে দাঁড়াতে পারে মেয়ে, মেজাজ ‘প্রফুল্ল’
তিন কন্যা। নিয়তি, অবনী ও পূর্ণা। এক পুত্রও রয়েছেন তাঁর। তবে পুত্র নয়, প্রফুল্ল পটেলের তিন কন্যার মধ্যেই কোনও এক জন এ বার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট, এনসিপি নেতা প্রফুল্ল ইউপিএ জমানায় বিমানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তিনি নিজের পুরনো আসন, মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা-গন্ডিয়া থেকে হেরে যান। নির্বাচিত হন রাজ্যসভায়। শোনা যাচ্ছে, এনসিপি নেতা এ বার লোকসভায় নিজে প্রার্থী হবেন না, তাঁর তিন মেয়ের এক জনকে প্রার্থী করা হবে। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে আগেই সাংসদ হয়েছেন। প্রফুল্লও কি তা হলে দলনেতার দেখানো পথেই হাঁটছেন!
অনুসরণ: শরদ পওয়ারের কন্যা, সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে প্রফুল্ল পটেল
গরু আর মাছ
গরুদের কল্যাণে তৈরি হবে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। আর মাছেদের কল্যাণে, থুড়ি মৎস্যপ্রেমীদের কল্যাণে নতুন মৎস্য দফতর। মোদী সরকারের শেষবেলার বাজেটে এই দু’খানি ঘোষণা নজর কেড়েছিল অনেকেরই। কিন্তু কাজের বেলায়, অর্থাৎ আয়োগ ও দফতরে কর্তা নিয়োগের সময় দেখা গেল, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার দশা। মৎস্য দফতরের নতুন সচিব নিযুক্ত হয়েছেন রজনী সেখরি সিব্বল। কিছু দিন আগে যিনি ভারতের গরুদের নিয়ে ‘কামধেনু: কাউজ় অব ইন্ডিয়া’ নামক বই লিখে বিখ্যাত হয়েছেন। গরু-বিশারদ আমলাকে কামধেনু আয়োগে নিয়োগ না করে মৎস্য দফতরে পাঠিয়েছে মোদী সরকার।
সাইকেলে প্রচার
হেলিকপ্টার নয়, সাইকেলে চেপে লোকসভা ভোটে প্রচার করুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! শুধু মোদীই নন, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জন্যও প্রচারের বাহন হোক এই সাইকেলই। এমনটাই দাবি করেছেন বোরোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট-এর রাজ্যসভার সাংসদ বিশ্বজিৎ দাইমারি। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে এই দরবার করে এসেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, প্রচারে কোনও রকম বৈষম্য করা চলবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুষম করার লক্ষ্যে তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট। হয় আঞ্চলিক দলের নেতাদের হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হোক, নয়তো প্রধানমন্ত্রী এবং সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাইকেলে চেপে প্রচার বাধ্যতামূলক করা হোক। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উত্তর অবশ্য জানা যায়নি। বিশ্বজিৎ দাইমারির দল অসমে বিজেপি সরকারের শরিক।
লাইব্রেরি
বিশ্বের নির্জনতম জায়গা কোথায় জানেন? বরুণ গাঁধীকে প্রশ্ন করলে উত্তর মিলবে, সংসদের লাইব্রেরি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বরুণ জানিয়েছেন, তিনি সংসদের লাইব্রেরিতে গেলেই লাইব্রেরিয়ান তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। কারণ অনেক সময় টানা দশ দিন কেটে গেলেও, কেউ সেই লাইব্রেরিমুখো হন না। এমনিতেই এখন সংসদে আলোচনার থেকে হট্টগোল বেশি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিল আলোচনা ছাড়াই পাশ হয়ে যায়। ফলে সাংসদদের লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনারও হারও বোধ হয় কমছে! বরুণের প্রশ্ন নিয়েই না এ বার হট্টগোল বেধে যায়!
অটুট: ইন্দিরা গাঁধীর ছবি ও উদ্ধৃতি
কেবলই ছবি
মোদী জমানায় দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রকে প্রয়াত দুই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা বা রাজীব গাঁধীর ছবির দেখা মেলা হাতে চাঁদ পাওয়ারই মতো। ব্যতিক্রম বোধ হয় একমাত্র উদ্যোগ ভবনে ভারী শিল্প মন্ত্রকের দফতর। সেখানে কমিটি রুমের পাশেই একটি পুরনো বোর্ডে এখনও ইন্দিরা গাঁধীর পুরনো ছবি রয়েছে। নীচে তাঁকে উদ্ধৃত করে লেখা, দেশকে ঐক্যের সূত্রে বাঁধতে পারার শক্তি কেবলমাত্র হিন্দি ভাষার মধ্যে রয়েছে। এ হেন মন্তব্যের জন্যই হোক বা অন্য কারণে, ইন্দিরা বেঁচে গিয়েছেন। দেওয়ালে একাধিক বার চুনকাম হলেও সেই বোর্ডের উপরে কেউ রং লেপে দেয়নি, বোর্ড খুলেও ফেলা হয়নি।
নিজের বই কবে হবে
এক সপ্তাহ আগে প্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’-এর বাছাই করা বক্তৃতার সঙ্কলন ‘মন কি বাত: আ সোশ্যাল রেভলিউশন অন রেডিয়ো’। এক সপ্তাহ পরে অরুণ জেটলি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর বাছাই করা বক্তৃতার আরও একটি সঙ্কলন ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’। গত পাঁচ বছরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজে অসংখ্য বক্তৃতা দিয়েছেন, ব্লগ, ফেসবুক পোস্ট লিখেছেন। তার সঙ্কলন কবে প্রকাশ হবে? না কি তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবেন না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy