Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

লিটল ম্যাগাজিনের মধ্যেই না-লিটল ম্যাগাজিন আছে। মেলায় যাওয়ার জন্য, পুরস্কার পাওয়ার জন্য আবেদন করছে লিটল ম্যাগাজিন!

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৪৪
Share: Save:

সত্যিই ছোট হচ্ছে

এ এক আশ্চর্য পৃথিবী। প্রতিবাদের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, দর্শনের জন্য, প্রকৃত সৃষ্টির জন্য লিটল ম্যাগাজিন আছে। লিটল ম্যাগাজিনের মধ্যেই না-লিটল ম্যাগাজিন আছে। মেলায় যাওয়ার জন্য, পুরস্কার পাওয়ার জন্য আবেদন করছে লিটল ম্যাগাজিন! এ তো ট্র্যাজেডি! আসলে সব পত্রিকা লিটল ম্যাগাজিন নয়। একই ভাবে যাঁরা লিটল ম্যাগাজিনে লেখেন, তাঁরা সবাই লিটল ম্যাগাজিনের লেখক নন। প্রকৃত লিটল ম্যাগাজিনের লেখক হবেন লিটল ম্যাগাজিনের দর্শনে দীক্ষিত।

এখন এক শ্রেণির সম্পাদক মুখ দেখাচ্ছেন, যাঁরা বহুপাঠে বিশ্বাসী নন, কাগজের দাম ও মাপ জানেন না, ফেসবুকেই একমাত্র লেখার আবেদন জানান, প্রেসে যান না, লেখকদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই, লেখা সংগ্রহ থেকে ছাপার দায়িত্ব, এমনকী সম্পাদকীয় অংশটুকু লেখার দায়িত্বও আর কাউকে দেন অর্থের বিনিময়ে। পত্রিকা অনিয়মিত, কিন্তু পত্রিকার নামে উৎসব, কবিসম্মেলন নিয়মিত। টাকা খরচ করেই সব দায়িত্ব শেষ মনে করেন। একমাত্র উদ্দেশ্য: দুশো-তিনশো পাতার পত্রিকার সম্পাদক হওয়া। বাণিজ্যিক কাগজের অক্ষম অনুকরণে জগাখিচুড়ি এক স্থূল মেদযুক্ত পত্রিকার রংবাহারিতে কিছু স্তাবক অনুগামী অনুরাগী এসে ভিড় জমায়।

সাময়িক আলোয় আলোকিত এই সম্পাদকরাই বর্তমানে লিটল ম্যাগাজিনের বিশুদ্ধ বায়ুতে দূষণ ছড়াচ্ছেন। লিটল ম্যাগাজিনের দর্শনে এঁদের আস্থা নেই। তাই, সামান্য স্টল-পুরস্কারের লোভে পড়ে বর্তমানের দর্শনকে মুখ্য করে নিজেদের অস্তিত্বকেই বিপন্ন করে তুলছেন। আশা করা যায়, এতে প্রকৃত লিটল ম্যাগাজিনের বিশেষ ক্ষতি হচ্ছে না। ভালবেসে জেলায় জেলায় এখনও লিটল ম্যাগাজিন হচ্ছে। তবে ভিড়ের মধ্য থেকে প্রকৃত শ্বাসবায়ু সংগ্রহ করতে আজকের তরুণ পাঠককে তাঁর সচেতনতা বাড়াতেই হবে।

ঋত্বিক ত্রিপাঠী ই-মেল মারফত

জল পিকনিক

সম্প্রতি বহরমপুরের গঙ্গাবক্ষে ভুটভুটি নৌকা করে বক্স (প্রচলিত ভাষায় ‘ডিজে বক্স’) বাজিয়ে পিকনিকের প্রকোপ বেড়েছে। এ বছর বহরমপুরেরই গোরাবাজার কলেজ ঘাট থেকে বেসরকারি উদ্যোগে সারা দিন গঙ্গাবক্ষে ছোট লঞ্চে করে বর্ষশেষে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এই জলযানগুলিতে সুরক্ষার কোনও রকম ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে বেশ কিছু প্রাণহানির আশঙ্কা।
এ ক্ষেত্রে পরিবহণ যেহেতু জলপথে, তাই আশঙ্কা স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। হুজুগটি ছড়িয়ে পড়ার আগে, ব্যবস্থা নিতে হবে। হয় লাইফ জ্যাকেট বা স্যুটের বন্দোবস্ত করে পিকনিকের অনুমতি দেওয়া হোক, নয় এ ধরনের ভ্রমণ নিষিদ্ধ হোক।

তন্ময় মুখোপাধ্যায় বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ

কালভার্ট

বেশ কয়েক বছর ধরে শুনছি, বালি স্টেশনের নীচে যে কালভার্ট আছে, ওইটি ছাড়া আর একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। শুনেছিলাম যে একটি দিয়ে শুধু দুই তিন ও চার চাকা গাড়ি চলাচল করবে এবং অন্যটা দিয়ে মানুষজন যাতায়াত করবে। বর্তমানে বালি স্টেশনের কাছে কালভার্ট দিয়ে অজস্র গাড়ি ও লোকজন যাতায়াত করে, সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোনও ট্রেন ঢুকলে অজস্র মানুষ ওঠানামা করেন। রেলওয়ে ওভারব্রিজটি ভীষণ উঁচু। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের বাজারে বা স্টেশনে যাওয়া খুবই কষ্টদায়ক। কালভার্টের নীচে এত ভিড় হয়, প্রায়ই ট্রেন মিস হয়ে যায়। আর একটা কালভার্ট খুবই প্রয়োজন।

অভিজিৎ দাস বালি, হাওড়া

ক্যালকাটা

নাম বদলের ফলে ‘ক্যালকাটা’ অনেক দিন থেকে ‘কলকাতা’। কিন্তু এখনও কেন ‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি’? এটি কবে ‘কলকাতা ইউনিভার্সিটি’ হবে?

সামিম আখতার বানু সোনাবাড়ি, উত্তর দিনাজপুর

নচিকেতা ঘোষ

সুরকার নচিকেতা ঘোষ সম্পর্কে ‘মুকুটটা তো পড়ে আছে, রাজাই শুধু নেই’ নিবন্ধে (পত্রিকা, ১৩-১) কয়েকটি অসংগতি লক্ষ করলাম। ‘তারপর? তার আর পর নেই’ গানটির গীতিকার মুকুল দত্ত, কিন্তু লেখা হয়েছে: মুুকুল রায়। আবার ‘ধন্যি মেয়ে’ ছবিতে আরতি মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘যা যা বেহায়া পাখি’ গানটির গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু লেখা হয়েছে: প্রণব মুখোপাধ্যায়। বলা দরকার, প্রণব রায় নামে এক জন গীতিকার ছিলেন, যিনি এই একই ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘রাধে মনটারে রেখে এলি’, ‘এ ব্যথা কী যে ব্যথা’ গানগুলির গীতিকার। নিবন্ধটির শেষে লেখা আছে, ‘তথ্য সহায়তা: নচিকেতা ঘোষ’। একটু অবাক লাগল।

অমিতকান্তি জানা কলকাতা-২৮

লতা প্রথম

নচিকেতা ঘোষ-কে নিয়ে নিবন্ধটির এক জায়গায় লেখা, ‘লতা মঙ্গেশকর প্রথম তাঁর সুরে বাংলা গান গেয়েছিলেন।’ লতা প্রথম বাংলা বেসিক গান গেয়েছিলেন ১৯৫৬ সালে পবিত্র মিত্র-র কথা এবং সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুরে। গান দুটি হল: ‘আকাশপ্রদীপ জ্বলে’, এবং ‘কত নিশি গেছে নিদহারা’। অবশ্য তার বছর তিনেক আগে, ১৯৫৩ সালে, লতা মঙ্গেশকর উত্তমকুমার অভিনীত ‘বৌঠাকুরাণীর হাট’ চলচ্চিত্রে ‘শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা’, ‘হৃদয় আমার নাচে রে’ রবীন্দ্রসংগীতগুলি গেয়েছিলেন।

অরূপরতন আইচ কোন্নগর, হুগলি

বেসিক গানগুলো

নিবন্ধটিতে এক জায়গায় নচিকেতা ঘোযের ‘অত্যন্ত প্রিয়’ শিল্পীদের প্রসঙ্গে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, পিন্টু ভট্টাচার্যদের কথা বলা হলেও, মান্না দে-র নাম অনুপস্থিত। কিন্তু মনে রাখা দরকার, নচিকেতার সুরে মান্না দে বেশ কিছু স্মরণীয় গান গেয়েছেন, সিনেমায় এবং বেসিক রেকর্ডে।

প্রতিবেদনে আলাদা করে দেওয়া ‘বিখ্যাত কিছু গান’-এর তালিকায় শুধুই চলচ্চিত্রের গান। নচিকেতার সুরে কিছু বিখ্যাত বেসিক গান: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় ‘আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে’ (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়), ‘যদি কাগজে লেখো নাম’ (মান্না দে), পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ‘তোমায় আমায় প্রথম দেখা’ (মাধুরী চট্টোপাধ্যায়), ‘মেঘলা ভাঙা রোদ উঠেছে’ (প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়), ‘এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না’ (নির্মলা মিশ্র), শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ‘মায়াবতী মেঘে এল তন্দ্রা’ (সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়), সলিল চৌধুরীর কথায় ‘আঁধারে লেখে গান’ (সবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরে চৌধুরী), অন্নদাশংকর রায়ের কথায় ‘ময়নার মা ময়নামতী’ (আল্পনা বন্দ্যোপাধ্যায়), মুকুল দত্তের কথায় ‘মনের নাম মধুমতী’ (আশা ভোঁসলে), মিন্টু ঘোষের কথায় ‘এক তাজমহল গড়ো’ (পিন্টু ভট্টাচার্য)।

স্বপন সোম কলকাতা-৩৭

ভ্রম সংশোধন

‘বড়দিনের বড় ছবি’ (সম্পাদক সমীপেষু, ১৪-১) শীর্ষক চিঠিতে ছাপা হয়েছে, ‘‘শন লিভি ও ক্রিস কলম্বাস পরিচালিত ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম’।’’ কিন্তু এই ছবিটির পরিচালক শুধুই শন লিভি। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE