Advertisement
০২ মে ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না

১৯৪৮ সালে নাথুরাম গডসে কর্তৃক মহাত্মা গাঁধী নিহত হওয়ার পর হিন্দু মহাসভা সারা ভারতে রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে।

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৯ ০০:০৪
Share: Save:

‘কড়াই, উনুন’ (৯-৫) শীর্ষক পত্রে লেখা হয়েছে, ‘‘হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠাতা হয়েও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়...’’ ১৯০৬ সালে ভারতীয় মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষিতে ১৯০৯ সালে আর্য সমাজের নেতৃবৃন্দ (লালা লাজপত রাই, লাল চাঁদ প্রমুখ) ‘পঞ্জাব হিন্দু সভা’ তৈরি করেন। পণ্ডিত মদন মোহন মালবীয় লাহৌরে অনুষ্ঠিত প্রথম সভার (অক্টোবর ১৯০৯) সভাপতিত্ব করেন। ১৯১৫ সালের বার্ষিক সভায় সাভারকর, মালবীয়, লাজপত রাইয়ের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠানের নাম হয় ‘সর্বদেশক হিন্দু সভা’। ১৯২১ সালে আবার নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় ‘অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা’। অর্থাৎ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (জন্ম ১৯০১) কোনও ভাবেই হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। তবে তিনি এই দলের সভাপতি হয়েছিলেন ১৯৪৩ থেকে ’৪৬।

১৯৪৮ সালে নাথুরাম গডসে কর্তৃক মহাত্মা গাঁধী নিহত হওয়ার পর হিন্দু মহাসভা সারা ভারতে রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে শ্যামাপ্রসাদ ১৯৫১ সালে ‘ভারতীয় জনসঙ্ঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন, যার ধারাবাহিকতায় তৈরি হয়েছে আজকের বিজেপি।

সজলকান্তি ঘোষ

শ্রীনিকেতন, বারুইপুর

ফেরত হয়নি

গত ৭-৫ তারিখে পরিবার-সহ পুরী থেকে ফেরার জন্য পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি স্লিপারের টিকিট ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে উক্ত ট্রেন পুরী থেকে চলাচল বাতিলের খবর শুনে, ৪-৫ তারিখে পুরী স্টেশনের বুকিং কাউন্টারে যোগাযোগ করা হলে, বলা হল এখানে টিকিট ক্যানসেল করা সম্ভব হবে না। আগামী তিন দিনের মধ্যে যে কোনও সময় ক্যানসেল করলেই, টাকা রিফান্ড পেয়ে যাবেন। বহু টাকা খরচ করে প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে ভুবনেশ্বর স্টেশনে এসে অনেক কষ্টে অন্য ট্রেনের টিকিট কেটে বাড়িতে ফিরে আসি। পরের দিন (৭-৫) নৈহাটি স্টেশনের বুকিং-এ টিকিট ক্যানসেল করলাম, কোনও টাকা ফেরত পাওয়া গেল না।

বলা হল, ওই গাড়ি খুরদা রোড থেকে ছাড়ছে। তা হলে তো রেল প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল, আমাদের পুরী থেকে খুরদা বা ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা।

শশাংক কুমার নাথ

নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা

টাকা এল না

আমি আসা ও যাওয়ার ‘কনফার্মড’ টিকিট, ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে কেটেছিলাম। পরে তা ১৫-২ তারিখে ক্যানসেল করি। বুকিং কাউন্টার থেকে বলা হয়, টাকা যথাসময়ে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। কিন্তু আজ পযন্ত সেই টাকা ফেরত পেলাম না।

সোমনাথ বিশ্বাস

কলকাতা-৭৫

প্রস্রাবাগার বন্ধ

সুদীর্ঘ দিন যাবৎ বিবাদী বাগ চক্ররেল স্টেশনের একটি প্রস্রাবখানা কোনও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ করে রাখা আছে। তাতে কোনও মেরামতির কাজও হচ্ছে না। কেউ কেউ রেল লাইনের ওপরেই বাধ্য হয়ে প্রাকৃতিক ক্রিয়া সারছেন। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।

সৌমিত্র মজুমদার

পূর্বাচল, উত্তর ২৪ পরগনা

ট্রেন দাঁড়ায় না

স্টেশন বিল্ডিংয়ের সংলগ্ন হওয়া সত্ত্বেও তমলুক স্টেশনের ১নং প্ল্যাটফর্মে কোনও ট্রেনকে দাঁড় করানো হয় না। এর পরিবর্তে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানামার জন্য অন্য দু’টি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়। বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষ, যাঁরা চিকিৎসার প্রয়োজনে চেন্নাই, কটক, ভুবনেশ্বর প্রভৃতি স্থানে যাতায়াত করেন, তাঁদের পক্ষে প্রতি বার ওভারব্রিজ পেরিয়ে চলাফেরা করা ভীষণ কষ্টকর। শমীকরঞ্জন সামন্ত

পরমানন্দপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

স্টেশন মূত্রালয়

সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বরের আধুনিকীকরণ চলছে, কিন্তু একটি খুব সহজ বিষয় নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে স্টেশন চত্বর এখন গণমূত্রালয়ে পরিণত। আপ ও ডাউনে দুই ও তিন নম্বর, চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সব ক’টি বাথরুমই ধুলিসাৎ। কিছু দিন আগে দুই ও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের এক দিকে একটি বাথরুম করা হয়েছে। কিন্তু ডাউন প্ল্যাটফর্মে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী দূর-দূরান্ত থেকে এসে যেখানে নামেন, সেখানে বাথরুমের কথা ভাবা হয়নি। ট্রেনযাত্রী বাদ দিলেও, প্রি-পেড ট্যাক্সি বুথ-সহ সারা দিন প্রচুর প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার ঝিলের ধারে নবনির্মিত পার্কিং প্লেসে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করেন। তাঁরা সারা দিন কোথায় বাথরুম করবেন, তা নিয়েও কেউ ভাবেন না। দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের গায়ে একটি সুলভ শৌচালয় রয়েছে। ওভারব্রিজ পেরিয়ে যাতায়াত করতে প্রায় আধ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। তা ছাড়াও ওভারব্রিজ পেরিয়ে এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বিনা প্ল্যাটফর্ম টিকিটে যাওয়াও বেআইনি।

প্রদোষ পাল

কলকাতা-৬০

কবে রিফান্ড

গত ২০-২ তারিখে আমরা পাঁচ ষাটোর্ধ্ব যুবক, ভ্রমণশেষে ওড়িশার আম্বোডালা থেকে হাওড়া ফিরছিলাম। বুকিং ছিল কোরাপুট-হাওড়া এক্সপ্রেসে। স্টেশনে এসে জানলাম, রায়গড়া স্টেশনে অবরোধের জন্য ট্রেনটি বাতিল। বাতিল যাত্রার টিকিট ক্যানসেল করার জন্য আম্বোডালা স্টেশনের কাউন্টারে যোগাযোগ করলাম। আমাদের ই-টিকিট ছিল। কাউন্টার থেকে জানানো হল, ট্রেনটি যে হেতু ক্যানসেল হয়েছে, ই-টিকিটের ক্ষেত্রে কিছু করার দরকার নেই। আপনাআপনি টাকা অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। তার পর আমরা দিল্লিগামী একটি ট্রেন ধরে তিতলিগড় এলাম। হোটেলে রাত কাটিয়ে পর দিন ভোর ৫:১৫ মিনিটে ছাড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস ধরে বাড়ি ফিরলাম, কোরাপুট এক্সপ্রেসের পৌঁছনোর নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে, বিধ্বস্ত হয়ে। যদিও বলা হয়েছিল কিছু করার দরকার নেই, তবু পর দিন, ২২-২, IRCTC কে একটি মেল করলাম রিফান্ড পাওয়ার উদ্দেশ্যে। উত্তর এল সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। আমাদের টিকিটগুলো দুটো পিএনআর মিলিয়ে ছিল। বেড়াতে যাওয়ার অনেক আগেই আমরা চারটি টিকিট ক্যানসেল করেছিলাম। মেলের উত্তর এল ওই চারটি টিকিটের রিফান্ডের ব্যাপারে। আবার মেল করা হল। একই উত্তর এল। এ রকম চলল কয়েক দিন। ইতিমধ্যে IRCTC-র ফোন নম্বরে ফোন করা শুরু করলাম। সে অভিজ্ঞতা আরও তিক্ত। হিন্দি না ইংরেজি, এক, দুই, তিন…. বোতাম টেপার সঙ্গে ক্রমাগত ঘটনার ইতিহাস, ভূগোল বার বার বলতে হত। ফোনের ও-পারে কর্মীদের প্রচণ্ড অনীহা আমার সমস্যা শোনার। আরও পাঁচ দিন কেটে গেল। শেষে এক সহৃদয় কর্মী সব শুনলেন এবং জানালেন, আমাদের কেসটা ট্রেন ক্যানসেলেশনের নয়, ওটা ‘ডাইভারশন’ এবং আমাদের টিডিআর ফাইল করতে হত আম্বোডালা স্টেশনে (যেটা তখন আর সম্ভব নয়, আর সেই মর্মে আমাদের জানানোও হয়নি)। আবার মেল করা হল নতুন ভাবে। উত্তর পেলাম, টিডিআর ফাইল করার কথা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে, তা হয়নি, ফলে আর কিছু করা যাবে না। ভ্রাতৃপ্রতিম এক রেলকর্মীর শরণাপন্ন হলাম।

ওর কথামতো নতুন করে দরখাস্ত করে পূর্ব রেলওয়ের কলকাতা অফিসে জমা দেওয়া হল। কয়েক দিন পর IRCTC -র ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পেলাম, ২০-২ তারিখে একটা টিডিআর ফাইল করা হয়েছে। মাঝে care@irctc.co.in-এ ইমেল করে উত্তর পেলাম, রিফান্ডের পে-অর্ডার তৈরি হয়ে আছে। সেটা সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে পাঠালেই রিফান্ড পাওয়া যাবে। আবার অপেক্ষা। আবার ইমেল করা হল। এ বার উত্তর, রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী রিফান্ড পাওয়া যাবে।

অনন্ত কুমার চৌধুরী

শ্রীরামপুর, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Syama Prasad Mukherjee Hindu Mahasabha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE