ব্যক্তি বা সংস্থার কোনও সম্পত্তি প্রশাসন নানা কারণে অধিগ্রহণ করে থাকে। কোনও ব্যক্তি যদি ঋণ নিয়ে সম্পত্তি করার পর সেই ঋণ সময়মতো শোধ করতে না পারেন, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সেই সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে নিলামের দ্বারা সম্পত্তিটির পুনর্ব্যবহার করে থাকেন। কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেও একই আইন প্রযোজ্য হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন থানা চত্বরে দেখা যায়, অগণিত দু’চাকা এবং চার চাকার গাড়ি বছরের পর বছর লতাপাতায়, নোংরা আবর্জনায় আবৃত হয়ে যেন মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গোনে। নানা কারণে গাড়িগুলিকে পুলিশ প্রশাসন আটক করে। সে বিষয়ে আমার চিঠি নয়। আমার বক্তব্য, জাতীয় সম্পত্তির পুনর্ব্যবহার হোক। কয়েক জন থানার আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গাড়ির মালিক গাড়ি নিতে আসেন না। আবার আইনি জটিলতায় সেগুলি ফেরানোও সম্ভব হয় না।
নম্বরপ্লেট থাকা গাড়ির মালিককে খুঁজে পাওয়া কি খুব কঠিন? আর আইনি জটিলতাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করাও কি খুব জটিল ব্যাপার? জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে এগুলো করা যেতেই পারে। মোট কথা, কোটি কোটি টাকার জাতীয় সম্পত্তি পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। একই সঙ্গে মাটি এবং দৃশ্য দূষণও কিন্তু হচ্ছে।
প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ, দেশ জুড়ে জাতীয় সম্পত্তির ধ্বংস প্রক্রিয়া ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা করুন। দেশের সম্পত্তি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমরাও বাঁচব।
দীপায়ন প্রামাণিক, গড়পাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা
ব্যাঙ্কে হয়রানি
আমি এক জন অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী। কর্মস্থল ছিল দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের অন্তর্গত খড়্গপুরে। এই মুহূর্তে গড়িয়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করছি। পেনশন অ্যাকাউন্ট রয়েছে খড়্গপুরের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে। সমস্যা হল, প্রতি বছর নভেম্বর মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার জন্য খড়্গপুরে যেতে হয়, লজ ভাড়া করে থাকতে হয়। এমনিতে বলা হচ্ছে যে, কলকাতায় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ‘বহিরাগত’ বলে শুধু কাগজপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে, আধার কার্ডের নিশ্চয়তার জন্য কোনও রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে যে, জমা নেওয়া কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, তার পর লাইফ সার্টিফিকেটের কথা আসবে। এমন হলে গ্রাহকেরই অসুবিধা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ, ব্যাঙ্কের প্রবীণ গ্রাহকদের অকারণ হেনস্থা বন্ধ হোক।
বিশ্বজিৎ কর, গড়িয়া, কলকাতা
সঙ্কীর্ণ রাস্তা
আমি বজবজ থেকে শিয়ালদহ শাখার এক জন নিত্যযাত্রী। অফিস-কাছারির দিনে শিয়ালদহ স্টেশন রীতিমতো ব্যস্ত থাকে। এবং স্টেশন থেকে নেমে ইএসআই হাসপাতালের দিকে যাওয়ার রাস্তা পার করতে গিয়ে খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একে তো রাস্তাটা সরু, তার মধ্যে দু’পাশে সারি সারি দোকান, মানুষের ভিড়। ভিড়ের মধ্যে একের পর এক পণ্যবাহী ভ্যানও ঢোকে। যে কোনও মুহূর্তে কারও চোট লাগতে পারে। বৃষ্টির দিনে ওই রাস্তায় জল জমে, দোকানের ছাউনিগুলি দিয়ে যখন-তখন জল পড়ে গা ভিজে যায়। এত কিছুর মধ্যে চুরিচামারিও লেগে থাকে। প্রশাসনের কাছে আবেদন, রাস্তাটির সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হোক, যাতে রেলস্টেশনের নিত্যযাত্রীরা উপকৃত হন।
সৌম্য ঘোষাল, বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
পোস্টকার্ড চাই
কিছু দিন আগে পোস্ট অফিসে গিয়েছিলাম পোস্টকার্ডের খোঁজে। নির্দিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে পোস্টকার্ড চাইতে কাউন্টারে বসে থাকা কর্মী জানান, পোস্টকার্ড নেই। উপায়ান্তর না দেখে ইনল্যান্ড লেটার চাইলাম। জানা গেল, পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, ডাকটিকিট কিছুই নেই। উল্টে স্পিডপোস্ট আর রেজিস্ট্রি চিঠির কথা বললেন। গত কয়েক বছর ধরেই মফস্সলের ছোট ডাকঘরগুলির এই হাল হয়ে আছে। আমাদের দেশে দরিদ্র মানুষের অভাব নেই। পোস্টকার্ডের অভাবে তাঁরা বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছাটুকুও জানাতে পারেন না। তাই গ্রামেগঞ্জে আবার পোস্টকার্ড চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রইল।
প্রদ্যুৎ সিংহ, মানিকনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
অপরিচ্ছন্ন
কিছু দিন আগে সপরিবারে আরণ্যক এক্সপ্রেসে বাঁকুড়া যাওয়ার জন্য সকালবেলা শালিমার রেলস্টেশনে উপস্থিত হই। কর্মসূত্রে অথবা ভ্রমণের কারণে নানা রেলস্টেশন দেখার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু শালিমারের মতো অব্যবস্থা কোথাও পাইনি। প্ল্যাটফর্মের যেখানে সেখানে আবর্জনার ছড়াছড়ি। কোথাও গরু বা মোষের বর্জ্য। স্টেশনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোনও ব্যবস্থা কখনও ছিল বলে মনে হল না। অথচ, ভারত সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত’ কর্মসূচি ঘিরে কত প্রচারের আতিশয্য। এ ছাড়া আমাদের সংরক্ষিত কামরায় অবাঞ্ছিত যাত্রীদের ঘোরাফেরা এবং অন্যের সংরক্ষিত আসনে বসে বাদানুবাদ তো ছিলই। রেলভাড়া পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাবে, বিনিময়ে পরিষেবা ঠেকবে তলানিতে— এমনটা নিশ্চয়ই সাধারণ যাত্রীর প্রাপ্য নয়। এর আশু প্রতিকার হওয়া দরকার।
চিন্ময় ভট্টাচার্য, দক্ষিণ বঙ্কিম পল্লি, উত্তর ২৪ পরগনা
থার্মোকল নয়
আমাদের চার পাশের পুজোকমিটিগুলি, বিশেষত বড় বাজেটের পুজোগুলি পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ক নানা লেখা পুজোর অনেক আগে থেকেই প্রকাশ করতে থাকে। কিন্তু আমার এলাকাতেই, অনেকগুলি পুজোমণ্ডপে আংশিক অথবা সম্পূর্ণ রূপে থার্মোকলের কাজ শোভা পাচ্ছিল। এ কথা সত্যি যে, শিল্পীরা থার্মোকল কেটে, অত্যন্ত নিপুণ ভাবে, দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপ বানাতে পারেন। কিন্তু দশমীর রাত বা প্রতিমা ভাসানের পর মণ্ডপ ভাঙতে থাকলে, তাদের আশ্রয়স্থল হয় খাল-বিল, নদী-নালা অথবা যে কোনও জলাশয়ে। আর তার কী পরিণাম হয় সারা বছর, বিশেষত বর্ষাকালে আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাই। তাই, পুজো কমিটিগুলোর কাছে নিবেদন, আগামী দিনে থার্মোকল বর্জন করে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করে মণ্ডপ বানানো হোক।
স্বপন কুমার ঘোষ, মধ্য ঝোড়হাট, হাওড়া
পুরনো ট্রেন
ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ঝালদা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। চিকিৎসা থেকে শুরু করে পর্যটন, এমনকি দৈনিক রুটিরুজির জোগাড়েও অনেকেই এখান থেকে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন। অতিমারির সময় ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন আমজনতা। অতিমারি শেষে ট্রেন ফের চালুর দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। ট্রেন চলাচল শুরু হলেও অনেক ট্রেনের স্টপ ঝালদা থেকে উঠে গিয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনগুলির শ্রেণি কিংবা নাম বদলের পাশাপাশি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা মানুষ। লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে চাষিদেরও। উৎপাদিত ফসল বাইরে না নিয়ে যেতে পেরে ফড়েদের হাতে বিক্রি করতে গিয়ে চাষের খরচটুকুও অনেক সময় উঠছে না। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, অতিমারি পূর্বে যেমন চলত, এখন ঠিক তেমনই ট্রেন পরিষেবা চালু হোক।
তরুণ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝালদা, পুরুলিয়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy