Advertisement
১৬ জুন ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

আসল কোপ পড়েছে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতায়

পরিসংখ্যান চেপে দিলে লগ্নিরও ক্ষতি হয়, বললেন প্রণব সেন

ক্ষুব্ধ: কর্মসংস্থানের দাবিতে শাসক বিজেপি দলের বিরুদ্ধে যুবসমাজের প্রতিবাদ মিছিল, দিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি। ছবি:এএফপি।

ক্ষুব্ধ: কর্মসংস্থানের দাবিতে শাসক বিজেপি দলের বিরুদ্ধে যুবসমাজের প্রতিবাদ মিছিল, দিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি। ছবি:এএফপি।

প্রণব সেন
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

প্রশ্ন: চাকরির পরিসংখ্যান নিয়ে এত সমস্যা। আপনি যখন চিফ স্ট্যাটিস্টিশিয়ান ছিলেন বা যোজনা কমিশনে ছিলেন, এটা নিয়ে কি কোনও ভাবনাচিন্তা হয়েছিল?

প্রণব সেন: সে সময় বেশির ভাগ মানুষ গ্রামাঞ্চলে থাকতেন। আমাদের বেকারত্ব ছিল দুই শতাংশ। গ্রামের সমস্যাটা বোঝার জন্য চাকরি সংক্রান্ত তথ্যের প্রয়োজন হয় না। গ্রামে তো দেখা যায়, চাষি একটি নির্দিষ্ট সময় খেতে কাজ করবেন, বাকি সময় করবেন না। এটার জন্য কোনও সমীক্ষার প্রয়োজন ছিল না। যখন শহরে লোক বেড়ে যায়, তখনই সমস্যা। তখন ওঁরা কী করছেন, চাকরি কোথায় পাচ্ছেন, বা আদৌ পাচ্ছেন কি না, সেটা জানা দরকার। এই সমস্যা নিয়ে প্রথম চর্চা করা হয় দশম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়। তখন একটা বিরাট বিতর্ক হয়েছিল শ্যামাপ্রসাদ গুপ্ত কমিটি রিপোর্ট এবং মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া কমিটির রিপোর্ট ঘিরে। একেবারে দুটো বিপরীত ফলাফল। সেই নিয়েই বিতর্ক। পরে সমস্যাটা জাতীয় স্তরে পৌঁছে গেল এবং তার গুরুত্ব বেড়ে গেল বিশ্ব অর্থনীতির বিপর্যয়ের ফলে, ২০০৯-এর পরে। তখন আমরা কাজ শুরু করলাম, ২০১২’তে। এই পিএলএফএস, মানে পিরিয়ডিকাল লেবার ফোর্স সার্ভে— এটা খুব বড় সমীক্ষা ছিল, প্রচুর লোক নিয়োগ করার দরকার ছিল। কিন্তু সরকারে কোনও নতুন পদ তৈরি করা খুব সমস্যা। সেটা করতে করতেই চার বছর কেটে গেল। ২০১৬’তে এটার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেল আর সমীক্ষাটা চালু হল।

প্র: এখন এই ত্রৈমাসিক কর্মসংস্থান সমীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে কি এই কারণে যে, যথাযথ তথ্য নেই, বা এই সমীক্ষা থেকে কর্মসংস্থানের সম্পূর্ণ চিত্রটা পরিষ্কার নয়?

উ: দুটো সমীক্ষা হত। একটা হচ্ছে ত্রৈমাসিক এমপ্লয়মেন্ট সার্ভে, যেটা লেবার বুরো করত। সেটা কিন্তু কর্মসংস্থান সমীক্ষা নয়। ওটা হল যে সব সংস্থা কাজ করছে, তারা চাকরি দিচ্ছে, না চাকরি থেকে বরখাস্ত করছে— তার সমীক্ষা। ওটা ২০০৯ থেকে চালু করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল আলাদা। বিশ্ব সঙ্কটের দরুন কত জনের চাকরি যাচ্ছে, সেটা জানার জন্যই এই সমীক্ষা। এটা কর্মসংস্থান সমীক্ষা হিসেবে একেবারেই ধরা যাবে না।

প্র: আপনারা কর্মসংস্থান সমীক্ষাটি শুরু করলেন ২০১৬’তে। সেখানে কি কোনও খামতি ছিল?

উ: না, সেখানে কোনও খামতি ছিল না। যখন একটা নতুন সমীক্ষা শুরু করা হয়, তখন প্রথমে একটা স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি করা হয়। যে কমিটিতে দেশের সেরা পরিসংখ্যানবিদরা থাকেন। এটাই নিয়ম। এই সমীক্ষাকমিটির প্রধান ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস পি মুখোপাধ্যায়। তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। এবং ভারতের সেরা শ্রম-পরিসংখ্যানবিদরা এই কমিটিতে ছিলেন। এঁরা যদি ঠিক সমীক্ষা করতে না পারেন, তা হলে এ দেশে আর কেউ পারে না করতে। নীতি আয়োগ তো পারেই না। এই বিশেষজ্ঞরা খালি পরিসংখ্যান দেখেন না, গোড়া থেকে ব্যাপারটায় থাকেন। সাম্পলিং ডিজ়াইন কী হবে, প্রশ্নপত্র কী হবে, যখন পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হচ্ছে, তার ত্রৈমাসিক তদারকি, পরিসংখ্যান কী করে নেওয়া হল, সাজানো হল ইত্যাদি পুরো ব্যাপারটা ওঁরা পরিচালনা করেন। তার পর সেটাকে অনুমোদন করেন। যদি মনে করেন পরিসংখ্যান ঠিক হয়নি, তা হলে ফের ওঁরা ফিল্ডে ফেরত পাঠান। এ সব করা হয়েছে। স্ট্যান্ডিং কমিটি অনুমোদন করেছে। তার পর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল কমিশনের কাছে গিয়েছে। আবার সেরা স্ট্যাটিস্টিশিয়ানরা দেখেছেন, তাঁরা অনুমোদন করেছেন। তার পর সরকার যদি বলে যে এই পরিসংখ্যান ঠিক নয়, তা হলে কিছু করার নেই। কিসের ওপর ভিত্তি করে সরকার এই কথাটা বলছে, তা আমি বুঝতে পারি না। সরকারের ধারেকাছে তো কোনও স্ট্যাটিস্টিশিয়ান দেখছি না!

প্র: নীতি আয়োগ বলছে, আর একটা পরিসংখ্যানের তালিকা দরকার, এটার সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচারের জন্য। তবেই বোঝা যাবে পরিবর্তন কতটা হয়েছে।

উ: যদি দুটো আলাদা ডেটা সেট, মানে পরিসংখ্যানের গুচ্ছ থাকে এবং একটার সঙ্গে অন্যটা না মেলে, তা হলে কোন পরিসংখ্যান গুচ্ছ ঠিক, কী করে বোঝা যাবে? পরিবর্তন বুঝতে তো ২০১১-১২’র পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা করে দেখেছেন। যদি সমকালীন পরিসংখ্যান চান, তা হলে সিএমআইই-এর হিসেব আর এনএসএস-এর হিসেব অনেকটা একই কাহিনি বলছে। ওই তুলনা থেকে দুটোই ঠিকঠাক বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এখন নতুন পরিসংখ্যান কী পাওয়া যাবে? এখন যেটা হচ্ছে, ‘মুদ্রা লোনস’-এর সমীক্ষা। সেটাও আংশিক। এই পরিবারভিত্তিক সমীক্ষাগুলো হল সম্পূর্ণ। আপনি যখন জনসংখ্যার একটি অংশকে নিশানা সাব্যস্ত করছেন, তখন যদি বলেন এত কোটি চাকরি বেড়েছে এতে, তা থেকে বোঝা গেল না যে, ওই লোকগুলো আগে চাকরি করছিলেন কি না। হয়তো আগেও চাকরি করছিলেন, জানা নেই। হয়তো ১০০ শতাংশই কাজ করছিলেন। যেটা ইপিএফও পরিসংখ্যানেরও একটা সমস্যা। ওটা তো বাড়তি কর্মসংস্থানের হিসেব নয়। জানতে হবে, লোকগুলো আগে বেকার ছিলেন, এখন চাকরি করছেন, এমন কি না।

প্র: অর্থনীতি অসংগঠিত হলে কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান পেতে খুব অসুবিধে হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে শোনা যাচ্ছে যে নোট বাতিলের জন্য এই সব ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ধাক্কা লেগেছে, কিন্তু কোনও পরিসংখ্যান নেই। আবার অন্য দিকে দাবি করা হচ্ছে যে, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ তৈরি হয়েছে। হিসেবটা পাব কী করে?

উ: এনএসএস কিন্তু সংগঠিত এবং অসংগঠিত, দুই ক্ষেত্রেরই পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে। এটা হাউজ়হোল্ড ডেটা। এটা কর্মীর দিক থেকে আসছে। এরা যা কিছু বলছে, সেটা হল নিয়োগকর্তার দিক থেকে। নিয়োগকর্তার দিক থেকে দেখলে অসং‌গঠিত ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান পেতে অসুবিধে হবে। কিন্তু কর্মীর দিক থেকে দেখলে, তিনি টাটাতে কাজ করুন আর পাড়ার চায়ের দোকানে কাজ করুন, আপনি তাঁর পরিসংখ্যান পেয়ে যাবেন।

প্র: আর একটা সমস্যা হল, দুটো পরিসংখ্যানের মাঝে সময়ের অনেকটা ফারাক থাকে।

উ: সেটাই তো সমস্যা। আগে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হত। পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে যখন চালু হয়, তখন সেটা বার্ষিক সমীক্ষা হিসেবে শুরু হল। আর শহরের দিকে, যেখানে সমস্যাটা বেশি, সেখানে ত্রৈমাসিক। সেখানে শহরের পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। তবে এখনও ওরা সমীক্ষাটা প্রকাশ করেনি। কেন করেনি, কে জানে। প্রকাশ করা উচিত ছিল।

প্র: কোথাও একটা পরিসংখ্যান চেপে দেওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হচ্ছে?

উ: পরিসংখ্যান তো চেপে দেওয়াই হয়েছে। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভাগ্যক্রমে, আমাদের মিডিয়া সেটাকে ফাঁস করে দিয়েছে। তা না হলে তো পরিসংখ্যান চেপেই দেওয়া হয়েছিল।

প্র: এই পরিসংখ্যান চেপে দেওয়াটা অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে?

উ: সে তো বটেই। এই যে আমরা জিডিপির হিসেব তৈরি করি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের বেলায় সেটা তো কর্মসংস্থানের হিসেব থেকেই আসে। কত জন লোক কাজ করছে এই ক্ষেত্রে, তাদের উৎপাদন ক্ষমতা কী, সেই ভিত্তিতে জিডিপি তৈরি হয়। জিডিপি-র সংগঠিত ক্ষেত্রের হিসেবটা সরাসরি বিভিন্ন কোম্পানি ইত্যাদির হিসেবপত্র থেকে আসছে, কিন্তু অসংগঠিত ক্ষেত্রে তো এখনও কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যানের বাইরে আর কোনও ভিত্তি নেই।

প্র: ভারতের যে স্ট্যাটিস্টিকাল সিস্টেম, যার খুব সমাদর ছিল, সেটা কি কোথাও বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে?

উ: গত মাস ছয়েকের মধ্যে এটা ঘটেছে। এর আগে যে বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল, তার ওপর খুবই কোপ পড়েছে। আগে বিতর্ক হত, পরিসংখ্যানের যাথার্থ্য নিয়ে তর্ক চিরকাল চলেছে, কিন্তু সেটা পদ্ধতি নিয়ে, খুঁটিনাটি নিয়ে তর্ক। এখন যেটা হচ্ছে, লোকের মনে ভয় হচ্ছে যে সরকার তথ্য নিয়ে কারসাজি করছে।

প্র: সেটাতে কি বিশ্বের অর্থনৈতিক জগতে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে?

উ: বিশ্ব অর্থনীতির কথা ছেড়ে দিন। যিনি বিনিয়োগ করবেন তাঁর জানা দরকার যে সামনে কী হবে? সেটা জানা যায়, অতীতে কী হয়েছিল, সেটা থেকে। যদি এই পরিসংখ্যানের ওপর ভরসা না থাকে, তা হলে আপনি সেই পূর্বাভাসটা তৈরি করতে পারছেন না। কিসের ভরসায় আপনি বিনিয়োগ করবেন? আপনার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। ঝুঁকি বাড়লে বিনিয়োগ করার ইচ্ছেটা কমে যাবে।

প্র: আপনি নীতি আয়োগের পারফরম্যান্স কী ভাবে দেখছেন? ওদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেটা কতটা ভাল ভাবে ওরা পালন করেছে?

উ: যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা ওরা ঠিক ভাবে পালন করেনি। খুব সোজা কথা। নীতি আয়োগের টার্মস অব রেফারেন্স যদি দেখেন, দেখবেন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ১৫ বছরের ভিশন স্টেটমেন্ট হবে, সাত বছরের স্ট্রাটেজিক প্ল্যান হবে, আর তিন বছরের অ্যাকশন প্ল্যান হবে। এরা তিন বছরের অ্যাকশন প্ল্যান করে দিয়েছে। আপনার কাছে কোনও ভিশন আর স্ট্র্যাটেজি নেই, কিন্তু অ্যাকশন প্ল্যান করে দিলেন! এটা হয় না। অ্যাকশনটা আসে ভিশন আর স্ট্র্যাটেজি থেকে। আজ আমি অ্যাকশন প্ল্যান করলাম, পরে তার ভিত্তিতে বললাম, এই হচ্ছে আমার ভিশন আর স্ট্র্যাটেজি— তা কী করে হয়!

প্র: নীতি আয়োগের আরও একটা কাজ ভাবা হয়েছিল যে, একে তুলে ধরা হবে একটা মঞ্চ হিসেবে, যেখানে নানা বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হবে।

উ: সেটা তো হয়নি। মঞ্চ কোথায়? যখন যোজনা কমিশন ছিল, তখন আর কিছু হোক বা না হোক, বছরে এক বার অন্তত মিটিং হতই। এখানে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিল চার বছরে দু’বার বৈঠক করেছে। কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের এনে বসিয়ে কিছু আলোচনা করা হবে, সেটাও হয়নি।

প্র: আপনার কি মনে হয় যোজনা কমিশন আবার ফিরিয়ে আনা উচিত?

উ: পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চান কি না, আলাদা কথা। কিন্তু যদি একটা সুসংহত স্ট্র্যাটেজি না হয়, তা হলে না রাজ্যগুলো, না কর্পোরেট সংস্থাগুলো নিজেদের পরিকল্পনা করতে পারবে। এটাই যোজনা কমিশন করত। যোজনা কমিশনে আমরা কেন্দ্রের বার্ষিক পরিকল্পনা করতাম। রাজ্যগুলো নিজেদের বার্ষিক পরিকল্পনা করত। কিন্তু পনেরো বছরের পার্সপেক্টিভ আর পাঁচ বছরের স্ট্র্যাটেজির পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা ধরে চলতাম আমরা।

প্র: কংগ্রেস তাদের ইস্তাহারে যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনার কথা বলেছে। তার চার ধরনের কাজ থাকবে। বিভিন্ন দাবিদাওয়ার নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করা, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করা, অর্থ মন্ত্রক এবং অন্যান্য মন্ত্রালয়ের সমন্বয় সাধন, সরকারি খরচ আর তার ফলের মধ্যে যে ফারাক সেটার মূল্যায়ন করা। এ বিষয়ে আপনার মত কী?

উ: এই ভূমিকাগুলো সব আগেও ছিল, নীতি আয়োগের কর্তব্যতালিকাতেও আছে, এবং থাকা দরকার। কিন্তু পথনির্দেশটা তো দরকার। এটা তো কোনও বাজার নয় যে, দরাদরি করা যাবে। ব্যাপারটা হল, আমরা সমবেত ভাবে এখানে যেতে চাই, তার জন্য আমার কী করণীয়। ওই সামগ্রিক একটা ভিশন এবং একটা স্ট্র্যাটেজি ভীষণ জরুরি। সেটা যদি ওরা না বলে থাকে, তা হলে...

প্র: না, সেটা বলা হয়েছে— একটা মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং পার্সপেক্টিভ প্ল্যান তৈরি করা হবে। এটা কত দিনের হওয়া উচিত? গত বছর নীতি আয়োগ একটা পার্সপেক্টিভ প্ল্যান তৈরি করেছিল, ২০২২ অবধি...

উ: সেটায় কিচ্ছু ছিল না, কিচ্ছু না... অন্তত পনেরো বছরের কমে পার্সপেক্টিভ প্ল্যানের মানে হয় না। আপনি যদি বড় পরিকাঠামো প্রকল্প দেখেন, ভাবনা থেকে সম্পূর্ণ করা অবধি পনেরো-কুড়ি বছর লাগতে পারে। পনেরো বছরের একটা প্রকল্প শুরু করার জন্য দেখতে হবে আজ কত টাকা দিয়ে শুরু করতে হবে। এই বিনিয়োগ যদি মাত্র পাঁচ বছরের পরিপ্রেক্ষিতে দেখি, তা হলে সে প্রকল্প কোনও দিনই হবে না।

সাক্ষাৎকার: প্রেমাংশু চৌধুরী

ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল কমিশনের ভূতপূর্ব চেয়ারম্যান, যোজনা কমিশনের ভূতপূর্ব উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূতপূর্ব চিফ স্ট্যাটিস্টিশিয়ান

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE