দুষ্কৃতীদের মারে এ ভাবেই রক্তাক্ত হয়েছেন দুই সমাজকর্মী। চিত্ত মিশ্র (বাঁদিকে) এবং অশোক মণ্ডল।
নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের মধ্যে হাজির নতুন রাজনৈতিক অভ্যাস এবং পুরনো বা চেনা রক্তপাত। কোথাও হামলা সমাজকর্মীদের উপরে। কোথাও আবার বিরোধী দলের শীর্ষ পদাধিকারীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ধরা পড়ছেন বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে।
বাগনানে বৈঠক করছিলেন এলাকার পরিচিত সমাজকর্মী চিত্ত মিশ্র ও অশোক মণ্ডল। সেখানেই হানা দিল বড়সড় দুষ্কৃতী দল। পুলিশ-প্রশাসনের সামনে দিয়েই সে বৈঠকে হানা দিল সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। চিত্ত এবং অশোককে সর্বসমক্ষে প্রবল মার হল। জানা গেল এই হামলাকারীরা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত।
অন্য দিকে আসানসোল থেকে আর এক রকমের অনাকাঙ্খিত খবর। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ গৌতম চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হলেন এক কোটি টাকা নিয়ে।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
বাগনানে কেন হামলা হল দুই সমাজকর্মীর উপর। স্থানীয় সূত্র বলছে, জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে এলাকার কৃষকদের একজোট করছিলেন চিত্তরা। তার জেরেই এই ভয়ঙ্কর হামলা। আর আসানসোলে যাঁরা টাকা-সহ ধরা পড়লেন, তাঁরা নিজেরাই জানালেন যে, ওই টাকা দলের টাকা, নির্বাচনের খরচ করার জন্য আনা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: বাগনানে সত্তরোর্ধ ২ সমাজকর্মীকে মেরে হাড় ভাঙল দুষ্কৃতীরা, অভিযুক্ত তৃণমূল
এ কোন মুখ রাজনীতির? ক্রমশ কোথায় নামাচ্ছি আমরা আমাদের রাজনীতিকে? বিরোধী কণ্ঠস্বর দেখলেই তীব্র হিংসার প্রয়োগে স্তব্ধ করার চেষ্টা এক পুরনো অসুখ এ রাজ্যের রাজনীতির। সে অসুখ যেন আরও গভীর হয়ে উঠছে। তীব্রতর হচ্ছে হিংসার দাপট। অন্য দিকে অর্থের রমরমা বাড়ছে বাংলার ভোটে। টাকা যেন উড়ে বেড়াচ্ছে ভোটের হাওয়ায়।
যত রকম ভাবে গণতন্ত্রকে অসুস্থ করে তোলা সম্ভব, তত রকম ভাবেই চেষ্টা হচ্ছে যেন। সুস্থ গণতন্ত্র এমনিতেই ছিল না এ রাজ্যে। রাজ্যবাসী বার বার তার প্রতিকার চেয়েছেন, এখনও চাইছেন। কিন্তু ধাপে ধাপে গভীর হচ্ছে অসুখ, নতুন নতুন অসুখ বাসা বাঁধছে বাংলার রাজনীতির শরীরে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy