Advertisement
১৯ মে ২০২৪

লন্ডন ডায়েরি

রবিশংকর ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে দেখা যাবে পণ্ডিতজির ব্যবহৃত একটি সেতার। জর্জ হ্যারিসনের ‘মেন্টর’ রবিশংকরের প্রভাবেই তখনকার পপ মিউজিকে ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়।

অতিথি: এলেম নতুন দেশে। ভারতে বিটলস

অতিথি: এলেম নতুন দেশে। ভারতে বিটলস

শ্রাবণী বসু
শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:০০
Share: Save:

হৃষীকেশের আশ্রমে ধ্যান করতেন ওঁরা

জন লেনন ও জর্জ হ্যারিসন— দুই ‘বিটল’— ভারতে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন লেননের স্ত্রী সিন্থিয়া ও হ্যারিসনের স্ত্রী প্যাটি বয়েড। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ওঁদের ভারতে আসার ৫০ বছর। ওঁরা সবাই হৃষীকেশে গিয়েছিলেন, বিটলস-এর ভারতপ্রেমের সেই শুরু। পরে অন্য ব্যান্ড-সদস্যরাও যোগ দেন ওঁদের সঙ্গে। মহাঋষি আশ্রমে ওঁরা সেতার বাজানো শিখতেন, ধ্যান করতেন। বিটলস-এর হৃষীকেশে আসার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে লিভারপুলের বিখ্যাত বিটলস মিউজিয়ামে ‘বিটলস ইন ইন্ডিয়া’ নামের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে থাকছে আগে দেখা যায়নি এমন সব স্মারক, ছবি, ব্যক্তিগত নথি ও বিবরণ। দিয়েছেন সেই সব মানুষ, যাঁরা বিটলস-এর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন ১৯৬৮ সালের সেই সময়টায়।

রবিশংকর ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে দেখা যাবে পণ্ডিতজির ব্যবহৃত একটি সেতার। জর্জ হ্যারিসনের ‘মেন্টর’ রবিশংকরের প্রভাবেই তখনকার পপ মিউজিকে ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়। অন্যান্য জিনিসের মধ্যে আছে কানাডার ন্যাশনাল ফিল্ম বোর্ডের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার পল সল্টজমান-এর তোলা বিটলস-এর দুর্দান্ত কিছু ছবি, সেই সময় তোলা। বেঁচে থাকলে এ-বছর জর্জ হ্যারিসন পা দিতেন পঁচাত্তরে, হৃষীকেশের আশ্রমে বিটলস-এর সবাই হ্যারিসনের পঁচিশতম জন্মদিন পালন করেছিলেন। ‘দ্য বিটলস স্টোরি’-র মার্কেটিং ম্যানেজার ডায়ান গ্লোভার গত বছর এপ্রিলে আশ্রমে এসেছিলেন, এখন যেটি পর্যটকদের কাছে রীতিমত আকর্ষণীয় এক জায়গা।

পাতে পড়ল থিম

চার্লস ডিকেন্স একে বলতেন লন্ডনের সেরা ক্লাব। সেন্ট জেমস এলাকার বিখ্যাত ‘রিফর্ম ক্লাব’, ‘আথেনেম’ বা ‘ট্রাভলার্স ক্লাব’ নয়, ডিকেন্স আসলে বলেছিলেন হাউস অব কমন্স-এর ‘মেম্বার্স ডাইনিং রুম’-এর কথা। ইতিহাসবিজড়িত এই ‘রুম’-এ এত দিন শুধু পার্লামেন্টের সদস্য ও অতিথিদের প্রবেশাধিকার ছিল, এখন খুলল জনসাধারণের জন্যও। এখানকার শেফরা অফার করছেন ‘থিম ডিনার’ও। সম্প্রতি উইনস্টন চার্চিলের জীবনভিত্তিক ছবি ‘ডার্কেস্ট আওয়ার’-এর মুক্তিকে কেন্দ্র করে এখানে হয়ে গেল চার্চিল থিম-এর ডিনার। ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার খাবার, চকলেট সিগার— জনপ্রতি মূল্য ৮০ পাউন্ড। সামনেই আসছে সাফ্রাজেট থিম-এর ডিনার, মঙ্গল-বুধবার মাথাপিছু ৬৫ পাউন্ডে নানান ধ্রুপদী ইংলিশ পদ চেখে দেখার সুযোগ।

রাজকীয় উপহার

অপরূপ: মহারাজার দেওয়া সুগন্ধি-পাত্র

১৮৭৫-এর অক্টোবরে চার মাসের সফরে ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন সপ্তম এডওয়ার্ড, প্রিন্স অব ওয়েলস। গিয়েছিলেন কলকাতা, মাদ্রাজ, লাহৌর। গোটা সফরে বিস্তর উপহার পেয়েছিলেন, সুগন্ধি-শিশি, তরবারি, রত্নখচিত মাছ। ইংল্যান্ডে ফেরার পর সে সব দেখে সাড়া পড়ে গিয়েছিল, বেড়েছিল ভারতীয় রত্নালংকার ও এনামেলের কাজের চাহিদা। এডিনবরার হলিরুডহাউস প্রাসাদে এক প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে বাছাই কিছু উপহার, জুনে দেখানো হবে বাকিংহামে কুইন’স গ্যালারিতেও। আছে জোধপুরের মহারাজা দ্বিতীয় যশবন্ত সিংহের দেওয়া সুগন্ধি-পাত্র। প্রিন্সের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল কলকাতায়, ১৮৭৬-এর নিউ ইয়ার্স ডে-তে তাঁকে ‘নাইট কমান্ডার’ করেছিলেন প্রিন্স। এরই প্রতিদানে মহারাজ প্রিন্সকে দেন ফুলের কুঁড়ি আকৃতির অপূর্ব সুগন্ধি-পাত্রটি। আছে জয়পুরের রাজা দ্বিতীয় রাম সিংহের দেওয়া, এনামেলের অনবদ্য নকশাখচিত পিরিচ-পেয়ালা।

নির্দোষ শিকার

হ্যারডস-এ রাজকুমারী ডায়ানা ও ডোডি ফায়েদ-এর মূর্তিটি সরানো হচ্ছে। ডানা-মেলা আলবাট্রস-এর তলায় নৃত্যরত যুগলমূর্তি, তলায় লেখা ‘নির্দোষ শিকার’। হ্যারডস ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের নতুন মালিক, কাতারের রাজপরিবারের কাছে এই মূর্তি মূল্যহীন। প্যারিসের সেই ভয়াবহ গাড়ি-দুর্ঘটনায় ডায়ানা ও ডোডির মৃত্যুর পর ওঁদের স্মৃতিতে মূর্তিটি বসান ডোডির বাবা মহম্মদ আল ফায়েদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

London Diaries
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE