রণে ভঙ্গ দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। আপাতত, সরকার গড়ার প্রস্তুতিতে কংগ্রেস এবং জেডি (এস)।
সংবিধানের দোহাই, গণতন্ত্রের একটি অপমৃত্যু রোখা গেল। অথচ, সর্বতো ভাবে সেই প্রয়াসটি চালানো হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এখনও যে মাথা উঁচু করে কিছু বলার সুযোগ পায়, বলার গৌরব অর্জন করে, তা এই রকমই কিছু বিচ্ছিন্ন দিনের সৌজন্যে।
এর জন্য আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা দরকার সংবিধান প্রণেতাদের অপরিসীম দূরদর্শিতার কাছে। গণতন্ত্রের হত্যার যে চেষ্টা হতে পারে এবং তার নিবারণে যে গণতন্ত্রের কয়েকটা স্তম্ভের যূথবদ্ধ প্রয়াসের দরকার সে কথা আগাম উপলব্ধি করেছিলেন বলেই দিনের শেষে স্বস্তির ঘুমে যেতে পারল কর্নাটক। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল আসমুদ্র হিমাচল এ বিরাট দেশও। কুর্নিশ জানানো প্রয়োজন বিচারব্যবস্থার প্রতি যাঁদের স্থির করা সংক্ষিপ্ত সময়সীমাই ইয়েদুরাপ্পাকে পদত্যাগে বাধ্য করল।
অন্যথায়, গণতন্ত্রের সমাধিক্ষেত্রটা সুচারু ভঙ্গিমাতেই সাজিয়ে তোলার কাজ চলছিল। রাজ্যপাল ডাক দেবেন ইয়েদুরাপ্পাকে, প্রোটেম স্পিকার স্থির করা হবে, নীতির দোহাইকে পাশে সরিয়ে রেখেই আসবে ১০০ কোটি ঘুষের অভিযোগ, অথবা মন্ত্রিত্বের ‘টোপ’— এবং তার প্রতিক্রিয়ায় তিন বাস বিধায়ক নিয়ে এ রাজ্য ও রাজ্য লুকোচুরি খেলা। গণতন্ত্রের জন্য এ হেন সার্বিক কলঙ্কের পর্ব বোধহয় খুব কমই রচনা হয়েছে।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন
কর্নাটকে রণে ভঙ্গ দিল বিজেপি, ইস্তফা ইয়েড্ডির, সোমবার শপথ কুমারস্বামীর
আপাতত, রণে ভঙ্গ দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। আপাতত, নির্বাচন পরবর্তী জোট নিয়ে সরকার গড়ার প্রস্তুতিতে কংগ্রেস এবং জেডি (এস)। যথা নিয়মেই এর ভবিষ্যৎ কী হবে, বিজেপি কী ভাবে প্রত্যাঘাত দিতে পারে সেই নিয়ে জল্পনা চলতে থাকবে। আমরা আবার দৈনন্দিন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ব। যে প্রশ্নটা অধরা থেকে যাবে, গণতন্ত্রের হত্যার এই নির্লজ্জ আস্পর্ধার বহিঃপ্রকাশ শেষ হবে কোথায়? বহিঃপ্রকাশ যখন ঘটেছে, বোঝা দরকার তার পটভূমিটাও প্রস্তুত করা হয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। একবিংশ শতাব্দীর ভারত এই লজ্জার হাত থেকে নিষ্কৃতি চায়। অর্থ-ক্ষমতা-বাহুবলের মদমত্ত রাজনীতিকদের এই নির্লজ্জ পরাক্রম থেকে মুক্তি চায় নতুন ভারত। সেই হঠাৎ আলোর ঝলকানির অপেক্ষায় আমরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy