এক গৃহবধূর উপর হামলার অভিযোগ উঠল তাঁরই স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার ঘটনা। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই গৃহবধূকে আঘাত করেন তাঁর স্বামী সোমনাথ, শ্বশুর রবীন্দ্রনাথ দাস এবং শাশুড়ি গৌরীদেবী। আহত অবস্থায় পরে স্থানীয় সাগর দত্ত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। শনিবার রাতে খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর তেইশের ওই মহিলার সঙ্গে ২০১২ সালে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয় আগরপাড়ার ইলিয়াস রোডের বাসিন্দা সোমনাথের। এলাকায় সোমনাথের একটি মোবাইল সারানোর দোকান রয়েছে। তবে এই বিয়েতে উভয় পরিবারের আপত্তি ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মাত্র তিন দিন পরেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আগরপাড়ায় হলধর বসু রোডে নিজের বাড়িতে চলে আসেন ওই গৃহবধূ। মাসখানেক আগে সোমনাথের কাছ থেকে ‘সেপারেশন’-এর জন্য আইনি নোটিশ পান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এর দিন পনেরো পরে সোমনাথ এবং তাঁর পরিবারের উপরে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন ওই গৃহবধূর পরিবার। সেই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমনাথকে দু’বার থানায় ডেকে পাঠানো হয়।
আরও অভিযোগ, ‘সেপারেশন’-এর নোটিশ পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এক পরিচিতের অটোতে করে সোমনাথের বাড়িতে যান তিনি। অটোচালককে বাইরে দাঁড়াতে বলে সোমনাথের ঘরে ঢোকেন তিনি। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই সেখানে গিয়ে সোমনাথ ও তার পরিবারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় আচমকাই একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায় সোমনাথ এবং তার বাবা-মা। যন্ত্রণায় চিত্কার করে ওঠেন তিনি। চিত্কার শুনে বাইরে দাঁড়ানো ওই অটোচালক মহিলার বাড়িতে খবর দেন। এর পরে সেখানে পৌঁছন যুবতীর কাকা-কাকিমা ও তাঁর এক আত্মীয়। তাঁদের উপরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy