‘আর্মড সার্ভিসেস কমিটি’র এক শুনানিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হেগল মার্কিন সেনার চিফ অফ স্টাফস জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি। ছবি: এপি।
প্রয়োজনে ইরাকে স্থলসেনা নামানো হতে পারে। মার্কিন সেনেট-এর ‘আর্মড সার্ভিসেস কমিটি’র এক শুনানিতে এ কথা জানালেন মার্কিন সেনার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফস জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমতি ছাড়া এমন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না বলেও তিনি জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইসলামিক স্টেট (আইএস) দমনের নীতি ঘোষণার পর থেকে বিশ্বব্যাপী জোট গড়তে তৎপর হয়েছে আমেরিকা। এ নিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি আরবে ঝটিকা সফর সেরেছেন। প্যারিসের এই সম্মেলনে ৪০টি দেশ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে আরবের দশটি দেশও আছে। সামরিক ও আর্থিক দিক থেকে আইএস-কে দুর্বল করতে বিভিন্ন দেশের কী ভূমিকা হবে তা এখানে নির্দিষ্ট হওয়ার কথা।
জোট হলেও আমেরিকাকেই এই সংগ্রামে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে। সেখানে আমেরিকার সেনা কী ভাবে কাজ করবে তা জানতেই সেনেটের ‘আর্মড সার্ভিসেস কমিটি’ মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হেগল এবং জেনারেল মার্টিন ডেম্পসিকে ডেকে পাঠায়। তাঁরা জানান, আপাতত আকাশপথে মার্কিন আক্রমণ চলছে। ফ্রান্স ও ব্রিটেন আকাশপথে নজরদারি চালাচ্ছে। আর মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞরা ইরাকি সেনা, শিয়া মিলেশিয়া ও কুর্দ পেশমেরগা যোদ্ধাদের আইএস-এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করছেন। এই পরিকল্পনা সফল করতেও নানা ভাবে সাহায্য করছেন। তবে প্রয়োজনে আইএস-এর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করতে ইরাকি সেনার সঙ্গে মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞদের যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের অনুমিত চাওয়া হবে বলে জেনারেল ডেম্পসি জানান।
তবে ডেম্পসির মতে, আইএস-এর মূল ঘাঁটি সিরিয়ায় আঘাত করাও খুবই প্রয়োজন। এই অঞ্চলে আইএস-এর জনপ্রিয়তা খর্ব করাও তাঁদের লক্ষ্য বলে তিনি জানান। কিন্তু এ বিষয়ে প্যারিস সম্মেলনে এখনও ঐক্যমত্য হয়নি। অন্য দিকে, বুধবার মসুলের পূর্ব দিকে মার্কিন বায়ুসেনা হামলা চালায়। কুর্দ যোদ্ধারাও আরবিল থেকে মসুলে যাওয়ার পথটি জঙ্গিমুক্ত করার চেষ্টা করছে। জুমরের দিক থেকেও মসুলে যাওয়ার চেষ্টা করছে কুর্দ সেনা। কিন্তু পথে মাইন ও বুবি ট্র্যাপ থাকায় এবং আইএস জঙ্গিরা চোরাগোপ্তা হামলা চালানোয় কুর্দদের ধীরে অগ্রসর হতে হচ্ছে। তবে এর মধ্যে পশ্চিমী বিশ্ব থেকে কুর্দদের জন্য অস্ত্র সাহায্য আসতে শুরু করেছে।
অন্য দিকে, এ দিন মন্ত্রিসভার গঠন সম্পূর্ণ করতে গিয়ে ধাক্কা খেলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবিদি। ঐক্যমত্য না-হওয়ায় মন্ত্রিসভা গঠনের সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ দু’টি ফাঁকা ছিল। এ বার সেই পদে দু’জনকে মনোনীত করেছিলেন আবিদি। কিন্তু এ দিন সেই মনোনয় বাতিল করে দিয়েছে ইরাকি পার্লামেন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy