চলছে আগুন নেভানোর কাজ। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
দুর্গাপুরে একটি কাঠের গুদামে আগুন লাগে বৃহস্পতিবার রাতে। ঘটনাটি ঘটে ওই দিন রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ দুর্গাপুরের বেনাচিতির নাচন রোডের কাছে। পুলিশ জানায়, দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় শুক্রবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই কাঠের গুদামের মালিকের নাম গুরুদয়াল সিংহ। গুদামের পাশেই তাঁর বাড়ি রয়েছে। ওই দিন রাতে হঠাত্ গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে চেঁচামেচি শুরু করেন এলাকার লোকজন। গুদামের মালিককে খবর দেওয়া হয়। তিনি ছুটে এসে গুদামের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচন্ড কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে গুদামের ভেতর বেশিরভাগ অংশেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান বাসিন্দারা। ভোর ৪টে নাগাদ দমকল এসে পৌঁছয়। দমকল কর্মীরা জানান, আগুন এতটাই ছড়িয়ে পড়েছিল যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময় লেগে যায়। তার উপর জল ফুরিয়ে যাওয়ায় পাশের একটি পুকুর থেকে জল নিয়ে আগুন নেভাতে হয়। সকাল ৭টা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বেনাচিতির মেন রোডের উপরেই গুরুদয়ালবাবুর ওই কাঠের গুদাম। রাস্তার অপর প্রান্তেই একটি পুকুর রয়েছে। তাই সহজেই পুকুর থেকে পাইপলাইন দিয়ে জল এনে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান দমকলের এক আধিকারিক। তাঁর কথায়, বেনাচিতির ভিতরে ঘিঞ্জি এলাকায় ওই গুদাম হলে আগুন আয়ত্তে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে যেত। কারণ বেনাচিতি বাজারের ভিতরেই প্রায় ১২-১৩ হাজার দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার নিতে পারত বলেই মনে করছেন তিনি।
গুরুদয়ালবাবু বলেন, “আগুন লেগে আমার কয়েক লক্ষ টাকার কাঠ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন আমি চরম ক্ষতির মুখে পড়লাম।”
এ দিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বর্ধমান ডিভিশনের দমকলের উচ্চপদস্থ কর্তা তুষারকান্তি সেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে অনেকগুলি প্রদীপ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাই দীপাবলির প্রদীপ থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া শর্ট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পাড়ে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy