ইসলামাবাদে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ পুলিশের। ছবি: এপি।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রবিবার সকালে নিহত হলেন দু’জন বিক্ষোভকারী। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫০ জন। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার রাত থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের মূল গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে পরিস্থিতি চরম আকার নেয়। তাঁদের আটকাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়। শনিবারেই সংঘর্ষে নিহত হন সাত জন বিক্ষোভকারী। রাতভর সংঘর্ষ চলে। তাঁরা পার্লামেন্টের দরজা ভেঙে ফেলেন। এর পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের পথ আটকান। শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ। এ দিন সকালে বিক্ষোভকারীরা আরও বেশি মাত্রায় জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর প্রধান ইমরান খান ও বিরোধী নেতা তাহির-উল-কাদরি। এ দিন ইমরান খান জানান, শরিফ ভাইয়েরা যত ক্ষণ না পদত্যাগ করছেন এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
এ দিকে, গত কয়েক দিন ধরে চলা আন্দোলনে দেশজুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন সেনা প্রধান জেনারেল রহিল শরিফ। শরিফের বিরুদ্ধে কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার অভিযোগ তুলে গত ১৫ অগস্ট থেকে ইসলামাবাদে পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং পিএটি-র কয়েক হাজার সমর্থক।
শনিবার শরিফ সরকার ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রথম দফায় বৈঠক হয়। কিন্তু তাতে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। বিক্ষোভকারীরাও তাঁদের নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় অশান্তির আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। রবিবারও পাক সরকারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। তথ্য মন্ত্রী পারভেজ রশিদ এ দিন বলেন, “দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রেখেছে সরকার। সরকার হিংসাকে কখনওই প্রশ্রয় দেবে না। বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীরা তাঁদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy