স্থানীয়দের পথ অবরোধ।
বনগাঁর এক যুবক খুনে জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার ভোর ৫টা থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় বাজিতপুর রোড অবরোধ করেন তাঁরা।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ গোপালনগরের খাগরাপোতা গ্রামে নিজের বাড়িতে হেঁটে ফিরছিলেন বছর পয়তাল্লিশের যুবক ইউনুস মণ্ডল। সুন্দরপুর মোড়ে তাঁর উপর হামলা চালায় জনা পনেরো দুষ্কৃতী। খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। হামলার পরে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ইউনুসের মাথায় গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত রাতেই প্রথমে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে এবং পরে পিজি-তে ইউনুসকে স্থানান্তরিত করা হয়। রাত ১২টা নাগাদ পিজি-তেই মারা যান ইউনুস। ইউনুসের পরিবারের দাবি, তিনি তৃণমূলের কর্মী ছিলেন।
এই ঘটনার পর এ দিন ভোর থেকেই স্থানীয়দের সঙ্গে পথ অবরোধে সামিল হন ইউনুসের পরিবারের লোকজনও। ইউনুসের খুনিদের ধরার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা দুষ্কৃতীমুক্ত করার দাবিও জানাতে থাকেন তাঁরা। গোপালনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল গিতে ব্যর্থ হয়। অবরোধকারীরা পুলিশকে জানান, স্থানীয় বিধায়ক না-আসা পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাবেন। শেষমেশ ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস। বিধায়কের আশ্বাসে সকাল ১১টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা। এর পরে গোপালনগর থানায় স্বপন সর্দার এবং সুখরঞ্জন বিশ্বাস-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ইউনুসকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর ভাই আতিয়ার। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার ইউনুসকে হামলার পরে সুখরঞ্জনকেও আহত অবস্থায় আরজিকরে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কী ভাবে তিনি আহত হলেন, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
শনিবার ছবিগুলি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy