Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মাঝরাতে স্কুলে ঢুকে লুঠপাট দুষ্কৃতীদের

মাঝরাতে তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে সাফাইকর্মীকে ছুরি দেখিয়ে টাকা লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। স্কুলের তহবিলের প্রায় ৪০ হাজার টাকা ছাড়াও এক সাফাইকর্মীর গয়নাও দুর্বৃত্তেরা লুঠ করে। শুক্রবার দক্ষিণ শহরতলির বাঘাযতীন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। নেতাজি নগর থানার পুলিশ রাহাজানির একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৫০
Share: Save:

মাঝরাতে তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে সাফাইকর্মীকে ছুরি দেখিয়ে টাকা লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। স্কুলের তহবিলের প্রায় ৪০ হাজার টাকা ছাড়াও এক সাফাইকর্মীর গয়নাও দুর্বৃত্তেরা লুঠ করে। শুক্রবার দক্ষিণ শহরতলির বাঘাযতীন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। নেতাজি নগর থানার পুলিশ রাহাজানির একটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই স্কুলে একতলার একটি ঘরে নরেশ মল্লিক এবং তাঁর স্ত্রী রেখাদেবী থাকেন। তাঁরা দু’জনেই স্কুলের সাফাইকর্মী। মাঝরাতে রেখাদেবী শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে বেরিয়ে দেখেন, স্কুলের অফিসঘরের সামনে চার জন দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি চিৎকার করে ওঠেন। এর পরেই দুষ্কৃতীরা ওই দম্পতির ঘরে ঢুকে পড়ে। রেখাদেবী এবং তাঁর স্বামীকে ঘরের ভিতরে ছুরি দেখিয়ে আটকে রাখে দু’জন। অন্য দু’জন তাঁদের ঘরের আলমারি খুলে সোনার গয়না বার করে নেয়। পুলিশের কাছে অভিযোগে রেখাদেবী জানিয়েছেন, আলমারি থেকে তাঁর একটি সোনার আংটি, একজোড়া কানের দুল এবং নাকছাবি লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরে রেখাদেবীরা বাইরে বেরিয়ে দেখেন, স্কুলের সদর দরজার তালা ভাঙা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ঘর, অফিস ঘর-সহ বেশ কয়েকটি ঘরেরও তালা ভাঙা এবং ঘর লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। মেয়েদের ওই স্কুলের পাশেই ছেলেদের স্কুল। সেই স্কুলের গেটেরও তালা ভাঙা। ছেলেদের স্কুলের ভিতরে যে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে সে দু’টির অফিস ঘরও লন্ডভন্ড। বাঘাযতীন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা জানান, ভোর ৫টা নাগাদ স্কুল থেকে ঘটনাটি জানিয়ে তাঁর কাছে ফোন যায়। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষিকার ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ কয়েক হাজার টাকা বার করে নিলেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি নেয়নি দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে নেতাজি নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ঘরের আলমারি ভাঙা হয়েছে। অফিসঘর, স্টাফ রুমে শিক্ষিকাদের লকারগুলির তালাও ভাঙা হয়েছে। তবে স্কুল থেকে নগদ টাকা ছাড়া আর কিছুই নেয়নি দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক স্কুলের তহবিল থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং মেয়েদের স্কুল থেকে প্রায় ৩৪ হাজার টাকা লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE