বন্ধ তুরস্কের সীমান্ত। অপেক্ষায় কুর্দ শরণার্থীরা। ছবি: রয়টার্স।
শরণার্থীদের রুখতে সিরিয়ার সীমান্ত বন্ধ করতে শুরু করল তুরস্ক। শনিবার থেকে প্রায় এক লক্ষ তিরিশ হাজার কুর্দ শরণার্থী সিরিয়ায় প্রবেশ করেছেন।
সিরিয়ার কোবানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিরা। এই অঞ্চলে প্রধানত কুর্দরা বাস করেন। আইএস-এর হাতে প্রাণনাশের ভয়ে দলে দলে কুর্দ ঘর ছাড়তে শুরু করেন। তবে কুর্দদের এই ঘরছাড়া হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই কুর্দরা ঘর ছাড়ছেন। ঘর ছেড়েছেন সংখ্যালঘু সুন্নি সম্প্রদায়ও। এই সব শরণার্থীদের অন্যতম বড় ঘাঁটি তুরস্ক। কিন্তু এ বারে আইএস-এর ভয়ে কম সময়ের মধ্যেই বহু কুর্দ ঘর ছেড়েছেন।
প্রথম দিকে শরণার্থীদের জন্য সীমান্তও খুলে দিয়েছিল তুরস্ক। কিন্তু বহু সংখ্যক শরণার্থী আসার ফলে সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছে তুরস্ক সরকার। বিশেষ করে যখন কুর্দদের সঙ্গে তুর্কদের ৪০ বছর ধরে গৃহযুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে। সেই গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। সে সময় সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দদের নিয়ন্ত্রণে এনেছিল তুরস্ক সরকার।
তুরস্ক সরকারের আশঙ্কা, কুর্দ শরণার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-তে যোগ দিতে পারেন। স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের জন্য এদের সঙ্গেই তুরস্ক সরকারের দীর্ঘ দিন গৃহযুদ্ধ হয়েছে। পিকেকে সম্প্রতি আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য কুর্দদের সংঘবদ্ধ হতে বলেছে। এতে তুরস্কের সন্দেহ আরও বেড়ে গিয়েছে। রবিবারই তুরস্কের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কুর্দদের বিরোধ ঘটে। বিক্ষোভরত কুর্দদের হঠাতে জল-কামানও ব্যবহার করা হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জ সূত্রে খবর, কুর্দ শরণার্থীদের আটকাতে ইতিমধ্যে সীমান্তের ন’টি চেকপোস্টের মধ্যে সাতটি চেকপোস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখনও সীমান্তে অনেকে ভিড় করে আসছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy