গোলের হুঙ্কার। ছবি: এএফপি।
এক জন নেমেছিলেন নিজেরই শিষ্যের বিরুদ্ধে, এক সময়ের ঘরের মাঠে। বলেছিলেন, জেতার জন্যই এসেছেন। আর এক জন বলেছিলেন, মাঠে কে বস তা কোচের পুরনো শিষ্যকে তা বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু সাধ পূরণ হল না দু’জনেরই। বুধবার রাতে কাম্প ন্যু-তে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচে মেসি-ম্যাজিকে ভর করে পেপ-ন্যয়ারের বায়ার্নকে তিন গোলে হারাল বার্সেলোনা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের এই ম্যাচকে টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচের তকমা দিয়েছিলেন অনেকেই। বার্সার এমএসএন (মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার)-এর ত্রিভুজকে সামলাতে চতুর গুয়ার্দিওলা কী ব্যবস্থা নেন সে দিকেও নজর ছিল সবার। ম্যাচের আগেই অবশ্য বার্সার প্রাক্তন কোচ বলেছিলেন, বিশ্বে এমন কোনও ডিফেন্স নেই যা মেসিকে আটকাতে পারে। বাস্তবে দেখা গেল প্রাক্তন কোচের কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছেন ফুটবলের রাজপুত্র। ম্যাচের প্রথমার্ধ বার্সার ত্রিফলাকে সফল ভাবে আটকাতে পারলেও বায়ার্নের গোলের সামনে বারবারই হানা দিয়েছে মেসি-নেইমাররা। এই সময়ে সুয়ারেজদের গোটা দু’য়েক শট বাঁচান ন্যয়ার। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে বার্সাকে খানিকটা চমকে দিতে চেয়েছিলেন পেপ। ফল হল উল্টো। ৭৭ মিনিটে ছাত্রের একক প্রচেষ্টায় গোলমুখ খুলল বায়ার্নের। তিন মিনিটের মধ্যে ফের গোল। এবং এ বারেও সেই মেসি। এ বারে আগুয়ান ন্যয়ারের মাথার উপর দিয়ে হালকা চিপ। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে ব্যবধান বাড়ান নেইমার।
তবে তিন গোলে জিতলেও দিনের অন্যতম সেরা সুযোগটি ফস্কান লেওয়ানডস্কি। ভাঙা চোয়াল নিয়ে মুখোশ পরে খেলা এই পোলিশ তারক ম্যাচের ১৮ মিনিটে সিটার মিস করেন।
বছর দু’য়েক আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারেই বায়ার্নের হাতে ৭ গোল খেয়েছিল বার্সা। এ দিন তিন গোল করে জার্মানি রওনা হওয়ার আগে সেই লজ্জা কিছুটা কমাতে পারল মেসিরা। তবে পরের পর্বে সুস্থ রবেন-রিবেরিদের পেয়ে পেপ নতুন কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারেন কি না সেদিকেই নজর থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy