নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট নিয়ে দেশ জুড়ে ছিল ব্যাপক উত্সাহ। বাজেট পেশের পর কেউ করলেন তার প্রশংসা, তো কেউ তাকে বললেন ‘ফাঁপা’। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রধান সেনানীর পিঠ চাপড়ালেও কংগ্রেসের মতে, সাধারণ বাজেটে ‘সাধারণ’-এর জন্য কিছু নেই। যা কিছু আছে তা উচ্চবিত্তের জন্য। বিজু জনতা দল আবার অর্থমন্ত্রীকে দশে দুইয়ের বেশি দিতে কোনওমতেই রাজি নয়। বাজেট নিয়ে নেতাদের প্রতিক্রিয়া এক নজরে—
নরেন্দ্র মোদী, প্রধানমন্ত্রী
অত্যন্ত সাহসী এবং দৃঢ় বাজেট। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে অসামান্য বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পপতি— সবার জন্যই ভাল কিছু আছে বাজেটে।
মল্লিকার্জুন খর্গে, কংগ্রেস নেতা
এই বাজেট শুধুমাত্র শিল্পপতি এবং কর্পোরেটদের জন্য। লোকসভা ভোটে বিজেপি-কে যে শিল্পপতিরা সাহায্য করেছেন, এই বাজেটের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী তাঁদের সাহায্য করলেন।
জয়রাম রমেশ, কংগ্রেস নেতা
এটা আসলে বিজেপির ‘ধন ওয়াপসি’ প্রকল্প। বন্ধু শিল্পপতিদের সাহায্য করার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে বাজেটে।
মায়াবতী, বিএসপি নেতা
গরিব মানুষকে ‘আচ্ছে দিন’ দেওয়ার কেন্দ্রীয় আশ্বাস যে কতটা ভ্রান্ত, এই বাজেট তার জলজ্যান্ত প্রমাণ।
বি মহতাব, বিজেডি নেতা
অত্যন্ত হতাশাজনক বাজেট। দশের মধ্যে দুইয়ের বেশি দেওয়া যাচ্ছে না অর্থমন্ত্রীকে।
শরদ পওয়ার, এনসিপি নেতা
সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ এই বাজেট। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও সঠিক দিশা নেই।
ডেরেক ও’ব্রায়েন, তৃণমূল নেতা
গরিব, মধ্যবিত্ত এবং কৃষক-বিরোধী এই বাজেট। পশ্চিমবঙ্গকে সামান্য সাহায্য করে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে নির্মম রসিকতা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
শরদ যাদব, জেডি(ইউ) নেতা
কর্মসংস্থান, কৃষি এবং কালো টাকা নিয়ে কোনও নতুন দিশা দেখাতে ব্যর্থ এই বাজেট।
রঞ্জন মিত্তল, শিল্পপতি
ভারসাম্যের বাজেট। কোম্পানি কর সরল করার চেষ্টা করা হয়েছে। সম্পত্তি কর তুলে দিয়ে সঠিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy