জয়ললিতা
ফের মসনদে ফিরছেন ‘আম্মা’। কর্নাটক হাইকোর্টে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর তিনি ঘোষণা করেছিলেন ‘‘আগুনে পুড়ে আজ আমি আরও খাঁটি সোনা।” পঞ্চম বারের জন্য তামিলনাড়ুতে সেই ‘খাঁটি সোনা’র ঝলক দেখতে পাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
শুক্রবার সকালে চেয়ারম্যান ই মধুসূদননের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেন এআইএডিএমকে-র বিধায়কেরা। সেই বৈঠকে সর্বসন্মত ভাবে পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন জয়ললিতা। তাঁর প্রতি তাঁদের সমর্থন জানাতে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে-র চার বিদ্রোহী বিধায়ক।
পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরই রাজ্যপাল কে রোসাইয়া ‘আম্মা’-কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। এই ঘোষণার পরই নিজের পদত্যাগপত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পন্নীরসেলভম। রাজভবন সূত্রে খবর, পন্নীরসেলভমের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। পন্নীরসেলভমের মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্রও গৃহীত হয়েছে। জয়ললিতাকে শীঘ্রই মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য অনুরোধ জানান রাজ্যপাল রোসাইয়া।
পরিষদীয় দলের বৈঠকে পন্নীরসেলভম।
চেন্নাইয়ে দলীয় সদর দফতরে একটি বৈঠক ডাকেন জয়া। দলের সব বিধায়ককে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকের কোনও কারণ জানানো না হলেও ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে মনে করা হয়। পন্নীরসেলভম অবশ্য প্রথম থেকেই জানিয়েছিলেন যে, নেত্রীর জন্য যে কোনও সময়েই সরে যেতে রাজি তিনি।
উনিশ বছরের পুরনো হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় অভিযুক্ত এআইএডিএম-কে সুপ্রিমো জয়ললিতা মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন গত বছরের শেষ দিকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জয়ললিতাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। নিম্ন আদালতের এই রায়ের পর জেলে যেতে হয় তাঁকে। অনুগত সৈনিকের মতো তখন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব সামলান নেত্রীর একান্ত বিশ্বস্ত পন্নীরসেলভম। দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থা থেকে সরাসরি জেলে যেতে হয় এআইএডিএমকে-র এই নেত্রীকে। কিছু দিনের মধ্যেই অবশ্য শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে জামিন পান জয়া। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কর্নাটক হাইকোর্টে চলতে থাকে মামলাও। চলতি মাসে কর্নাটক হাইকোর্ট জয়াকে বেকসুর ঘোষণা করে।
আম্মার মসনদে ফেরার কথা জানা যেতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দে মেতে ওঠেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। চেন্নাইয়ে দলের সদর দফতর এবং জয়ললিতার বাসভবনের সামনে হোর্ডিং, ফেস্টুন, মাঙ্গলিক আমপাতা এবং দলের ফ্ল্যাগ সঙ্গে নিয়ে দলে দলে হাজির হন তাঁরা।
ছবি: পিটিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy