Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

শহরে ফিরল ভারতসেরা মোহনবাগান

কে বলেছে বাংলার ফুটবল শেষ? মোহনবাগান সমর্থকরাই তো প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় ফুটবলের আবেগ এখনও ধরে রেখেছে বাংলা। সোমবার দুপুর তখন ১২টা। ম্যাটাডর চেপে একের পর এক সমর্থক আসছেন। চিত্কার হচ্ছে, ‘‘জিতেগা ভাই জিতেগা, মোহনবাগান হামারা।’’ আবার কয়েক জন স্বস্তির আওয়াজে বলতে থাকে, ‘‘খরা কাটল রে। আই লিগ তুললাম।’’

ধরাছোঁয়ায় এল ভারতসেরার ট্রফি।

ধরাছোঁয়ায় এল ভারতসেরার ট্রফি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৫ ২০:৩৫
Share: Save:

কে বলেছে বাংলার ফুটবল শেষ? মোহনবাগান সমর্থকরাই তো প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় ফুটবলের আবেগ এখনও ধরে রেখেছে বাংলা। সোমবার দুপুর তখন ১২টা। ম্যাটাডর চেপে একের পর এক সমর্থক আসছেন। চিত্কার হচ্ছে, ‘‘জিতেগা ভাই জিতেগা, মোহনবাগান হামারা।’’ আবার কয়েক জন স্বস্তির আওয়াজে বলতে থাকে, ‘‘খরা কাটল রে। আই লিগ তুললাম।’’

কলকাতা বিমানবন্দরে তখন অধীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে হাজারেরও বেশি সমর্থক। হোক না জ্যৈষ্ঠ মাসের তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সবাই সনি-বোয়ার এক ঝলক দেখতে হাজির। সঙ্গে সেই ট্রফিটাও দেখতে যা তেরো বছর পা রাখেনি মোহনবাগান তাঁবুতে। কোথাও চলছে আবির খেলা। কোথাও আবার ড্রাম বাজানো। দুপুর প্রায় দেড়টার সময় বিমানবন্দর থেকে বেরোলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। স্বাভাবিক ভাবেই সবার মূল আকর্ষণ ছিলেন সনি নর্ডি। হাইতি ফরোয়ার্ড এখন মোহনবাগানের ‘চোখের মণি’ হয়ে উঠেছে। সনির সঙ্গে হাত মেলাতে টিমবাসে উঠে পড়েন অধিকাংশ সমর্থক। বাসের জানলা দিয়ে ঝুলতে থাকেন সবাই।

বিমানবন্দর থেকে মোহনবাগান টিমবাস সোজা চলে যায় বাগুইআটি মোড়ে। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হয় মোহনবাগান দলকে। যদিও শিল্টন, কাতসুমি ছাড়া বাস থেকে নামেননি কেউ। মোহনবাগান অধিনায়ক বলেন, ‘‘এই ভাবে আমাদের পাশে থাকুন। আপনাদের পাশে পেলে বাংলা এবং বাঙালির ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে।’’ মঞ্চের সামনে যাঁরা ভিড় করতে পারেননি তাঁরা বাগুইআটি ব্রিজের উপর দিয়েই অনুষ্ঠান দেখেন। ২০০১-’০২ মরসুমে যে বার মোহনবাগান জাতীয় লিগ জেতে অনেকে সেই ভিড়ের সঙ্গে মিল খুঁজছেন। তবে এ বারের উৎসবে ভিড় অনেক বেশি ছিল।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের সামনে তখন রাখা ছিল ১২টা ঘোড়ার গাড়ি। যেখানে চড়েই ক্লাব তাঁবুতে প্রবেশ করার কথা ছিল মোহনবাগানের। তবে সমর্থকদের ভিড় এড়াতে একদম তাঁবুতে এসে নামানো হয় ফুটবলারদের। ১৯১১-র গান তখন বাজছে। সব বয়সের সমর্থক এসে হাজির। যার মধ্যে মহিলা সমর্থকদেরও সংখ্যা ছিল অনেক। মঞ্চে তখন আই লিগ জয়ী কোচ সঞ্জয় সেন। সঙ্গে রয়েছেন বেলো রজ্জাক, শিল্টন পালরা। প্রথমেই মোহনবাগান পতাকা উত্তোলন করা হল। এর পরে বোয়া, কাতসুমিদের সংবর্ধিত করা হয়। মোহনবাগানে লনে তখন কেউ গাছে চড়ে বসে আছেন। আবার কেউ ল্যাম্প পোস্টের উপর উঠে পড়েছেন। সনি নর্ডিকে মঞ্চে আসার জন্য সবাই আবেদন জানালেও শেষমেশ সেই ইচ্ছাপূরণ হল না। তবে বাংলা ফুটবলকে ফের তার চেনা মেজাজেই দেখা গেল।

ছবি: উৎপল সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE