অবৈধ ইটভাটা বিষয়ে পরিবেশ আদালতে হলফনামা দেওয়ায় গাফিলতি করেছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। তারই জেরে জেলাশাসককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করল পরিবেশ আদালত।
২০০১ সালেই সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ দেয়, কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা তৈরি করা চলবে না। কিন্তু এর পরেও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কোনও অনুমোদন ছাড়াই ভাটা গজিয়ে উঠেছে। ইট ভাটার জন্য যে উর্বর মাটি তোলা হচ্ছে তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই অভিযোগে গত বছর পরিবেশ আদালতের কাছে মামলা করেন চুঁচুড়ার এক আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সেই মামলায় বীরভূম, বাঁকুড়া আর মুর্শিদাবাদ— এই তিনটি জেলাকে যথেচ্ছ ভাবে অবৈধ ইটভাটা নির্মাণের জন্য দায়ী করেন জয়দীপবাবু। তাঁর রুজু করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই পরিবেশ আদালত মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা পরিবেশে আদালতে পেশও করা হয়। কিন্তু সেই হলফনামা নির্ভুল ভাবে পাঠানো হয়নি বলে পরিবেশ আদালতের অভিযোগ।
মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন যে হলফনামা পাঠিয়েছে, তাকে অসম্পূর্ণ এবং অসঙ্গতিপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছে পরিবেশ আদালত। মুর্শিদাবাদ জেলার ইটভাটাগুলি কবে শুরু হয়েছে, কী ভাবে কাজ করে তারা— এই সব বিষয়ে হলফনামায় যথাযথ তথ্য ছিল না বলে দাবি আদালতের। এ ছাড়াও হলফনামায় সইয়ের ব্যাপারেও নিয়মভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ। হলফনামাটিতে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের বদলে সই ছিল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের।
এই ত্রুটিপূর্ণ হলফনামার জন্যই মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে জরিমানা ধার্য করেছে পরিবেশ আদালত। এ ছাড়া একটি নির্ভুল হলফনামাও চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত। সেই নতুন হলফনামার ভিত্তিতে মামলাটির বিচার করা হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy