Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আপের জাতীয় পরিষদ থেকে বহিষ্কৃত যোগেন্দ্র-প্রশান্ত

দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বিদ্রোহী দুই নেতা যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে আগেই ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে আম আদমি পার্টি। আর এ বার জাতীয় পরিষদ থেকেও দুই নেতাকে বাদ দিয়ে দল থেকেই তাঁদের ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল দল।

যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণ। ছবি: পিটিআই।

যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণ। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ১৫:৩২
Share: Save:

দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বিদ্রোহী দুই নেতা যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি থেকে আগেই ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে আম আদমি পার্টি। আর এ বার জাতীয় পরিষদ থেকেও দুই নেতাকে বাদ দিয়ে দল থেকেই তাঁদের ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল দল।

বেশ কয়েক মাস ধরেই আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে সুর চরাচ্ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য যোগেন্দ্র এবং প্রশান্ত। দলে গণতন্ত্রের অভাবের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী দিল্লি বিধানসভা ভোটের সময়েও প্রচারেও বিশেষ একটা দেখা যায়নি এই দুই নেতাকে। কোন্দল চরমে ওঠে এই দুই নেতার সরাসরি অরবিন্দ কেজরীবালকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে আক্রমণের পর। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন যোগেন্দ্র এবং প্রশান্ত। তখন থেকেই দলের জাতীয় পরিষদ থেকে তাঁদের বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়। শনিবার বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ এই কমিটি থেকে বাদ পড়লেন দুই বিদ্রোহী নেতা। সূত্রের খবর, তিন শতাধিক সদস্যের মধ্যে ২৩০ জন এঁদের বহিষ্কারের পক্ষে মত দেন। যোগেন্দ্রদের সঙ্গে দলে তাঁদের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত আনন্দ কুমার এবং অজিত ঝা-কেও বহিষ্কার করা হয়েছে এ দিন।

বহিষ্কারের পর অবশ্য ফের সোচ্চার হন যোগেন্দ্র। বলেন, “দলে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। সব সিদ্ধান্তই আগে থেকে ঠিক করে রাখা ছিল। কোনও রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

যাঁর বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, সেই অরবিন্দ অবশ্য বেশি ক্ষণ ছিলেন না এ দিনের বৈঠকে। সকাল সকাল বৈঠকে এসে আবেগপূর্ণ একটি লিখিত বিবৃতি পড়ে বেরিয়ে যান তিনি। সুপ্রিমো চলে যেতেই মণীশ সিসৌদিয়া কমিটি থেকে দুই নেতার বহিষ্কার চেয়ে কমিটির কাছে আবেদন করেন। মুহূর্তের ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে যায় সেই আবেদন। ভোটাভুটি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রশান্ত। তাঁর দাবি, তাঁদের অনেক সমর্থককে বৈঠকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। ভোটও গোপন ব্যালটে নেওয়া হয়নি। যোগেন্দ্রর অভিযোগ, বৈঠকে অভ্যন্তরীণ লোকপালকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি সমর্থন করেছেন আপের লোকপাল অ্যাডমিরাল এল রামদাসও। দলের তরফ থেকে তাঁকে বৈঠকে না আসার জন্য বলা হয় বলে জানান তিনি।

দলের তরফ থেকে অবশ্য যোগেন্দ্রদের যাবতীয় দাবি খারিজ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ আশুতোষ টুইটারে দাবি করেন, “যোগেন্দ্র এবং প্রশান্ত দলের সম্পর্কে মিথ্যা কথা রটাচ্ছেন। সর্বসম্মতিক্রমেই তাঁদের জাতীয় পরিষদ থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাত্র ডজনখানেক সদস্য প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE