শুক্রবারের গণ্ডগোলের পর এলাকায় চলছে টহলদারি। ছবি: কৌশিক মিশ্র।
কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী তাপস সিংহকে হেনস্থা ও মারধরের ঘটনায় শনিবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ চিনি। শুক্রবার সিপিএমের তরফে ৩০ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ওই রাতেই বাপন সাউ ও মিঠুন সাউ নামে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্তদের এ দিন আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নান্টু প্রধান এখনও অধরা।
এ দিনের গ্রেফতারির পর স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও জেলা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন রায় বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এমন কয়েক জনকে অকারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ভাবে এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। সামনেই ভোট, তাই চক্রান্ত করে এমনটা ঘটানো হয়েছে।” পাল্টা মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সিপিএম নেতা সুব্রত মহাপাত্র। তিনি বলেন, “হেনস্থার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পিন্টু প্রধান এখনও এলাকাতেই রয়েছেন। তবুও পুলিশ তাঁকে ধরছে না। পুলিশের উপস্থিতিতেই তাপসবাবুকে মারধর করা হয়েছে। সুতরাং পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত।”
শুক্রবার সকালে প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী তাপস সিংহ। রোড শো চলাকালীন মহম্মদপুরের দেড়েদিঘির কাছে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় তাপসবাবুর দেহরক্ষী-সহ আহত হন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান ও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy