বিস্ফোরণের পরে উরুমকি শহরে পুলিশি টহল। ছবি: রয়টার্স।
চিনের জিংজিয়াং প্রদেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। গুরুতর জখম অন্তত ৯০। ঘটনাটি ঘটেছে উরুমকি এলাকায় একটি বাজারের কাছে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিট নাগাদ। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ দিন সকালে বাজারের ব্যস্ত এলাকায় হঠাত্ই দু’টি গাড়ি থেকে বোমা ছুঁড়তে শুরু করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই উড়ে যায় বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং জানিয়েছেন, আততায়ীদের যত তাড়তাড়ি সম্ভব সনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এ দিন জিংপিঙের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে পাক প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেন জানান, পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি কাজ করছে তারা চিন ও পাকিস্তান দুই রাষ্ট্রেরই শত্রু। তাদের শায়েস্তা করতে আরও জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উরুমকি শহরতলি রেনমিন পার্কের কাছে এই বাজারটিতে সকাল থেকেই ভিড় ছিল। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, হঠাত্ই কান ফাটানো আওয়াজ ও সেই সঙ্গে আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। বিস্ফোরণের পিছনে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট নামক জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিনের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। গত মাসেই জিংজিয়াঙের একটি রেল স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। আহত হয়েছিলেন অন্তত ৮০ জন যাত্রী। এই হামলার পিছনেও আল-কায়েদার মদতে পুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনের হাত ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল।
বিস্ফোরণের পরে উরুমকির বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহ। ছবি: এএফপি।
ঘটনার পর গোটা এলাকা জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চিনের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী গুও শেংকানের নেতৃত্বাধীন একটি দলকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হয়েছে। উরুমকি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া নজরদারি চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছে চারটি হেলিকপ্টারও। প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে আহতদের চিকিত্সার সুব্যবস্থা করা হবে। নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy