নেতাই-কাণ্ডে ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা অনুজ পাণ্ডেকে বুধবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। সিআইডি ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিজেদের হেফাজতে চাইলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম আহমেদ আনসারি তা মঞ্জুর করেন। সিআইডি-র তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার অনুজ পাণ্ডেকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হবে।
এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের নম্বর দেওয়া লালবাতি লাগানো গাড়িতে করে অনুজ পাণ্ডেকে নিয়ে বর্ধমানে পৌঁছন সিআইডি-র অফিসারেরা। প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় তাঁর। তার পরে সরকারি আইনজীবী চন্দ্রনাথ গোস্বামী ও সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসার অতনু চক্রবর্তী অনুজবাবুকে আদালতে নিয়ে যান। অনুজবাবুর পরনে ছিল সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট। তাঁকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। কোর্টে দাঁড়িয়ে বার বার তিনি রুমাল দিয়ে মুখ-গলা মুছছিলেন।
বিচারক প্রথমেই সরকারি আইনজীবী ও সিআইডি-র কাছে জানতে চান, ধৃতকে কেন এই আদালতে আনা হল। সরকারি আইনজীবী জানান, ধৃতকে ঝাড়খণ্ডে গ্রেফতার করা হলেও সেখানে মর্নিং কোর্ট চলায় এ দিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে পৌঁছনো যায়নি। ধৃতকে আসানসোল আদালতে তোলার চেষ্টা হলেও সেখানে ভোট থাকায় কোর্ট বন্ধ। তাই বর্ধমান আদালতে আনা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, সিবিআই কলকাতা কেস নম্বর আরসি/৩/এস/২০১১ এবং লালগড় থানার ৭ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখের কেস নম্বর ৪/১১-এর ভিত্তিতে অনুজ পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার চন্দ্রপুরা থানার ঝর্নাডিতে ডিভিসি আবাসন নম্বর জি-৭/৩১ থেকে অনুজবাবুকে ধরা হয়। সেটি তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি। অনুজবাবুর শ্যালক, চন্দ্রপুরা থানার সারেঙ্গার বাসিন্দা দীপককুমার পাণ্ডেকে সিআইডি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। তিনিই অনুজবাবুকে শনাক্ত করেন। এই তল্লাশিতে চন্দ্রপুরা থানা সাহায্য করেছে বলে সিআইডি জানিয়েছে। অনুজবাবুকে গ্রেফতারের সময়ে সিআইডি-র সঙ্গে ছিলেন চন্দ্রপুরা থানার এসআই ধনঞ্জয় পাণ্ডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy