অবশেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন-এর জন্য জরুরি রসদ নিয়ে রওনা দিল ‘ড্রাগন কার্গো শিপ’। শনিবার কেপ কানাভেরাল থেকে ‘স্পেস এক্স’ সংস্থার এই যানটিকে উত্ক্ষেপণ করা হয়। রবিবার যানটির স্পেস স্টেশনে পৌঁছনোর কথা।
যানটি স্পেস স্টেশনের জন্য প্রায় আড়াই টনের সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছে। নাসা জানিয়েছে, স্পেস স্টেশনের বাইরের দিকের ব্যাকআপ কম্পিউটারটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। মূল কম্পিউটারটি ঠিকমতো কাজ করছে। কিন্তু এ অবস্থায় মূল কম্পিউটারে কোনও সমস্যা হলে স্পেস স্টেশনে বড়সড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ব্যাকআপ কম্পিউটারটির আশু মেরামত দরকার বলে জানান নাসার ফ্লাইট ডিরেক্টর ব্রায়ান স্মিথ। অবস্থা এমনই যে স্পেস স্টেশনের মহাকাশচারীরা নাসার নির্দেশে এর মধ্যেই ব্যাকআপ কম্পিউটারটি সারানোর প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তাঁরা ব্যাকআপ কম্পিউটারের মাপের ‘থার্মাল’ পদার্থ কেটে বসিয়েছেন। পাশাপাশি নতুন সার্কিট কাডর্র্ও লাগিয়েছেন।
স্পেস স্টেশনে রসদ পাঠানোর জন্য বেসরকারি ‘স্পেস এক্স’ সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে নাসা। মার্চের মাঝামাঝি যানটিকে পাঠানোর কথা ছিল। প্রথমে প্রস্তুতিতেই বেশি সময় লেগে যায়। তার পরে বায়ুসেনার একটি রেডার খারাপ হওয়ায় উত্ক্ষেপণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত সোমবার যানটিকে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু উত্ক্ষপণের আগে রকেটের দু’টি ভালভে ছিদ্র ধরা পড়ায় উত্ক্ষেপণ আরও পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ বারও প্রথম দিকে আবহাওয়া উত্ক্ষেপণের অনুকূল ছিল না। কিন্তু উত্ক্ষেপণের সময়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
ব্যাকআপ কম্পিউটারটি সারাতে গেলে মহাকাশচারীদের স্পেস স্টেশনের বাইরে মহাশূন্যে হাঁটতে (স্পেস ওয়াক) হবে। আগের বছর এমনই এক হাঁটার সময় ইতালীয় মহাকাশচারীর স্পেস স্যুটের শীতাতপ ব্যবস্থা থেকে জল বেরিয়ে হেলমেট ভরে যায়। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বাঁচেন। ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নাসা স্পেস ওয়াক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ব্যাকআপ কম্পিউটারটি সারানোর জন্য আপাতত স্পেস ওয়াকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার দু’জন মহাকাশচারী এই স্পেস ওয়াক করবেন। ড্রাগনের সঙ্গে নতুন স্পেস স্যুট ও স্পেস স্যুট মেরামতের জিনিসও পাঠানো হয়েছে। রয়েছে খাবারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy