সারদাকাণ্ডের ছায়া এ বার ওড়িশায়! সরকারি পদের অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে সম্পত্তির পাওয়ার অভিযোগে ওড়িশার প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল অশোক মোহান্তিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এ দিন সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল জানায়, ওড়িশার একটি অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে সম্পত্তি পাওয়ার অভিযোগে দফায় দফায় অশোকবাবুকে জেরা করা হচ্ছিল। ওই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে রাজ্যের বহু আমানতকারীদের টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে। সোমবার কটকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার মাত্র দশ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন অশোকবাবু।
নিজের পদ থেকে ইস্তফার দেওয়ার মাত্র এক দিন পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর অশোকবাবুকে জেরা করে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। সিবিআইয়ের দাবি, ‘অর্থ তত্ত্ব’ (এটি) নামে ওই অর্থলগ্নি সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ শেঠির কাছ থেকে ‘কটক ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’-র একটি বাড়ি বিনামূল্যে পান অশোকবাবু। যে জমিতে ওই বাড়িটি রয়েছে, তার বাজারদর এক কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গিয়েছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করে অশোকবাবুর পাল্টা দাবি, বিনামূল্যে নয়, এক কোটি এক লক্ষ টাকা দিয়ে ওই জমিটি কিনেছিলেন তিনি। এর জন্য স্টেট ব্যাঙ্কে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি চেকের সাহায্যে জমির দাম মেটান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেই চেকটি তিনি সিবিআইকে দেখিয়েছেন বলেও দাবি অশোকবাবুর।
সিবিআইয়ের দাবি, ২০১২ সালের ৫ অক্টোবর ওই জমির ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্র পান প্রদীপবাবু। এর পরেই ওই জমিটি বিক্রিতে উদ্যোগী হন তিনি। দিন কুড়ির মধ্যেই জমিটি অশোকবাবুকে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ।
এ দিনের গ্রেফতারির পরে নিয়মমাফিক অশোকবাবুর শারীরিক পরীক্ষার করা হয় বলে জানিয়েছে সিবিআই। গ্রেফতারির পরে এ দিন অশোকবাবু বলেন, “আমি কোনও ভুল কাজ করিনি। শেষ পর্যন্ত সত্য প্রকাশিত হবেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy