Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

প্রচারে ভয় পেয়ে ‘হেনস্থা’ কর্মীদের, দাবি সিপিএমের

সম্প্রতি সিপিএমের তরফে সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ করা হয়, সমাজ মাধ্যমে এক ব্যক্তি আসানসোলের বাম প্রার্থী জাহানারা খানকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেন। তা সমাজ মাধ্যমে ছড়ায়।

বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালকে নিয়ে প্রচারে বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। সোমবার দুর্গাপুরে ডিটিপিএস কলোনিতে।

বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষালকে নিয়ে প্রচারে বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। সোমবার দুর্গাপুরে ডিটিপিএস কলোনিতে। ছবি: বিকাশ মশান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৩৯
Share: Save:

লোকসভা ভোটের মুখে ঘুরপথে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের হেনস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে, অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের। কখনও প্রার্থীর নাম ও ছবি ব্যবহার করে বর্ণবিদ্বেষমূলক প্রচার করা হচ্ছে সমাজ মাধ্যমে। আবার কখনও প্রার্থীর প্রচারে যোগ দেওয়ায় দলের কর্মী-সমর্থকদের কাজ থেকে ছাঁটাই করানো হচ্ছে। এমনই অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিপিএমের। দলের তরফে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে দাবি নেতাদের। যদিও এ সবের পিছনে তাঁদের দলের কোনও হাত নেই বলে পাল্টা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।

সম্প্রতি সিপিএমের তরফে সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ করা হয়, সমাজ মাধ্যমে এক ব্যক্তি আসানসোলের বাম প্রার্থী জাহানারা খানকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেন। তা সমাজ মাধ্যমে ছড়ায়। এ ধরনের মন্তব্য অপমানজনক ও অনাকাঙ্খিত বলে জানান সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ওই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের একাংশের হাত রয়েছে। এমন মন্তব্য অনভিপ্রেত, তাই আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বারাবনিতে প্রার্থীর প্রচারে এলাকার একটি বেসরকারি খনি সংস্থার প্রায় ৪৩ জন শ্রমিক যোগ দিয়েছিলেন। তার পরে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব খনির আধিকারিকদের চাপ দিয়ে ওই শ্রমিকদের কাজ থেকে ছাঁটাই করিয়েছেন। গৌরাঙ্গের দাবি, ‘‘এ ভাবে পরোক্ষে ভয় দেখিয়ে, অপপ্রচার করে আমাদের আক্রমণের কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি।’’

সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের প্রার্থিপদ ঘোষণা হলেও প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্‌হাকে এলাকায় প্রায় দেখাই যাচ্ছে না। বিজেপি আবার এখনও এই কেন্দ্রে প্রার্থীই দিতে পারেনি। প্রচারের মাঠে তাই এখন সিপিএম ছাড়া অন্য কোনও দলের বিশেষ দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বাম প্রার্থী জাহানারা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছেন। তাতেই তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলে দাবি গৌরাঙ্গের।

জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘রাজ্যে সিপিএম এখন শূন্য। গত বারের তূলনায় এ বার ওদের ভোট আরও কমবে। তা বুঝতে পেরেই তৃণমূলকে দোষারোপ করা শুরু করেছে।’’ তাঁর আরও দাবি, বাম প্রার্থীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্যের সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নন। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে তদন্ত করুক, তাঁরাও তা চাইছেন। শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পিছনেও তৃণমূলের কোনও হাত নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের রাজনীতি মাস দুয়েকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এর পরে সাধারণ মানুষকে খেটে খেতে হবে। তাই এমন ঘৃণ্য কাজ তৃণমূলের কেউ করে না।’’

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE