শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শন দার্জিলিং এর বিজেপি সংসদ রাজু বিস্তের। ছবি: বিনোদ দাস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিলিগুড়ি সফরকে ঘিরে নতুন করে দার্জিলিং পাহাড়ে প্রত্যাশা বেড়েছে। কয়েকদিন আগেই চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী পাহাড় সমস্যা মেটানোর কথা বলেছেন দার্জিলিঙের বিধায়ক নীরজ জিম্বা। এর পরেই দার্জিলিং পাহাড়ের বিজেপির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যখন জেলায় আসছেন কিছু ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা তো থাকবেই। তবে তা কী, তা নিয়ে পাহাড়ে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, তৃণমূলের নেতারা জানাচ্ছেন, গত ১৫ বছর ধরে দার্জিলিং আসনে বিজেপি জিতছে। ইস্তাহারে গোর্খাদের দাবিদাওয়া সহানূভুতি দিয়ে দেখার কথাও লেখা হয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের আগে একাধিক এসেছেন। গোর্খাদের স্বপ্ন ‘তাঁর স্বপ্ন’ বলেছেন। উত্তরের বন্ধ বা ধুঁকতে থাকা চা বাগান অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ একটাও হয়নি বলে অভিযোগ। পাহাড় সমস্যা মেটানো তো দূরের কথা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও ঠিকঠাক ডাকা হয়নি। দেশের অন্য প্রান্তে হলেও পাহাড়ে ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতির দাবি মেটেনি। যদিও আশ্বাস এসেছে বার বার।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান অনীত থাপা বলছেন, ‘‘গত ১৫ বছর শুধু মুখে আশ্বাস এবং গোর্খাদের ভোট নিয়ে ভাঁওতাবাজি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন এখনও বাস্তবের মাটিতে আসেনি। তাই নতুন করে পাহাড়ের মানুষ বিজেপিকে বিশ্বাস করবেন না, তা আমরা নিশ্চিত।’’ একই ভাবে পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং বলেছেন, ‘‘বিজেপি পাহাড়ের একটি সমস্যাও মেটায়নি। শুধু ভোটের রাজনীতি করে গিয়েছে। লোকসভা ভোট এসেছে, তা আবার শুরু হতে চলেছে।’’
বিরোধী কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। মঙ্গলবার তিনি শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠ ঘুরে দেখে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি দেখেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এই অঞ্চলের সঙ্গে মোদিজীর একটি সংযোগ রয়েছে। দার্জিলিং থেকে এক সময় বিজেপির রাজ্যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল। উনি এ বার কী বলবেন তার জন্য গোটা উত্তরবঙ্গ তাকিয়ে।’’ তবে পাহাড়ের নেতারা মনে করছেন, দার্জিলিং এবং কালিম্পং পাহাড় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন করে কিছু ঘোষণা করতে পারেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী পাহাড়বাসীর মন জয় করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা হলেও বিজেপি নেতাদের একাংশের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy