প্রবীর ঘোষাল। ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন উত্তরপাড়া বিধানসভায় পরাজিত বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নের কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল এবং ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে এই কাজটি নিজের হাতে নিয়ে পালন করেছেন, বিধানসভা ভোটে তার ফল তৃণমূল পেয়েছে।’’
উত্তরপাড়ার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ, সোমবার সকালে কালীঘাটে ‘দলবদলু’দের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, ‘‘আসুক না। কে বারণ করেছে! এলে স্বাগত।’’ এই পরিস্থিতিতে প্রবীরের মন্তব্যেকে তৃণমূলে ফেরার ‘বার্তা’ বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া এবং হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী-সহ কয়েকজনের সঙ্গে ‘চার্টার্ড বিমানে’ দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীর।
প্রবীর মঙ্গলবার তাঁর দল বিজেপি-র সাংগঠনিক দুর্বলতা সম্পর্কে বলেন, ‘‘একটা দুর্বলতা তো ছিলই। এমনকি, বুথের ভোটার স্লিপ পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছোনো যায়নি। সেটা করতে পারেনি বিজেপি-র কর্মীরা। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতার আবেদনকে বাংলার মানুষ অনেক বেশি গ্রহণ করেছিল বলেই আজ এই ফল।’’
বিধানসভা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের জয় সম্পর্কে প্রবীর মঙ্গলবার বলেন, ‘‘অস্বীকার করে কোন লাভ নেই প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ পুরো বিজেপি এখানে ঝাঁপিয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মানুষ গ্রহণ করেছে। সে কারণেই ভোটের এই ফল।’’
মমতার সোমবারের মন্তব্যের উল্লেখ করে তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রবীর বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় যে বিষয়, সেটা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা। যেটা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন সেইটা এখন প্রথম অগ্রাধিকার। তার পরে রাজনীতি। আগে মানুষ বাঁচবে, তবে তো রাজনীতি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy