ভোট শেষে সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগে নজরবন্দি করেছিল নির্বাচন কমিশন। তিনি এই আছেন, তো এই নেই। বুধবার তাঁর অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করতে গিয়েই দিন কাবার হয়ে গিয়েছিল কমিশনের। বৃহস্পতিবার ভোট শেষ করিয়েও কমিশনের প্রতি ‘থোড়াই কেয়ার’ মনোভাব দেখালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ অনুব্রত মণ্ডল। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জানিয়ে দিলেন, ‘‘খেলব বলেছিলাম, দেখিয়ে দিলাম।’’
বৃহস্পতিবার অষ্টম তথা শেষ দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। তৃণমূলের লোকজন মিলে তাদের প্রার্থীর গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। কিন্তু অনুব্রতর সাফ জবাব, ‘‘চুনোপুটির মতো ও সব বলে লাভ নেই। খেলা ভালই হয়েছে।’’
ভোটের আগে জোড়াফুল শিবির থেকে যে ‘খেলা হবে’ রব উঠেছিল, বার বার তা অনুব্রতর গলায় শোনা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারও আত্মবিশ্বাসের সুর ধরা পড়ে তাঁর গলায় অনুব্রত বলেন, ‘‘ফাইন খেলা হল। খেলব বলেছিলাম, খেললাম। ভাল টিমের সঙ্গে খেললাম। বিজেপি আর ধৃতরাষ্ট্রের টিম। বিজেপি-ধৃতরাষ্ট্র একসঙ্গে ছিল। ভাড়া করে এনেছিল ধৃতরাষ্ট্রকে। খেলা দেখিয়ে দিলাম। ভালই খেলা হয়েছে।’’
এর আগে ‘ধৃতরাষ্ট্র’ বলে কটাক্ষ করে কমিশনের কোপে পড়েছিলেন অনুব্রত। ভোটের আগে তাঁকে নজরবন্দিও করা হয়। তার পরেও কমিশনকে কি ফের ‘ধৃতরাষ্ট্র’ বলছেন তিনি? নাকি তাঁর নিশানায় অন্য কেউ? অনুব্রতর জবাব, ‘‘কাকে বলছি বলব না। বুঝে নিতে হবে।’’
রবিবার ভোটের ফল বেরোলে বীরভূমে তৃণমূল ১১টি আসনে জিতবে এবং সামগ্রিক ভাবে ২২০ থেকে ২৩০টি আসনে জিতে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ফের ক্ষমতায় আসবেন বলে জানান অনুব্রত। এ প্রসঙ্গে পাঁচ বছর আগে নিজের ভবিষ্যদ্বাণীও মনে করিয়ে দেন অনুব্রত। জানান, ২০১৬-য় ২১০ থেকে ২২০ আসনে দল জিতবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তা-ই হয়েছিল। এ বারও তার অন্যথা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy